
বাংলাদেশ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠন বাংলাদেশের সহ ৬৪ জেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন কাজ শুরু করেছে,এদিকে সর্বপ্রথম কুষ্টিয়া জেলার পরে এবার চুয়াডাঙ্গা জেলায় (১০১) সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
এদিকে এটা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা পর্যায়ে তাদের দ্বিতীয় আহ্বায়ক কমিটি বলে যানা যায়। সর্বপ্রথম (০২ নভেম্বর) শনিবার কুষ্টিয়া জেলায় (১১১) সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেন বাংলাদেশ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
( ০২ নভেম্বর) রোজ রবিবার রাত ১০ সময় গণমাধ্যমকে পাঠানো এক বিবৃতিতে ০৬ মাসের মেয়াদে চুয়াডাঙ্গা জেলায়( ১০১) সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন। এসময় বিজ্ঞপ্তিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সদস্যসচিব আরিফ সোহেলের স্বাক্ষর রয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই কমিটিতে আসলাম হোসেন অর্ককে আহ্বায়ক, সাফফাতুল ইসলামকে সদস্যসচিব, সজীবুল ইসলামকে মুখ্য সংগঠক ও তামান্না খাতুনকে মুখপাত্র করা হয়েছে৷ এছাড়া ৮ জনকে যুগ্ম আহ্বায়ক, ৯ জনকে যুগ্ম সদস্যসচিব, ৫ জনকে সংগঠক ও ৭৫ জনকে সদস্য করা হয়েছে।
এদিকে কুষ্টিয়া জেলার আহ্বায়ক কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন কাজ শুরু করেন। পর্যায়ক্রমে ৬৪ জেলায় কমিটি গঠন করবে তারা।
গত ১ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে টানা আন্দোলন শুরু করেন ছাত্ররা,এই আন্দোলনে টানা ১৫ বছরের বেশি ক্ষমতায় থাকা দল আওয়ামী লীগের পতন ঘঠান ছাত্র জনতা৷
এদিকে আন্দোলন পরিচালনায় গত ৮ জুলাই ৬৫ সদস্যের সমন্বয়ক কমিটি গঠন করেছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। গত ৩ আগস্ট কমিটির সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে ১৫৮ করা হয়।
গত ২২ অক্টোবর রাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সংবাদ সম্মেলন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ১৫৮ সদস্যের সমন্বয়ক কমিটি বিলুপ্ত করে চার সদস্যের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি গঠন করার কথা জানায়। কমিটিতে হাসনাত আবদুল্লাহকে আহ্বায়ক, আরিফ সোহেলকে সদস্যসচিব, আবদুল হান্নান মাসউদকে মুখ্য সংগঠক ও উমামা ফাতেমাকে মুখপাত্র করা হয়।