Dhaka 8:56 am, Saturday, 15 March 2025

রাজধানীতে অবৈধ স্পা ও হোটেলের অপরাধ দমনে উত্তর সিটি কর্পোরেশন ও পুলিশ কমিশনারের নিকট অভিযোগ

রাজধানীর ডিপ্লোমেটিক জোন গুলশান জোন একটি অভিজাত ও ব্যস্ততম এলাকা। এখানে ভদ্র সমাজের মানুষের বসবাস এবং এসব এলাকায় গড়ে উঠেছিল বিগত স্বৈরাচারী সাশন আমলে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে আ.লীগের এজেন্টরা নামে বেনামে গড়ে তুলেছিল অবৈধ স্পা সেন্টার। এসব স্পা সেন্টার ঘিরে দীর্ঘদিন ধরে চলছে সমাজের অপৃত্তিকর ঘটনা ও এবিষয়ে জাতীয় দৈনিক সংবাদ দিগন্ত একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে।
একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, রোড নং ৪৭, হাউজ নং-২৫ (লিফটের ৫ম তলা) অল দ্যা বেষ্ট যাহার মালিক পায়েল এবং গুলশানের ২৪ নং রোডের ৯১/বি বাড়িটির দ্বীতিয় তলায় লাবনী আক্তার ইভার আরেকটি স্পা সেন্টার। তবে লাবনী আক্তার ইভার পেছনে রয়েছে একজন সাংবাদিক পরিচয় দানকারী আ.লীগের দোষর। জানা গেছে, উক্ত অবৈধ প্রতিষ্ঠানে বডি ম্যাসাজের নামে শারীরিক প্রশান্তির আড়ালে উঠতি বয়সি তরুণীদের দিয়ে অবৈধ দেহব্যবসা ও মাদক দ্রব্য সেবনের অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। অপরাধ দমনে আপনার কড়া বর্তা থাকলেও এসব বিষয়ে তাদের নেই কোন মাথা ব্যথা। এসব স্পা সেন্টারের ব্যাভিচারে পাপরাজ্যে পরিণত হতে চলেছে রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী গুলশান। অথচ তাদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
উক্ত অবৈধ স্পা সেন্টার দুটিতে বয়সভিত্তিক বিভিন্ন ক্যাটাগরির ১০-১২ জন মেয়ে দিয়ে ম্যাসেজ করানো হয়। বয়স ছাড়াও ম্যাসেজে পারদর্শী ও অপারদর্শীদের আলাদা ক্যাটাগরি রয়েছে।
সম্প্রত্তি, পুলিশের ঝামেলা হবে না তো? জানতে চাইলে অসাধু ব্যবসায়ীরা বলেন, কোনো সমস্যা নাই, আমাদের সব বৈধতার কাগজ আছে। আমরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করি, নিয়মিত মাসোয়ারা দেই। কোনো সমস্যা নাই। এভাবেই চলছে স্পা সেন্টারে অসামাজিক কার্যকলাপসহ নানা অপরাধ। আবর রাত্রিযাপনে ও চলে যৌন লিলাখেলা এবং মাদকের মরন নেশা। অসাধু ব্যবসায়ীরা নারী সিন্ডিকেটের অণ্যতম সদস্য। এরা স্বৈরাচারী আ.লীগ থেকে এখন নেজের ভোল পাল্টিয়ে বিএনপি বা অন্যান্য সংগঠনের পরিচয় দিয়ে প্রকাশ্যে চালিয়ে আসছে অবৈধ স্পা সেন্টারের আড়ালে ভয়াবহ কারবার।
বর্তমানে গুলশান অভিজাত পাড়া সহসাই যেন স্পার নামে নিরাপদ যৌন পাড়া হয়ে উঠছে। এ সকল স্পার শত-শত নারী প্রতারনা, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কার্যক্রমে জড়াচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে সিটি কর্পোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স নিয়েই চলছে এসব কারবার।
