
বাংলাদেশের উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগের জন্য জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিলের বিধান রেখে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ-২০২৫ এর গেজেট নোটিফিকেশন হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।আজ মঙ্গলবার বিকেলে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগের জন্য একটি কাউন্সিলের প্রস্তাব করা হয়েছে। ছয় সদস্যের এই কাউন্সিল নিজেরাও নাম সংগ্রহ করে যাচাই বাছাই করবেন, আবার অন্য যে কেউ নাম প্রস্তাব করে যাচাই বাছাইয়ের জন্য কাউন্সিলে চিঠি দিতে পারবে। উচ্চ আদালতে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক প্রক্রিয়ায় বিচারক নিয়োগ হবে।
গত সরকারের আমলে যে এত অনাচার হতো, চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন হতো, মানুষকে যে দমন নিপীড়ন করা হতো- এর বড় প্লাটফরম ছিল উচ্চ আদালত। সেখানে মানুষ প্রতিকার পেত না। এর কারণ ছিল, রাজনৈতিক সরকারগুলো দলীয় বিবেচনায় অনেক ক্ষেত্রে অযোগ্যদের বিচারক হিসেবে নিয়োগ দিতো।
উচ্চ আদালতে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় নিরপেক্ষ ও যোগ্য লোকেরা নিয়োগ না পেলে ১৭ কোটি মানুষের মানবাধিকারের বিষয়টি অমীমাংসিত ও ঝুঁকির মুখে থেকে যায়।উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগ হবে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। দক্ষ, অভিজ্ঞ, দল নিরপেক্ষ ও প্রকৃত যোগ্য ব্যক্তিরা বিচারক হবেন- এমন দাবি অনেক দিন ধরেই উত্থাপন হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের পৃথক সচিবালয়ের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে এবং এ নিয়ে কাজ চলার পাশাপাশি স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিসের বিষয়েও আইন তৈরির কাজ চলমান আছে।