
দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান উৎস গার্মেন্ট শিল্পকে পরিকল্পিত ভাবে অস্থিতিশীল করে তোলা হচ্ছে। ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এই অস্থিরতার নেপথ্যে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে বেসিক্সমকোএগুলোর মধ্যে রয়েছে-৫২টি অগ্নিকাণ্ড, ৭৫ ভাঙচুর, রাস্তা অবরোধ ২৩৯, লুটতরাজ ৩, কর্মবিরতি ৭৭৮ এবং চুরির ঘটনা ১১টি। সরকারের একটি বিশেষ সংস্থার প্রতিবেদন এবং যুগান্তরের নিজস্ব অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য।আর রমজান মাসকে সামনে রেখে গার্মেন্ট সেক্টরে বড় ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা চলছে-এমন আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।এই গ্রুপটি টাকার বিনিময়ে অবরোধ, মিছিল, জ্বালাও-পোড়াওসহ বিভিন্ন সংঘবদ্ধ অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে। শ্রমিকদের মনে ভীতির সঞ্চার করে প্রতি মাসেই কাজে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ভারতীয় মিডিয়ায় অপপ্রচারের কারণে বাংলাদেশে ক্রয়াদেশ ১০ থেকে ১৫ শতাংশ কমেছে। দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস শিল্প। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের ৮৪ শতাংশ আসে গার্মেন্টস পণ্য থেকে। এতে আয় হয় ৩৬ হাজার ১৫১ দশমিক ৩১ মিলিয়ন ডলার। এ শিল্পে বতর্মানে কর্মরত শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ৪০ লাখ। এসব শ্রমিকের উৎপাদিত পোশাক রপ্তানি হয় বিশ্বের ৩০টি দেশে। সরকারের ওই প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যেসব গার্মেন্ট কারখানা বন্ধ হয়েছে, সেগুলোর নেপথ্যে রয়েছে ১২টি কারণ।সারা অন্যদিকে বিএনপি নেতাদের মালিকানায় আছে ৮৪টি কারখানা। বতর্মান বাস্তবতায় নয় ভাগ মজুরি বাড়াতে পারবে ৮০ ভাগ গার্মেন্ট কারখানা। মজুরি বাড়াতে পারবে না ২০ ভাগ গার্মেন্ট।