এদিকে গুলশানের অলিতে গলিতে গড়ে উঠেছে অবৈধ আবাসিক হোটেল। এসব আবাসিক হোটেল নামীদামী গাড়িতে করে কলগার্লসহ ভিআইপি সিআইপি সুন্দরী নারীদের চলে নীলাখেলা। সন্ধ্যা হলেই চোঁখে পরে নামীদামী গাড়িতে সুন্দরী রমনীদের আনাগোনা। জানা গেছে, রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশান-২, রোড নং ৬৮/এ ১৫ নং বাড়িটিতে অবস্থিত গড়ে ওঠা অবৈধ হোটেল ও গেষ্ট হাউজ পার্ক ভিউ। হোটেলটিতে প্রতিনিয়ত এসব কর্মকান্ডে ছাত্র-ছাত্রীদের অভিবাকরা লজ্জায় চলাফেরা করতে দিধাদন্ধে পড়ছে। বিলাশ বহুল হোটেটিতে রয়েছে অপরাধমূলক নানা আয়োজন। তাদের অর্থের কাছে যেন সব কিছুই হার মানায়। তবে প্রশাসনের নজরদারী না থাকায় নারী সিন্ডিকেট দিন দিন বেপারোয়া হয়ে উঠছে উক্ত আবাসিক হোটেলটিতে। এসব বিষয়ে দৈনিক সংবাদ দিগন্ত গতকাল একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে এবং প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর নরেচরে বসেছে হোটেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু থেমে নেই হোটেলটির অপকর্ম। হোটেলটির মালিক স্বৈরাচারী আ.লীগের এক প্রভাবশালী নেতার এবং শেয়ার হিসেবে রয়েছে তানভীর ও ম্যানেজার হিসেবে দ্বয়ীত্ব পালন করছে সবুজ নামের এক নারী ও মাদক ব্যবসায়ী। তবে উক্ত হোটেলটি নিয়ন্ত্রন করেন তানভীর। আরো জানা গেছে, স্বৈরাচারী আ.লীগের তৎকালীন সময়ে নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে হোটেলটিতে সুন্দরী নারীদের দিয়ে পরিচালনা করে আসছিলেন তানভীর। তিনি ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে দিক নির্দেশনা দিতেন এবং হোটেল ম্যানেজারের সহযোগীতায় চলতো সুন্দরী নারীদের আনাগোনা। তাদের খদ্দের যোগোনে রয়েছে তাদের সোসাল মিডিয়া বা ওয়েব সাইডে প্রচার প্রচারনা। হোটেল মালিক দাবী করেন এটি থ্রি ষ্টার হোটেল। তবে থ্রি ষ্টার হোটেলে এসব অনৈতিক কর্মকান্ডের অনমোদন রয়েছে কিনা সেটি ক্ষতি দেখা উচিত বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট যুব সমাজ। কিন্তু আমাদের জানামতে কোন আবাসিক এলাকায় হোটেলের অনুমতি হয়না। এসব বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনের নজরদারী না থাকায় ক্রমেই বাড়ছে হোটেলটিতে নারী সিন্ডিকেটের তৎপরতা। রয়েছে বেশ কিছু কলগার্ল। আবার অনেক যুবতী ধর্ষনের শিকার হন। যাদের মাধ্যমে খদ্দেরদের বø্যাকমেইল করে থাকতেন। যথারিতি চলে ডিজে পার্টিও। আর পাশাপাশি চলতো মাদকের মরন নেশা। শুধু তাই নয় হোটেলটির জেলা প্রশাসকের অনুমোদন কিংবা ফায়ার সার্ভিসের ছাড়পত্র থাকার কথা থাকলেও কোনটাই নেই তাদের। এবিষয়ে গত ২৩/০১/২৪ ইং তারিখে দৈনিক সংবাদ দিগন্ত পত্রিকায় তাদের সকল অবৈধ কার্যক্রম নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হলে হোটেল মালিক তানভীর হোসেন বিএনপির পরিচয় দিয়ে গণমাধ্যম কর্মীকে হোয়াটসএ্যাপে প্রাননাশের হুমকি দিয়ে থাকেন যাহা আমাদের নিকট প্রমানিত রয়েছে এবং তিনি বলেন, আপনারা কি চাঁদা চাচ্ছেন। তাহলে দেখা যায় গণমাধ্যম কর্মীরা প্রতিবেদন প্রকাশ করলেই সেটি চাঁদা বলে দাবী করেন এবং বিভিন্ন রকমের ভয়ভিতি দেখান। তিনি আরো বলেন, আমার হোটেলে আসেন আমি দেখিয়ে দিব আপনারা কতবড় সাংবাদিক হইছেন। এমনকি মামলার হুমকি দেখান।
