
রাজধানীর মিরপুর-১ নম্বর এলাকার বাগদাদ মার্কেটসহ আশপাশে গড়ে উঠেছে একাধিক অনুমোদনহীন আবাসিক হোটেল। অভিযোগ রয়েছে, এসব হোটেলকে ঘিরে চলছে মাদক ব্যবসা, নারী বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড।
স্থানীয় সূত্র ও অনুসন্ধানে জানা যায়, এসব হোটেল মূলত আবাসিক সাইনবোর্ড ব্যবহার করলেও ভিতরে এর কার্যক্রম সম্পূর্ণ ভিন্ন। হোটেলগুলোর পরিবেশ ও কার্যক্রম নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে রয়েছে তীব্র অসন্তোষ ও শঙ্কা। অনেক অভিভাবক অভিযোগ করেছেন, এসব হোটেলের কারণে এলাকায় বসবাস করা শিক্ষার্থী ও তরুণ-তরুণীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
বিশেষ করে বাগদাদ মার্কেটের ৯ম তলায় অবস্থিত ‘হোটেল আল-মামুন’ নামের একটি আবাসিক হোটেলকে ঘিরে সরব রয়েছে নানা অভিযোগ। স্থানীয়দের দাবি, এখানে নিয়মিত নারী ও মাদক সংশ্লিষ্ট সিন্ডিকেটের কার্যক্রম চলে। পূর্বে যেসব হোটেল বন্ধ হয়েছে, সেগুলোর মালিকেরাই এই হোটেল পরিচালনায় জড়িত বলে জানা গেছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের একাংশ জানান, মাঝে মধ্যে পুলিশের অভিযান চালানো হলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। অভিযোগ আছে, এসব হোটেল মাসিক ভিত্তিতে অর্থ প্রদানের মাধ্যমে প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় পরিচালিত হয়ে আসছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) শাহআলী থানার আওতাধীন এই এলাকায় অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিষয়টি এড়িয়ে যান বলে জানিয়েছেন একাধিক সাংবাদিক। এতে করে প্রশাসনের ভূমিকাও প্রশ্নের মুখে পড়েছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, রাজধানীতে এভাবে অননুমোদিত আবাসিক হোটেল গড়ে ওঠা এবং সেখানে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিস্তার রোধে প্রয়োজন জোরালো প্রশাসনিক পদক্ষেপ এবং রাজনৈতিক সদিচ্ছা। অন্যথায় এসব হোটেল এলাকাবাসীর জন্য একটি দীর্ঘস্থায়ী নিরাপত্তা হুমকিতে পরিণত হতে পারে।
ডিএমপির শাহআলী থানাধীন বাগদাদ মার্কেটের ৯ম তলায় অবস্থিত হোটেল আল-মামুন। হোটেলটি নারী ও মাদক সিন্ডিকেটদের নারী বাণিজ্য
এসব অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হোক