Dhaka 4:10 pm, Wednesday, 2 April 2025
পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন?

বনানীতে আ.লীগ পরিচয়দানকারী বিএনপির বাড়িতে প্রকাশ্যে সহিদের মাদক ও নারী বাণিজ্যে

রাজধানীর গুলশান-বনানীতে পায়েলের গড়ে ওঠা স্পা সেন্টার ঘিরে চলছে মাদক ও নারী সিন্ডিকেট। এসব সিন্ডিকেটকে বনানীতে সামাজিক পরিবেশ আজ বিপদের মূখে ঠেলে দিচ্ছে।

জানা গছে, বানারীর ২৭ নং রোডের ৩৭ নং বাড়িটির মালিক একজন প্রভাবশালী বিএনপির একজন আদর্শ কর্মী। তার বাড়িটির (৫ম তলায়) আ.লীগ স্বৈারাচর সরকারের সময় উক্ত বাড়িটি নারী ও মাদক ব্যবসায়ী সহিদ ভাড়া নিয়ে থাকেন।

কিন্তু বাড়ির মালিক জানেন না তার ফ্ল্যাটে কি হচ্ছে। এতে করে তার রাজনৈতিক ক্যরিয়ার ধ্বংসের মূখে ঠেলে দিচ্ছে আ.লীগ ও সাংবাদিক পরিচয়দানকারী নারী ও মাদক ব্যবসায়ী সহিদ। তিনি নিজেকে একেক সময় একেক ক্ষমতাশালী ব্যক্তিদের পরিচয় দিয়ে যথারিতি স্পা অড়ালে যৌনকর্মীদের পতিতা পল্লি হিসাবে গড়ে তুলেছেন। তার দালালচক্রটি উক্ত স্পা সেন্টারে প্রকাশ্যে চলছে যত অপকর্ম। এসব দালাল চক্রের বেপরোয়ায় অতিষ্ঠ সাধরন স্থানীয় জনসাধারন।

কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠান ভাড়া নিয়ে অতি লোভের আশায় অভিনব কৌশলে চলে তার এসব কারবার। তার বিরুদ্ধে এসব অনৈতিক কারবারের মামলাও রয়েছে। এসব বিষয়ে পুলিশ কিছুই জানেন না। পুলিশ এসবের বিরদ্ধে কঠোর থাকলেও অর্থের বিনিময়ে নিকট হার মানায় এমন মন্তব্য করেন উক্ত সহিদ।

ইতিপূর্বেও ফ্যাসিবাদ সরকারের সয়মও বেশ দাপটের সাথেই স্পা সেন্টাররটি রমরমা ছিল।এলাকার এসব কারবারে এতে করে প্রশাসনের মান ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসব সিন্ডকেট আইনের আওতায় এনে সমাজের শৃঙ্খলা বজায় রাখবে পুলিশ বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

এসব বিষয়ে সহিদ বলেন, আরে ভাই পুলিশ প্রশাসন নতুন আসছে তাতে কি হয়েছে ইদানিং সব ম্যানেজ হয়ে যাচ্ছে। টাকার কাছে এসব কোন ব্যপার না। তাছাড়া বিএনপি কিংবা ছাত্র-জনতা প্রতিদিন এখানে আসে তাদের নিয়ে বেশ ঝামেলায় আছি। তাই বর্তমানে ব্যবসাটাও ভালো না।

আ.লীগ সরকার আবার ক্ষমতায় আসলে তখন তাদের দেখে নিব এদেরকে। এখন মুখ বুঝে সব সহ্য করছি। আরো জনা যায়, তিনি এসব ব্যবসায় বাড়ির মালিক ও ম্যানেজারকে অতিরিক্ত লোভ দেখিয়ে ফ্লোর ভাড়া নিয়ে নিয়মিত সুন্দরী নারী ও মদকের সাপ্লাই দিয়ে তাদেরকে ম্যানেজ করে তার অবৈধ প্রতিষ্ঠান দুটি পরিচালনা করে আসছে।

রয়েছে খদ্দের যোগানের সোসাল মিডিয়াতে বেশ প্রচার প্রচারনা। দালালচক্ররা সুন্দরী মেয়েদের টার্গেট করে উচ্চ বেতনের চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে উক্ত অবৈধ স্পা সেন্টার দুটিতে নিয়ে এসে তাদেরকে দিয়ে যৌন বাণিজ্য করতে বাধ্য করে বলে অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগ উঠেছে রাজধানীজুড়ে রয়েছে তার নারী সিন্ডিকেটের একটি দালাল চক্র। যারা রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে বৃত্তবান পুরুষদের খদ্দের হিসেবে যোগান দিয়ে থাকেন। এমনকি তাদেরকে সুন্দরী নারী দিয়ে ব্লাকমেইলও করেন।