আবার তিনি হুমকি দেওয়ার সময় তার এক লোক তার নিকট ফোনটি কেরে নিয়ে বলেন, আপনি কিসের সাংবাদিক। আপনার বিষয়টি দেখছি এবং আপনি কত বড় সাংবাদিক দেখে নিব। অথচ স্বৈরাচারী আ.লীগের সরকারের সময় তারা নিজেরা আ.লীগের নেতাকর্মী পরিচয় দিয়ে আসছিলে। এখন ভোল পাল্টিয়ে আবার তারা নিজেরাই দ্বাবী করেন তারা ছাত্রদলের নেতা। এলাকার সাধারন জণগন অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ এসবের বিরদ্ধে কঠোর থাকলে হয়ত সমাজের সামাজিক ভারসম্য ফিরিয়ে আনতে পারে।
এবিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (কর অঞ্চল-৩) এর নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, আপনাদের অভিযোগ আমরা পেয়েছি। এর আগেও আমরা দুটি অবৈধ স্পা সেন্টারে অভিযান চালিয়ে সিলগালা করে দেই। তবে হোটেলটির বিষয় আমার ধারনা নেই। কিন্তু তারা যদি সমাজের পাপকাজ করে থাকে তাহলে কোন ছাড় দেওয়া হবেনা। এসবের কারনে সমাজে বড় ধরনের প্রভাব পরে। আমি এসব পক্ষে না। আমরা যত দ্রæত সম্ভব ব্যবস্থা নিব।
এদিকে গুলশান থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, ভাই আমি নতুন এসেছি। আপনার অভিযোগটি আমি শুনেছি এবং উপ-পুলিশ কমিশনারের সাথে আলাপ আলোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা নিব। এসব অপকর্মে আমি সম্পূর্ণ বিরোধীতা করছি। তবে উক্ত স্পা বা হোটেলের অনৈতিক কর্মকান্ড কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হবেনা। তাদেরকে আমরা আইনের আওতায় আনবো।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

রাজধানীতে অবৈধ স্পা ও হোটেলের অপরাধ দমনে উত্তর সিটি কর্পোরেশন ও পুলিশ কমিশনারের নিকট অভিযোগ

Update Time : 09:07:35 pm, Tuesday, 28 January 2025

রাজধানীর ডিপ্লোমেটিক জোন গুলশান জোন একটি অভিজাত ও ব্যস্ততম এলাকা। এখানে ভদ্র সমাজের মানুষের বসবাস এবং এসব এলাকায় গড়ে উঠেছিল বিগত স্বৈরাচারী সাশন আমলে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে আ.লীগের এজেন্টরা নামে বেনামে গড়ে তুলেছিল অবৈধ স্পা সেন্টার। এসব স্পা সেন্টার ঘিরে দীর্ঘদিন ধরে চলছে সমাজের অপৃত্তিকর ঘটনা ও এবিষয়ে জাতীয় দৈনিক সংবাদ দিগন্ত একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে।
একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, রোড নং ৪৭, হাউজ নং-২৫ (লিফটের ৫ম তলা) অল দ্যা বেষ্ট যাহার মালিক পায়েল এবং গুলশানের ২৪ নং রোডের ৯১/বি বাড়িটির দ্বীতিয় তলায় লাবনী আক্তার ইভার আরেকটি স্পা সেন্টার। তবে লাবনী আক্তার ইভার পেছনে রয়েছে একজন সাংবাদিক পরিচয় দানকারী আ.লীগের দোষর। জানা গেছে, উক্ত অবৈধ প্রতিষ্ঠানে বডি ম্যাসাজের নামে শারীরিক প্রশান্তির আড়ালে উঠতি বয়সি তরুণীদের দিয়ে অবৈধ দেহব্যবসা ও মাদক দ্রব্য সেবনের অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। অপরাধ দমনে আপনার কড়া বর্তা থাকলেও এসব বিষয়ে তাদের নেই কোন মাথা ব্যথা। এসব স্পা সেন্টারের ব্যাভিচারে পাপরাজ্যে পরিণত হতে চলেছে রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী গুলশান। অথচ তাদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
