Dhaka 4:39 am, Friday, 21 March 2025

সরগরম ইফতার রাজনীতি

সরগরম ইফতার রাজনীতি

পবিত্র রমজান মাস হওয়ায় রাজনৈতিক কর্মসূচি খুব একটা নেই দলগুলোর। ইফতার কর্মসূচিতে সমমনা দলগুলোর নেতাদের পরস্পরের সাক্ষাৎ-আলোচনা হচ্ছে। রমজান মাসের শুরু থেকেই ইফতার মাহফিল আয়োজন করে আসছে বিএনপি, জামায়াত, নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এই আয়োজনের মধ্যদিয়ে রমজান মাসকে তারা গণসংযোগের মাস হিসেবে বেছে নিয়েছে।

ইফতার মাহফিলগুলো পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী নানা ইস্যুতে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে মতের মিল এবং অমিলের বিষয়টি প্রকাশ পাচ্ছে দল দু’টির নেতাদের বক্তৃতা এবং বিবৃতিতে। এরপরও বিএনপি’র ইফতারে জামায়াতের নেতাদের এবং জামায়াতের ইফতারে বিএনপি’র নেতাদের দেখা যাচ্ছে। একই টেবিলে বসে ইফতার করেন নেতারা।

বিএনপি: প্রথম রোজায় রাজধানীর ইস্কাটনে লেডিস ক্লাবে এতিম-ওলামা-মাশায়েখদের নিয়ে ইফতার করে বিএনপি। এরপরে গত ৬ই মার্চ হোটেল ওয়েস্টিনে ঢাকায় কর্মরত বিদেশি কূটনীতিকদের নিয়ে ইফতার করে বিএনপি।দলকে সংগঠিত করা, দাবি, সজাগ থাকা এবং গণতন্ত্রের প্রতি যাতে নিবেদিত হয়, এই বার্তাগুলো ইফতার মাহফিলে নেতাকর্মীদের দেয়া হচ্ছে।

জামায়াত: দীর্ঘ এক দশক পর গত ৯ই মার্চ গুলশানে হোটেল ওয়েস্টিনে ঢাকায় কর্মরত কূটনীতিকদের নিয়ে ইফতার করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এরপর ১৫ই মার্চ বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় নেতৃবৃন্দ।ওদিকে গত ১১ই মার্চ রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের রূপসী বাংলা গ্র্যান্ড বলরুমে ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক, ছাত্র-শ্রমিক, ওলামায়ে কেরাম এবং বিশিষ্ট নাগরিকদের নিয়ে ইফতার মাহফিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি।

কিছু উদ্দেশ্যে এসব ইফতার মাহফিলকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে দলগুলো। এর মধ্যদিয়ে নেতা-কর্মীদের চাঙা  ও সমবেত করা এবং সাধারণ মানুষ যারা ইফতারে আসবেন তাদেরকে নির্বাচনের বার্তা দেয়া।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

সরগরম ইফতার রাজনীতি

Update Time : 03:30:24 pm, Thursday, 20 March 2025

পবিত্র রমজান মাস হওয়ায় রাজনৈতিক কর্মসূচি খুব একটা নেই দলগুলোর। ইফতার কর্মসূচিতে সমমনা দলগুলোর নেতাদের পরস্পরের সাক্ষাৎ-আলোচনা হচ্ছে। রমজান মাসের শুরু থেকেই ইফতার মাহফিল আয়োজন করে আসছে বিএনপি, জামায়াত, নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এই আয়োজনের মধ্যদিয়ে রমজান মাসকে তারা গণসংযোগের মাস হিসেবে বেছে নিয়েছে।

ইফতার মাহফিলগুলো পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী নানা ইস্যুতে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে মতের মিল এবং অমিলের বিষয়টি প্রকাশ পাচ্ছে দল দু’টির নেতাদের বক্তৃতা এবং বিবৃতিতে। এরপরও বিএনপি’র ইফতারে জামায়াতের নেতাদের এবং জামায়াতের ইফতারে বিএনপি’র নেতাদের দেখা যাচ্ছে। একই টেবিলে বসে ইফতার করেন নেতারা।

বিএনপি: প্রথম রোজায় রাজধানীর ইস্কাটনে লেডিস ক্লাবে এতিম-ওলামা-মাশায়েখদের নিয়ে ইফতার করে বিএনপি। এরপরে গত ৬ই মার্চ হোটেল ওয়েস্টিনে ঢাকায় কর্মরত বিদেশি কূটনীতিকদের নিয়ে ইফতার করে বিএনপি।দলকে সংগঠিত করা, দাবি, সজাগ থাকা এবং গণতন্ত্রের প্রতি যাতে নিবেদিত হয়, এই বার্তাগুলো ইফতার মাহফিলে নেতাকর্মীদের দেয়া হচ্ছে।

জামায়াত: দীর্ঘ এক দশক পর গত ৯ই মার্চ গুলশানে হোটেল ওয়েস্টিনে ঢাকায় কর্মরত কূটনীতিকদের নিয়ে ইফতার করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এরপর ১৫ই মার্চ বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় নেতৃবৃন্দ।ওদিকে গত ১১ই মার্চ রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের রূপসী বাংলা গ্র্যান্ড বলরুমে ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক, ছাত্র-শ্রমিক, ওলামায়ে কেরাম এবং বিশিষ্ট নাগরিকদের নিয়ে ইফতার মাহফিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি।

কিছু উদ্দেশ্যে এসব ইফতার মাহফিলকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে দলগুলো। এর মধ্যদিয়ে নেতা-কর্মীদের চাঙা  ও সমবেত করা এবং সাধারণ মানুষ যারা ইফতারে আসবেন তাদেরকে নির্বাচনের বার্তা দেয়া।