
রাজধানীর মিরপুর মিরপুর-১ দারুস সালাম থানাধীন অবস্থিত হোটেল হোয়াইট ব্রিজ এবং শাহআলী থানাধীন হোটেল নিউ লন্ডন প্যালেস অবস্থিত। হোটেল দুটির মালিক সোহেলে রানা ওরফে ছদ্দ নাম মারুফ এবং রাশেদ দেহ ব্যবসা ও মানব পাচার এবং মাদক বাণিজ্যের মুল হোতার অভিযোগ উঠেছে। তার অপকর্ম ঢাকার জণ্য যোগ দেন ছাত্র আন্দোলনেও।
সেখান থেকে গড়ে উঠে তার ছাত্র সমাজ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে এবং সেই ঢাল হিসেবে তাদেরকে ব্যবহার করে তিনি গড়ে তুলে একটি বাহিনী। তবে তারা জানেন না সোহেল রানা ওরফে মারুফ উক্ত অপরাধের সাথে জড়িত রয়েছে এবং মারুফ বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ সাধারন ব্যবসায়ী, সাধারন জনগন এবং এলাকার যুব সমাজ। তিনি ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে হোটেল দালাল কর্তৃক প্রকাশ্যে বিভিন্ন অপরাধ করলেও তার ব্যক্তিগত সিন্ডিকেট দ্বাড়া নিয়ন্ত্রন করে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, সোহেল রানা ওরফের বাড়ি ঝালকাঠি জেলার নলছিটি থানার পাওতা ইউনিয়নের বাসিন্দা আব্দুল মোতালেব মাঝির ছেলে তিনি। তবে হোটেল হোয়াইট ব্রিজের তার আরেক পার্টনার রাশেদ প্রকাশ্যে না থাকলে মারুফ হোসেন তার সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা পরিচালনা করছেন মিরপুর-১ অবস্থিত হোটেল হোয়াইট ব্রিজ এবং হোটেল নিউ লন্ডন প্যালেস। আ.লীগের আমলে এসব প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠে এবং সোহেল রানা ওরফে মারুফ হোসেন আ.লীগের পরিচয় দিয়ে শেওরাপাড়া ও মিরপুর-১ এ ক্ষমতার দাপটে নারী ও মাদক বাণিজ্য চালিয়ে অসছিলেন দেধারছে। গেল মাসের ৫ই আগষ্ট ছাত্র আন্দোলনে ফেসিবাদ সরকারের পতন ঘটে। এরপরই অপরাধী মারুফ হোসেনের ভোল পাল্টিয়ে নিজেকে বিএনপি বা ছাত্র সমাজের পরিচয় দিয়ে আবারও শুরু করেন তার যত অপকর্ম।
এসব অপকর্মে এলাকার সমাজ কিংবা ছাত্র সমাজের সামাজিক ভারসম্য হারিয়ে যেতে বসেছে। তিনি মাথায় টুপি পরে ও দ্বাড়ীগোপ রেখে ধরাছোয়ার বাইরে থেকে অভিনব কৌশলে চালিয়ে আসছে তার সকল অপকর্ম। কিন্তু তাকে দেখে বোঝার উপায় নেই তিনি সেই নারী সিন্ডকেটের মূল হোতা এবং একজন জঙ্গি সংগঠনের লোক। তার অবৈধ হোটেলে জঙ্গি সংগঠনের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিকল্পনা হতো বলে অভিযোগ উঠেছে। আর পাশাপাশি মাদক বাণিজ্যতো রয়েছেই। এতে তার সহযোগী হিসেবে কাজ করছে হোটেল হোয়াইট ব্রিজের তার পার্টনার রাশেদ।