উক্ত অবৈধ স্পা সেন্টার দুটিতে বয়সভিত্তিক বিভিন্ন ক্যাটাগরির ১০-১২ জন মেয়ে দিয়ে ম্যাসেজ করানো হয়। বয়স ছাড়াও ম্যাসেজে পারদর্শী ও অপারদর্শীদের আলাদা ক্যাটাগরি রয়েছে।
সম্প্রত্তি, পুলিশের ঝামেলা হবে না তো? জানতে চাইলে অসাধু ব্যবসায়ীরা বলেন, কোনো সমস্যা নাই, আমাদের সব বৈধতার কাগজ আছে। আমরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করি, নিয়মিত মাসোয়ারা দেই। কোনো সমস্যা নাই। এভাবেই চলছে স্পা সেন্টারে অসামাজিক কার্যকলাপসহ নানা অপরাধ। আবর রাত্রিযাপনে ও চলে যৌন লিলাখেলা এবং মাদকের মরন নেশা। অসাধু ব্যবসায়ীরা নারী সিন্ডিকেটের অণ্যতম সদস্য। এরা স্বৈরাচারী আ.লীগ থেকে এখন নেজের ভোল পাল্টিয়ে বিএনপি বা অন্যান্য সংগঠনের পরিচয় দিয়ে প্রকাশ্যে চালিয়ে আসছে অবৈধ স্পা সেন্টারের আড়ালে ভয়াবহ কারবার।
বর্তমানে গুলশান অভিজাত পাড়া সহসাই যেন স্পার নামে নিরাপদ যৌন পাড়া হয়ে উঠছে। এ সকল স্পার শত-শত নারী প্রতারনা, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কার্যক্রমে জড়াচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে সিটি কর্পোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স নিয়েই চলছে এসব কারবার।
এদিকে গুলশানের অলিতে গলিতে গড়ে উঠেছে অবৈধ আবাসিক হোটেল। এসব আবাসিক হোটেল নামীদামী গাড়িতে করে কলগার্লসহ ভিআইপি সিআইপি সুন্দরী নারীদের চলে নীলাখেলা। সন্ধ্যা হলেই চোঁখে পরে নামীদামী গাড়িতে সুন্দরী রমনীদের আনাগোনা। জানা গেছে, রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশান-২, রোড নং ৬৮/এ ১৫ নং বাড়িটিতে অবস্থিত গড়ে ওঠা অবৈধ হোটেল ও গেষ্ট হাউজ পার্ক ভিউ। হোটেলটিতে প্রতিনিয়ত এসব কর্মকান্ডে ছাত্র-ছাত্রীদের অভিবাকরা লজ্জায় চলাফেরা করতে দিধাদন্ধে পড়ছে। বিলাশ বহুল হোটেটিতে রয়েছে অপরাধমূলক নানা আয়োজন। তাদের অর্থের কাছে যেন সব কিছুই হার মানায়। তবে প্রশাসনের নজরদারী না থাকায় নারী সিন্ডিকেট দিন দিন বেপারোয়া হয়ে উঠছে উক্ত আবাসিক হোটেলটিতে। এসব বিষয়ে দৈনিক সংবাদ দিগন্ত গতকাল একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে এবং প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর নরেচরে বসেছে হোটেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু থেমে নেই হোটেলটির অপকর্ম। হোটেলটির মালিক স্বৈরাচারী আ.লীগের এক প্রভাবশালী নেতার এবং শেয়ার হিসেবে রয়েছে তানভীর ও ম্যানেজার হিসেবে দ্বয়ীত্ব পালন করছে সবুজ নামের এক নারী ও মাদক ব্যবসায়ী। তবে উক্ত হোটেলটি নিয়ন্ত্রন করেন তানভীর। আরো জানা গেছে, স্বৈরাচারী আ.