
ফের ইসরায়েলি জাহাজগুলো সামরিক অভিযান শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে ইয়েমেনের হুতি যোদ্ধারা। মূলত ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার ক্রসিং পুনরায় চালু করা এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত ভূখণ্ডে ত্রাণ সরবরাহের অনুমতি দেয়ার জন্য ইসরায়েলকে সময় বেধে দিয়েছিল যোদ্ধারা। সেই সময়সীমা শেষ হলেও ইসরায়েলের পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় উপকূলীয় অঞ্চলে ইসরায়েলি জাহাজগুলোকে লক্ষ্য করে আবার সামরিক অভিযান শুরু করার ঘোষণা দিলো।বুধবার (১২ মার্চ) ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী ঘোষণা দিয়েছে যে, দেশটির আনসারুল্লাহ প্রতিরোধ আন্দোলনের নেতা আব্দুল-মালিক আল-হুতির জারি করা একটি ডিক্রি অনুসারে এই হামলা শুরু হবে।এর আগে তেল আবিব ক্রসিংগুলো বন্ধ করে দেয়ার পর তা আবার চালু করার জন্য দখলদার ইসরায়েলকে চারদিন সময় দিয়েছিলেন হুতি নেতা। ওই সময়সীমা শেষ হলেও ইসরায়েল ত্রাণ সরবরাহের অনুমতি দেয়নি। গাজার ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসকে বন্দিদের মুক্তি দিতে বাধ্য করার জন্য ইসরায়েল এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
এদিকে ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী জানিয়েছে, “মধ্যস্থতাকারীরা ক্রসিংগুলো খুলে দেয়ার লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হওয়ায় ইয়েমেন ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থনে তার অবস্থান আরো বাড়িয়েছে।”ইয়েমেনি সেনারা বলেছে, “অবিলম্বে কার্যকরভাবে সব ইসরায়েলি জাহাজকে লোহিত সাগর, আরব সাগর, বাব আল-মান্দেব প্রণালী এবং এডেন উপসাগরকে ঘিরে নির্ধারিত অপারেশনাল জোনে চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।” সতর্ক করে দিয়ে যোদ্ধারা বলেছে, এই নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের চেষ্টাকারী যেকোনো ইসরায়েলি জাহাজকে লক্ষ্যবস্তু করা হবে।