
যদি শুধু আমার কথা বলি, অধিনায়ক হওয়ার আগেও আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় টার্গেটেড প্লেয়ার ছিলাম। এর একটা কারণ, আমার পারফরম্যান্স আপ টু দ্য মার্ক নয়। এটা আমি দায়িত্ব নিয়েই বলছি। অধিনায়ক হওয়ার পর এটা আরও বেড়ে গেছে। আমাদের দেশে ক্যাপ্টেন্সি করার চ্যালেঞ্জ হলো ওই মানুষটার ওপর ফোকাসটা অনেক বেশি বেড়ে যায়। তার পারফরম্যান্স, টিম কীভাবে চালাচ্ছে ।
এটা আমি এনজয়ই করি।সমস্যা হলো, আমাদের দেশে ক্যাপ্টেনকে সাহায্য করার লোক কম। ক্রিকেট বোর্ড বলেন বা আশপাশে যারা আছে, তাদের কথা বলেন। আস্তে আস্তে কিছু চেঞ্জ হচ্ছে, ভবিষ্যতে আরও হবে। আমার কথা হলো, কাউকে অধিনায়ক করলে তার ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে। তাকে প্রায়োরিটি দিতে হবে, অথরিটি দিতে হবে। এমনিতেই বাংলাদেশে অধিনায়কত্ব করা কঠিন। কারণ, আমাদের টিমের পারফরম্যান্স ভালো নয়, আমি নিজে এত ধারাবাহিক পারফরমার নই…।
বিরাট কোহলির মতো নিয়মিত রান করলে এত কঠিন হতো না, বাংলাদেশ অনেক জিতত, সহজ হয়ে যেত। আমার তো মনে হয়, অস্ট্রেলিয়া টিমের ক্যাপ্টেন্সি করা সহজ। অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিতে চাচ্ছিলাম, কারণ আমি যা চাচ্ছিলাম, পাচ্ছিলাম না। আবার দেখা গেছে, আমি কিছু কাজ করছি, সেটি সফল হলে কৃতিত্বটা অন্যদিকে চলে যাচ্ছে। আর খারাপ কিছু হলে দোষটা আমার ওপর চলে আসছে। আমি এমন একটা ছেলে, নিজের কথা নিজে বলতে পারি না।