Dhaka 1:40 pm, Saturday, 15 March 2025

গুলশানে অবৈধ স্পা সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযোগের হুদিস নেই, পুলিশের নাকের ডগায় প্রকাশ্যে চলছে নারী ও মাদক বাণিজ্য! 

রাজধানীর ডিপ্লোমেটিক জোন গুলশান জোন একটি অভিজাত এলাকা এবং ব্যঙের ছাতারমত গড়ে উঠেছে অবৈধ স্পা সেন্টার বা ম্যাসাজ পার্লার। একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, গুলশান-২ রোড নং ৪৭, হাউজ নং-২৫ (লিফটের ৫ম তলা) অল দ্যা বেষ্ট (লাক্সারী স্পা) যাহার মালিক পায়েল। এসব অবৈধ প্রতিষ্ঠানে বডি ম্যাসাজের নামে শারীরিক প্রশান্তির আড়ালে উঠতি বয়সি তরুণীদের দিয়ে অবৈধ দেহব্যবসা ও মাদক দ্রব্য সেবনের অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। এবিষয়ে গত ২১/১২/২৪ ইং তারিখে গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনারের নিকট একটি অভিযোগ দ্বায়ের করা হয় এবং ৫ কার্যদিবসে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে একটি প্রতিবেদন চাওয়া হয় এবং দৈনিক সংবাদ দিগন্ত একাধিক প্রদিবেদন করলে ভ‚মিকা নেই গুলশান বিভাগের পুলিশের। স্বৈরাচারী ফ্যাসিবাদ আ.লীগ সরকারের সময় গড়ে ওঠে এবং অতীতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকা বিভিন্ন সংস্থার প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এসব অবাধ সমাজবিরোধী কার্যক্রম রোধে গুলশান বিভাগের দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তারা বন্ধ করলেও বর্তমানে এসব প্রতিষ্ঠান বেশ রমরমা। উক্ত অবৈধ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আপনাদের নিকট অভিযোগ জানালে নেই কোন প্রতিকার। শুধু তাই নয় গুলশান থানার ওসিকে বিষয়টি অবগত করলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। আমরা জানি ডিএমপির পুলিশ কমিশনারের কড়া বর্তা থাকলেও থানা পুলিশের সেবার নামে দেখা যায় তার ভিন্ন চিত্র। এসব স্পা সেন্টারের ব্যাভিচারে পাপরাজ্যে পরিণত হতে চলেছে রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী গুলশান।
এদিকে ডায়মন্ডের আসাধু ব্যবসায়ী পায়েল বলেন, এসব লেখালেখি করে লাভ নেই কারন আমরা বিষয়টি থানা থেকে শুরু করে উপর মহলের সবাই জানেন। তাছাড়া গুলশান বিভাগের গুলশান থানা থেকে শুরু করে সকলেই জানেন এবং মাসোহারা নিয়ে থাকেন। এসব অপরাধকে কেন্দ্র করে আইন-শৃঙ্খলা ও পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে যথারিতি। এভাবেই পুলিশের নাকের ডগায় প্রকাশ্যে চলছে সমাজের যত অপকর্ম। তবে উক্ত অসাধু ব্যবসায়ীরা মাদক ও নারী ব্যবসায়ীর সিন্ডিকেট। তাদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় একাধিক মামলাও রয়েছে। শুধু তাই নয় বিভিন্নভাবে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রকাশ্যে তারা হুমকি দিয়ে আসছে।
এদিকে স্বৈরাচারী সরকারের পতন হওয়ার পর গুলশান অভিজাত পাড়া সহসাই যেন স্পার নামে নিরাপদ যৌন পাড়া হয়ে উঠছে। এ সকল স্পার শত-শত নারী প্রতারনা, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কার্যক্রমে জড়াচ্ছে। স্পা করাতে আসা ব্যক্তিরা এক বার ফেঁসে গেলে আর রেহাই মিলছে না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভুক্তভোগীরা জানান, স্পা করার ভিডিও ধারন করে পরিবার কে পাঠিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। এ সকল স্পা বা যৌন পার্লারে ধ্বংস হচ্ছে শিক্ষার্থী, যুব সমাজসহ নানা পেশার লোকজন।
সম্প্রত্তি, গণমাধ্যম কর্মীরা সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে নিজেদের ঝুঁকি নিয়ে সংগঠিত এমন সমাজ বিরোধী কর্মকান্ডের তথ্য তুলে ধরেন সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্তা ব্যক্তিদের দৃষ্টি গোচরের জন্য তারা হয়তো বিষয়গুলো বিধি মতো সুরাহা করবেন। এলাকার সাধারণ বাসিন্দারা সব সময় দাবী করেন, অশ্লীলতার এমন আগ্রাসন থেকে মুক্ত সামাজিক পরিবেশ ও পাপাচার মুক্ত সুন্দর মানব সমাজ। সেক্ষেত্রে পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সর্বমহল যেনো তাঁদের যথাযথ ভূমিকা রাখেন সেই আশা প্রত্যাশা করেন সমাজের বিশিষ্টজনেরা। তবুও থেমে নেই আসাধু ব্যবসায়ীরা। এসব প্রতিষ্ঠানে স্কুল কলেজের সুন্দরী মেয়েদের ভাল বেতনে চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাদেরকে দিয়ে দেহ ব্যবসাসহ সমাজের নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে থাকেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে অভিযোগ উঠলেও খদ্দের যোগানে সোসাল মিডিয়ায় প্রচার প্রচারনা কম নেই। শুধু তাই নয় অসাধু ব্যবসায়ীরা একটি ফেসবুক গ্রæপ খুলে গণমাধ্যম কর্মী ও পুলিশের নামে বিভিন্ন অশ্লিল ভাষায় কথা বলতে দেখা যায় এবং তারা আ.লীগ সরকার পতন হওয়ার পন তাদের ভোল পাল্টিয়ে বিএনপি কিংবা বিভিন্ন সংগঠেনের পরিচয়ে বেশ দাপটের সাথেই সমাজের অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে। (প্রতিবেদনটি চলমান থাকবে)