উক্ত সহিদের কর্মই হচ্ছে এসব ব্যবসা। এমনকি এসব ব্যবসায় মাদকসহ একাধিক মামলাও রয়েছে তার নামে। একাধিক মমলা হওয়ার পরও তিনি এসব ব্যবসা থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিতে পারেননি। তার অণ্যতম কারন হচ্ছে তিনি শিখেছেন এসব ব্যবসা।

আর এসব ব্যবসায় তিনি আজ কোটিপতি বলে জানা গেছে। তিনি রাজধানীর মিরপুরে একসময় আবাসিক হোটেলে কর্মচারী ছিলেন। সেখান থেকে এসব ব্যবসা শিখে নিজেকে আড়াল করতে গড়ে তুলেছেন সমাজের অনৈতিক কারবার। এসব ব্যবসা ঘিরে প্রতিদিন লেনদেন হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। তিনি কোন সাংবাদিক বা পুলিশ গোনার সময় পাননা।তার সম্পর্কে আরো জানা গেছে, সমাজের উচ্চ পর্যায়ের মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে বা চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে উক্ত স্পা সেন্টারটিতে নিয়ে এসে তাদেরকে দিয়ে বাধ্য করেন দেহব্যবসাসহ বিভিন্ন অপকর্ম।

তবে সহিদের পার্টনার হিসেবে রয়েছে একাধিক আবাসিক হোটেল ব্যবসায়ীরা। তিনি সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলেই সুন্দরী মেয়েদের নিয়ে চলে যান মদের বারে। আর নেশাখোর হিসেবে বেশ পরিচিতি লাভ করেন। অথব মাথায় টুপি পরে সমাজে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এসব অপরাধীরা।

এবিষয়ে বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, ভাই আমরা এসব অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি এবং শুনেছি উক্ত সহিদ একজন মাদকারবারী ও মাদকসেবী। আমরা উক্ত ফ্লাটের এসব অনৈতিক কারবার বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করছি।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন?

বনানীতে আ.লীগ পরিচয়দানকারী বিএনপির বাড়িতে প্রকাশ্যে সহিদের মাদক ও নারী বাণিজ্যে

Update Time : 06:10:17 pm, Saturday, 16 November 2024

রাজধানীর গুলশান-বনানীতে পায়েলের গড়ে ওঠা স্পা সেন্টার ঘিরে চলছে মাদক ও নারী সিন্ডিকেট। এসব সিন্ডিকেটকে বনানীতে সামাজিক পরিবেশ আজ বিপদের মূখে ঠেলে দিচ্ছে।

জানা গছে, বানারীর ২৭ নং রোডের ৩৭ নং বাড়িটির মালিক একজন প্রভাবশালী বিএনপির একজন আদর্শ কর্মী। তার বাড়িটির (৫ম তলায়) আ.লীগ স্বৈারাচর সরকারের সময় উক্ত বাড়িটি নারী ও মাদক ব্যবসায়ী সহিদ ভাড়া নিয়ে থাকেন।

কিন্তু বাড়ির মালিক জানেন না তার ফ্ল্যাটে কি হচ্ছে। এতে করে তার রাজনৈতিক ক্যরিয়ার ধ্বংসের মূখে ঠেলে দিচ্ছে আ.লীগ ও সাংবাদিক পরিচয়দানকারী নারী ও মাদক ব্যবসায়ী সহিদ। তিনি নিজেকে একেক সময় একেক ক্ষমতাশালী ব্যক্তিদের পরিচয় দিয়ে যথারিতি স্পা অড়ালে যৌনকর্মীদের পতিতা পল্লি হিসাবে গড়ে তুলেছেন। তার দালালচক্রটি উক্ত স্পা সেন্টারে প্রকাশ্যে চলছে যত অপকর্ম। এসব দালাল চক্রের বেপরোয়ায় অতিষ্ঠ সাধরন স্থানীয় জনসাধারন।

কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠান ভাড়া নিয়ে অতি লোভের আশায় অভিনব কৌশলে চলে তার এসব কারবার। তার বিরুদ্ধে এসব অনৈতিক কারবারের মামলাও রয়েছে। এসব বিষয়ে পুলিশ কিছুই জানেন না। পুলিশ এসবের বিরদ্ধে কঠোর থাকলেও অর্থের বিনিময়ে নিকট হার মানায় এমন মন্তব্য করেন উক্ত সহিদ।

