
চলতি মাসের শেষে শুরু হবে মুসলমানদের সিয়াম সাধনার মাস রমজান। ইফতার ও সেহরিতে ধর্মীয় নানা রীতিনীতির সঙ্গে ঐতিহ্যের সমন্বয়ে এই সময়ে যৎসামান্য পরিবর্তন ঘটে খাদ্যাভ্যাসের। দেশে চাহিদা বাড়ে ভোজ্যতেল, খেজুর, চিনি, পেয়াজ, আলু, ছোলাসহ নানা পণ্যের। পাশাপাশি দৌড়ঝাঁপ বাড়ে ব্যবসায়ীদেরও। ভোক্তার বাড়তি চাহিদার জোগান দিতে প্রস্তুতি নেন ব্যবসায়ীরা। এবারও ঠিক তাই হচ্ছে, অনেক আগে থেকেই রমজানের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা।
পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) শেষ হওয়া জানুয়ারি মাসে বিপুল পরিমাণ নিত্যপণ্য আমদানি হয়েছে, যা অনেক ক্ষেত্রে পুরো রোজার মাসের চাহিদার সমান। কিছু ক্ষেত্রে আমদানি রোজার চাহিদাকে ছাড়িয়ে গেছে।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান খান চৌধুরী বলেন, প্রাণ গ্রুপ পর্যায়ক্রমে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যই আমদানি শুরু করবে। আমাদের লক্ষ্য হলো ভোক্তারা যাতে প্রতিযোগিতামূলক দামে পণ্য হাতে পায়।চট্টগ্রামের স্মাইল ফুড প্রোডাক্টস একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তারা এখন গম ও ভোজ্যতেল আমদানি করছেন। ভবিষ্যতে চিনি পরিশোধন করবেন। একটি চিনি পরিশোধন কারখানা অধিগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।
নাসা গ্রুপ ও মদিনা গ্রুপ খেজুর আমদানি করত। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর পুলিশ নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার ও মদিনা গ্রুপের চেয়ারম্যান হাজি মোহাম্মদ সেলিমকে গ্রেপ্তার করে। এখন নাসা গ্রুপের খেজুর আমদানি বন্ধ। মদিনা গ্রুপের আমদানিও কম। তবে খেজুর আমদানিতে যুক্ত হয়েছে নতুন নতুন প্রতিষ্ঠান।