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

গুলশানে অবৈধ স্পা সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযোগের হুদিস নেই, পুলিশের নাকের ডগায় প্রকাশ্যে চলছে নারী ও মাদক বাণিজ্য! 

Update Time : 05:53:50 pm, Tuesday, 24 December 2024

রাজধানীর ডিপ্লোমেটিক জোন গুলশান জোন একটি অভিজাত এলাকা এবং ব্যঙের ছাতারমত গড়ে উঠেছে অবৈধ স্পা সেন্টার বা ম্যাসাজ পার্লার। একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, গুলশান-২ রোড নং ৪৭, হাউজ নং-২৫ (লিফটের ৫ম তলা) অল দ্যা বেষ্ট (লাক্সারী স্পা) যাহার মালিক পায়েল। এসব অবৈধ প্রতিষ্ঠানে বডি ম্যাসাজের নামে শারীরিক প্রশান্তির আড়ালে উঠতি বয়সি তরুণীদের দিয়ে অবৈধ দেহব্যবসা ও মাদক দ্রব্য সেবনের অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। এবিষয়ে গত ২১/১২/২৪ ইং তারিখে গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনারের নিকট একটি অভিযোগ দ্বায়ের করা হয় এবং ৫ কার্যদিবসে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে একটি প্রতিবেদন চাওয়া হয় এবং দৈনিক সংবাদ দিগন্ত একাধিক প্রদিবেদন করলে ভ‚মিকা নেই গুলশান বিভাগের পুলিশের। স্বৈরাচারী ফ্যাসিবাদ আ.লীগ সরকারের সময় গড়ে ওঠে এবং অতীতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকা বিভিন্ন সংস্থার প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এসব অবাধ সমাজবিরোধী কার্যক্রম রোধে গুলশান বিভাগের দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তারা বন্ধ করলেও বর্তমানে এসব প্রতিষ্ঠান বেশ রমরমা। উক্ত অবৈধ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আপনাদের নিকট অভিযোগ জানালে নেই কোন প্রতিকার। শুধু তাই নয় গুলশান থানার ওসিকে বিষয়টি অবগত করলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। আমরা জানি ডিএমপির পুলিশ কমিশনারের কড়া বর্তা থাকলেও থানা পুলিশের সেবার নামে দেখা যায় তার ভিন্ন চিত্র। এসব স্পা সেন্টারের ব্যাভিচারে পাপরাজ্যে পরিণত হতে চলেছে রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী গুলশান।