ইতিপূর্বেও ফ্যাসিবাদ সরকারের সয়মও বেশ দাপটের সাথেই স্পা সেন্টাররটি রমরমা ছিল।এলাকার এসব কারবারে এতে করে প্রশাসনের মান ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসব সিন্ডকেট আইনের আওতায় এনে সমাজের শৃঙ্খলা বজায় রাখবে পুলিশ বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

এসব বিষয়ে সহিদ বলেন, আরে ভাই পুলিশ প্রশাসন নতুন আসছে তাতে কি হয়েছে ইদানিং সব ম্যানেজ হয়ে যাচ্ছে। টাকার কাছে এসব কোন ব্যপার না। তাছাড়া বিএনপি কিংবা ছাত্র-জনতা প্রতিদিন এখানে আসে তাদের নিয়ে বেশ ঝামেলায় আছি। তাই বর্তমানে ব্যবসাটাও ভালো না।

আ.লীগ সরকার আবার ক্ষমতায় আসলে তখন তাদের দেখে নিব এদেরকে। এখন মুখ বুঝে সব সহ্য করছি। আরো জনা যায়, তিনি এসব ব্যবসায় বাড়ির মালিক ও ম্যানেজারকে অতিরিক্ত লোভ দেখিয়ে ফ্লোর ভাড়া নিয়ে নিয়মিত সুন্দরী নারী ও মদকের সাপ্লাই দিয়ে তাদেরকে ম্যানেজ করে তার অবৈধ প্রতিষ্ঠান দুটি পরিচালনা করে আসছে।

রয়েছে খদ্দের যোগানের সোসাল মিডিয়াতে বেশ প্রচার প্রচারনা। দালালচক্ররা সুন্দরী মেয়েদের টার্গেট করে উচ্চ বেতনের চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে উক্ত অবৈধ স্পা সেন্টার দুটিতে নিয়ে এসে তাদেরকে দিয়ে যৌন বাণিজ্য করতে বাধ্য করে বলে অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগ উঠেছে রাজধানীজুড়ে রয়েছে তার নারী সিন্ডিকেটের একটি দালাল চক্র। যারা রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে বৃত্তবান পুরুষদের খদ্দের হিসেবে যোগান দিয়ে থাকেন। এমনকি তাদেরকে সুন্দরী নারী দিয়ে ব্লাকমেইলও করেন।

উক্ত সহিদের কর্মই হচ্ছে এসব ব্যবসা। এমনকি এসব ব্যবসায় মাদকসহ একাধিক মামলাও রয়েছে তার নামে। একাধিক মমলা হওয়ার পরও তিনি এসব ব্যবসা থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিতে পারেননি। তার অণ্যতম কারন হচ্ছে তিনি শিখেছেন এসব ব্যবসা।

আর এসব ব্যবসায় তিনি আজ কোটিপতি বলে জানা গেছে। তিনি রাজধানীর মিরপুরে একসময় আবাসিক হোটেলে কর্মচারী ছিলেন। সেখান থেকে এসব ব্যবসা শিখে নিজেকে আড়াল করতে গড়ে তুলেছেন সমাজের অনৈতিক কারবার। এসব ব্যবসা ঘিরে প্রতিদিন লেনদেন হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। তিনি কোন সাংবাদিক বা পুলিশ গোনার সময় পাননা।তার সম্পর্কে আরো জানা গেছে, সমাজের উচ্চ পর্যায়ের মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে বা চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে উক্ত স্পা সেন্টারটিতে নিয়ে এসে তাদেরকে দিয়ে বাধ্য করেন দেহব্যবসাসহ বিভিন্ন অপকর্ম।

তবে সহিদের পার্টনার হিসেবে রয়েছে একাধিক আবাসিক হোটেল ব্যবসায়ীরা। তিনি সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলেই সুন্দরী মেয়েদের নিয়ে চলে যান মদের বারে। আর নেশাখোর হিসেবে বেশ পরিচিতি লাভ করেন। অথব মাথায় টুপি পরে সমাজে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এসব অপরাধীরা।

এবিষয়ে বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, ভাই আমরা এসব অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি এবং শুনেছি উক্ত সহিদ একজন মাদকারবারী ও মাদকসেবী। আমরা উক্ত ফ্লাটের এসব অনৈতিক কারবার বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করছি।