
মুরগির মাংস বরাবরই স্বাস্থ্যকর প্রোটিন উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়ে এসেছে। রেড মিট বা গরুর মাংসের বিকল্প হিসেবে বহু পুষ্টিবিদেরাই মুরগি খাওয়ার পরামর্শ দেন। তবে সাম্প্রতিক এক গবেষণা এই ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে। দক্ষিণ ইতালির ৪,৮৬৯ জন মধ্যবয়সী মানুষের উপর পরিচালিত এই গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি সপ্তাহে ৩০০ গ্রাম বা তার বেশি পরিমাণে মুরগির মাংস খাওয়ার সঙ্গে সার্বিক মৃত্যুহার এবং হজমতন্ত্রের ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার একটি সম্পর্ক থাকতে পারে।
প্রতিবেদনে গবেষণাটির বিস্তারিত উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, সপ্তাহে ৩০০ গ্রাম বা তার বেশি মুরগির মাংস খেলে সার্বিক মৃত্যুর ঝুঁকি ২৭ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। একই সঙ্গে হজমতন্ত্রের ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়েছে ২.৩ শতাংশ, পুরুষদের ক্ষেত্রে যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২.৬ শতাংশে। মাংসকেও হজমতন্ত্রের ক্যানসারের একটি সম্ভাব্য ঝুঁকির উৎস হিসেবে ভাবা হচ্ছে।”
ক্যালিফোর্নিয়ার সেন্ট জনস ক্যানসার ইনস্টিটিউটের সার্জিক্যাল অনকোলজিস্ট ড. অ্যান্তন বিলচিক বলেন, “গবেষণাটি বেশ উদ্বেগজনক এবং আরও বিস্তারিতভাবে পর্যালোচনা করা উচিত। শিল্পভাবে উৎপাদিত মুরগিতে হরমোন ও অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে। তাছাড়া, মুরগি রান্নার পদ্ধতি ও তাপমাত্রা—এই দুটি বিষয়ও গুরুত্বপূর্ণ। উচ্চ তাপে রান্না করলে এইচসিএ ও পিএএইচ নামক ক্ষতিকর যৌগ তৈরি হয়, যেগুলো ক্যানসারের সঙ্গে জড়িত। প্রসেসড পোল্ট্রি, যেমন—চিকেন সসেজ, ।