লীগের তৎকালীন সময়ে নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে হোটেলটিতে সুন্দরী নারীদের দিয়ে পরিচালনা করে আসছিলেন তানভীর। তিনি ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে দিক নির্দেশনা দিতেন এবং হোটেল ম্যানেজারের সহযোগীতায় চলতো সুন্দরী নারীদের আনাগোনা। তাদের খদ্দের যোগোনে রয়েছে তাদের সোসাল মিডিয়া বা ওয়েব সাইডে প্রচার প্রচারনা। হোটেল মালিক দাবী করেন এটি থ্রি ষ্টার হোটেল। তবে থ্রি ষ্টার হোটেলে এসব অনৈতিক কর্মকান্ডের অনমোদন রয়েছে কিনা সেটি ক্ষতি দেখা উচিত বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট যুব সমাজ। কিন্তু আমাদের জানামতে কোন আবাসিক এলাকায় হোটেলের অনুমতি হয়না। এসব বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনের নজরদারী না থাকায় ক্রমেই বাড়ছে হোটেলটিতে নারী সিন্ডিকেটের তৎপরতা। রয়েছে বেশ কিছু কলগার্ল। আবার অনেক যুবতী ধর্ষনের শিকার হন। যাদের মাধ্যমে খদ্দেরদের বø্যাকমেইল করে থাকতেন। যথারিতি চলে ডিজে পার্টিও। আর পাশাপাশি চলতো মাদকের মরন নেশা। শুধু তাই নয় হোটেলটির জেলা প্রশাসকের অনুমোদন কিংবা ফায়ার সার্ভিসের ছাড়পত্র থাকার কথা থাকলেও কোনটাই নেই তাদের। এবিষয়ে গত ২৩/০১/২৪ ইং তারিখে দৈনিক সংবাদ দিগন্ত পত্রিকায় তাদের সকল অবৈধ কার্যক্রম নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হলে হোটেল মালিক তানভীর হোসেন বিএনপির পরিচয় দিয়ে গণমাধ্যম কর্মীকে হোয়াটসএ্যাপে প্রাননাশের হুমকি দিয়ে থাকেন যাহা আমাদের নিকট প্রমানিত রয়েছে এবং তিনি বলেন, আপনারা কি চাঁদা চাচ্ছেন। তাহলে দেখা যায় গণমাধ্যম কর্মীরা প্রতিবেদন প্রকাশ করলেই সেটি চাঁদা বলে দাবী করেন এবং বিভিন্ন রকমের ভয়ভিতি দেখান। তিনি আরো বলেন, আমার হোটেলে আসেন আমি দেখিয়ে দিব আপনারা কতবড় সাংবাদিক হইছেন। এমনকি মামলার হুমকি দেখান।
আবার তিনি হুমকি দেওয়ার সময় তার এক লোক তার নিকট ফোনটি কেরে নিয়ে বলেন, আপনি কিসের সাংবাদিক। আপনার বিষয়টি দেখছি এবং আপনি কত বড় সাংবাদিক দেখে নিব। অথচ স্বৈরাচারী আ.লীগের সরকারের সময় তারা নিজেরা আ.লীগের নেতাকর্মী পরিচয় দিয়ে আসছিলে। এখন ভোল পাল্টিয়ে আবার তারা নিজেরাই দ্বাবী করেন তারা ছাত্রদলের নেতা। এলাকার সাধারন জণগন অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ এসবের বিরদ্ধে কঠোর থাকলে হয়ত সমাজের সামাজিক ভারসম্য ফিরিয়ে আনতে পারে।
এবিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (কর অঞ্চল-৩) এর নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, আপনাদের অভিযোগ আমরা পেয়েছি। এর আগেও আমরা দুটি অবৈধ স্পা সেন্টারে অভিযান চালিয়ে সিলগালা করে দেই। তবে হোটেলটির বিষয় আমার ধারনা নেই। কিন্তু তারা যদি সমাজের পাপকাজ করে থাকে তাহলে কোন ছাড় দেওয়া হবেনা। এসবের কারনে সমাজে বড় ধরনের প্রভাব পরে। আমি এসব পক্ষে না। আমরা যত দ্রæত সম্ভব ব্যবস্থা নিব।
এদিকে গুলশান থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, ভাই আমি নতুন এসেছি। আপনার অভিযোগটি আমি শুনেছি এবং উপ-পুলিশ কমিশনারের সাথে আলাপ আলোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা নিব। এসব অপকর্মে আমি সম্পূর্ণ বিরোধীতা করছি। তবে উক্ত স্পা বা হোটেলের অনৈতিক কর্মকান্ড কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হবেনা। তাদেরকে আমরা আইনের আওতায় আনবো।