এদিকে ডায়মন্ডের আসাধু ব্যবসায়ী পায়েল বলেন, এসব লেখালেখি করে লাভ নেই কারন আমরা বিষয়টি থানা থেকে শুরু করে উপর মহলের সবাই জানেন। তাছাড়া গুলশান বিভাগের গুলশান থানা থেকে শুরু করে সকলেই জানেন এবং মাসোহারা নিয়ে থাকেন। এসব অপরাধকে কেন্দ্র করে আইন-শৃঙ্খলা ও পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে যথারিতি। এভাবেই পুলিশের নাকের ডগায় প্রকাশ্যে চলছে সমাজের যত অপকর্ম। তবে উক্ত অসাধু ব্যবসায়ীরা মাদক ও নারী ব্যবসায়ীর সিন্ডিকেট। তাদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় একাধিক মামলাও রয়েছে। শুধু তাই নয় বিভিন্নভাবে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রকাশ্যে তারা হুমকি দিয়ে আসছে।
এদিকে স্বৈরাচারী সরকারের পতন হওয়ার পর গুলশান অভিজাত পাড়া সহসাই যেন স্পার নামে নিরাপদ যৌন পাড়া হয়ে উঠছে। এ সকল স্পার শত-শত নারী প্রতারনা, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কার্যক্রমে জড়াচ্ছে। স্পা করাতে আসা ব্যক্তিরা এক বার ফেঁসে গেলে আর রেহাই মিলছে না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভুক্তভোগীরা জানান, স্পা করার ভিডিও ধারন করে পরিবার কে পাঠিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। এ সকল স্পা বা যৌন পার্লারে ধ্বংস হচ্ছে শিক্ষার্থী, যুব সমাজসহ নানা পেশার লোকজন।
সম্প্রত্তি, গণমাধ্যম কর্মীরা সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে নিজেদের ঝুঁকি নিয়ে সংগঠিত এমন সমাজ বিরোধী কর্মকান্ডের তথ্য তুলে ধরেন সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্তা ব্যক্তিদের দৃষ্টি গোচরের জন্য তারা হয়তো বিষয়গুলো বিধি মতো সুরাহা করবেন। এলাকার সাধারণ বাসিন্দারা সব সময় দাবী করেন, অশ্লীলতার এমন আগ্রাসন থেকে মুক্ত সামাজিক পরিবেশ ও পাপাচার মুক্ত সুন্দর মানব সমাজ। সেক্ষেত্রে পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সর্বমহল যেনো তাঁদের যথাযথ ভূমিকা রাখেন সেই আশা প্রত্যাশা করেন সমাজের বিশিষ্টজনেরা। তবুও থেমে নেই আসাধু ব্যবসায়ীরা। এসব প্রতিষ্ঠানে স্কুল কলেজের সুন্দরী মেয়েদের ভাল বেতনে চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাদেরকে দিয়ে দেহ ব্যবসাসহ সমাজের নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে থাকেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে অভিযোগ উঠলেও খদ্দের যোগানে সোসাল মিডিয়ায় প্রচার প্রচারনা কম নেই। শুধু তাই নয় অসাধু ব্যবসায়ীরা একটি ফেসবুক গ্রæপ খুলে গণমাধ্যম কর্মী ও পুলিশের নামে বিভিন্ন অশ্লিল ভাষায় কথা বলতে দেখা যায় এবং তারা আ.লীগ সরকার পতন হওয়ার পন তাদের ভোল পাল্টিয়ে বিএনপি কিংবা বিভিন্ন সংগঠেনের পরিচয়ে বেশ দাপটের সাথেই সমাজের অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে। (প্রতিবেদনটি চলমান থাকবে)