
কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় সুমাইয়া আক্তার (২০) নামের এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে তার স্বামী রমজান আলীকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৪ মার্চ) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের পানিরছড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার রমজান আলী হোয়ানক ইউনিয়নের পূর্ব জামালপাড়ার আজিজুল হকের ছেলে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে স্ত্রী সুমাইয়া আক্তারকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করেন রমজান আলী। এরপর গ্রেপ্তার এড়াতে স্ত্রীর মরদেহ খাটের ওপর রেখেই বান্দরবানে পালিয়ে যান তিনি। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ তার অবস্থান শনাক্ত করে। এক পর্যায়ে এক আত্মীয়কে দিয়ে কৌশলে ডেকে এলাকায় এনে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে নিহত সুমাইয়া আক্তারের মা মহেশখালী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। নিহতের পরিবার জানায়, তিন বছর আগে সুমাইয়ার সঙ্গে রমজানের বিয়ে হয়। মাস তিনেক পর থেকেই নানা অজুহাতে রমজান সুমাইয়ার ওপর নির্যাতন করে আসছিলেন। পারিবারিক কলহের জেরে গত বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে আবারও রমজান আলী তার স্ত্রীর ওপর নির্যাতন চালান। একপর্যায়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তাকে হত্যা করেন।নিহত সুমাইয়ার স্বজন মোহাম্মদ ছৈয়দ কবির বলেন, শুক্রবার সকাল সাতটার দিকে সুমাইয়ার ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম বোনের শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে খাটের ওপর মরদেটি দেখতে পায়। এ সময় সুমাইয়ার দুই বছরের মেয়ে পাশে ঘুমাচ্ছিল।এ বিষয়ে মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কাইছার হামিদ বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে রমজান আলী তার স্ত্রীকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছেন। তাকে শনিবার সকালে মহেশখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হবে। সেখানে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার কথা রয়েছে তার।