বর্তমানে সোহেল রানা ওরফে মারুফ হোসেনের মিরপুর বিভাগের আওতাধীন কাফরুল থানাধীন শেওরাপাড়া একটি আবাসিক আবাসিক হোটেল এবং দারুস সালাম থানাধীন রয়েছে হোটেল হোয়াইট প্যালেজ ও শাহআলী থানাধীন হোটেল লন্ডন প্যালেজ নামক তিনি হোটেল চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এসব হোটেলে নেই কোন বৈধতা।
আবাসিক হোটেলের নামে মিরপুর এলাকায় গড়ে তুলেছেন আবাসিক হোটেলের নামে পতিতালয় এবং মাদক বাণিজ্য কেন্দ্র। তাদের কথা মিষ্টি মধুর হলেও সন্ত্রাসী ষ্টাইলে হচ্ছে সমাজের যত অপকর্ম। মিরপুরজুরে রয়েছে তার নারী ও মাদক সিন্ডিকেটের বিশাল নেটওয়ার্ক। তবে অনেক ব্যবসায়ীরা বলছেন ভাই তিনি একজন বেপারোয়া লোক।
তাই তাকে আইনের আওতায় আনা হলে মিরপুরের কিছু সমাজ বেচে থাকতো। তার কারনে মিরপুরে আজ অনেকটাই উশৃঙ্খল এবং তিনি একজন টাউট বাটপার চিটার টাইপের লোক। তার কথা বার্তায় মনে হয় তিনি এই এলাকার নারী ও মাদক বাণিজ্যের প্রেসিডেন্ট। এবিষয়ে দৈনিক সংবাদ দিগন্ত পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। প্রকাশ হওয়ার পর তার সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বাড়া গনমাধ্যমকর্মীকে প্রাননাশের হুমকী প্রদান করে এবং বলেন, আপনাদের মত লোক আমি দেখে নেব ও আমি কে তা দেখিয়ে দিব।
এতে করে স্বাধীন দেশে গনমাধ্যম কর্মীরা সত্য ঘটনা তুলে ধরতে অনেকটা বিপাকে পরছে। তাই ছাত্র সমাজ ও যৌথ বাহিনীর বিষয়টি আমলে নিয়ে দ্রæত পদক্ষেপ নেওয়া হোক। শুধু তাই নয় উক্ত মারুফ হোসেন অন্যাণ্য হোটেল ব্যবসায়ীরা ভাল থাকার চেষ্টা করলেও তার তারনায় সেটিও সম্ভব হয়ে উঠে না।
এদিকে মারুফ হোসেন ও রাশেদ বলেন, ভাই আপনারা দারুস সালাম,কাফরুল ও শাহআলী থানায় খোঁজ নিয়ে দেখেন আমরা তাদেরকে প্রতিমাসে মাসোহাড়া দিয়ে আসছি। তাই ব্যবসাও করছি। আমার মনে করেছিলিলাম বর্তমানে স্বাধীন দেশে পুলিশ জনগনের সেবক হয়ে কাজ করবে। কিন্তু এখনো সংশোধন হয়নি পুলিশ। এতে নতুন করে পুলিশের বদনাম ছড়াচ্ছে। কথা আছে কয়লা ধুলে ময়লা যায়না। এছাড়া ছাত্র সমাজ ও বিএনপির নেতা কর্মীদের আমার মোটা অংকের চাঁদা দিয়ে ব্যবসা করে আসছি। তানহলে এসব ব্যবসা করা যায়কি। তবে শুনেছি মারুফ হোসেন, রাশেদ, ডিপজল ও আরিফ শিখেছেন এসব কাজ।
তাদের অন্যকোন কাজ করার বা ভাল পথে থাকার নেই কোন যোগ্যতা। এভাবে তাদের হোটেলে প্রতিনিয়ত ধর্ষন হচ্ছে একাধিক নারী। শুধু তাই নয় গ্রামের সহজ সরল মেয়েদের চাকুরীর প্রলোভন বা কোটি কোটি টাকার আয়ের উৎস দেখিয়ে ঢাকায় নিয়ে এসে প্রকাশ্যে হচ্ছে তাদেরকে দিয়ে যৌন বাণিজ্য। (চলবে)