Dhaka 3:18 pm, Monday, 17 March 2025

কুড়িল বিশ্বরোডে ওসির নাম ভাঙ্গিয়ে হোটেল লেগ ভিউতে মজিদের নারী বাণিজ্য!

রাজধানীর ভাটাড়া ধানাধীন কুড়িল বিশ্বরোডে অবস্থিত হোটেল লেগ ভিউ। হোটেলটি আবাসিকের নামে পরিচিতি থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে অনৈতিক কাজ। আর এই অবৈধ পতিতালয়ে উঠতি বয়সী ছেলেদের আনাগোনাই বেশি। বিশেষ করে কলেজ—বিশ্ববিদ্যালয়ের­ ছাত্ররা। এতে ধ্বংস হচ্ছে যুব সমাজ। হোটেলটির বিভিণ্ণ কর্মকান্ড নিয়ে “সংবাদ দিগন্ত” পত্রিকায় এর আগেও একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। কিন্তু কোন এক রহস্য বেড়াজালে ভাটাড়া থানা পুলিশ কোন পদক্ষেপ নেয়নি বলে জানা গেছে। তবে হোটেল পরিচালনাকারী মামুন বলেন, ভাই মালিকের নির্দেশে এসব করে থাকি। তাছাড়া থানা পুলিশের সাথে হোটেল মালিক মজিদ নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। তাই তারা ভাল করে জানেন আমাদের এখানে কিধরনের ব্যবসা চলছে। তাই আপনরা যা খুুশি করতে পারেন। তবে আমাদের প্রতিষ্ঠান নিয়ে আর যদি কোন প্রতিবেদন প্রকাশ করেন তাহলে মিথ্যা মামলাসহ বিভিন্নভাবে আপনার হয়রানীর শিকার হবেন। কারন থানার ওসির সাথে আমার খুব ভালো সম্পর্ক এবং তিনি খুব ভাল করেই জানেন আমি কেমন লোক। অপরাধীরা কখনো নিজেকে সাংবাদিক আবার কখনো নিজেকে বড় মাপের ক্যাডার পরিচয় দিয়ে থাকেন। হোটেল মালিক মজিদের পিতাও ছিলেন একজন আন্ডারওয়াল্ডের হোটেল ব্যবসায়ী। তাই তার ছেলেও হয়েছেন অবৈধ হোটেল ব্যবসা ঘিরে নারী সিন্ডিকেটের একজন বড় ব্যবসায়ী। উক্ত লেগ ভিউ হোটেলটি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে একাধিক সিসি ক্যামেরা। যাতে আইন—শৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালানোর আগেই নারী ব্যবসায়ীরা নিরাপদ স্থানে ছিটকে পরতে পারে। শুধু তাই নয় অভিযোগ রয়েছে ব্লা্যক—মেইলেরও।
এবিষয়ে হোটেল পরিচালনাকারী মামুন আরো বলেন, ভাই এসব ব্যবসায় সবাইকে দিয়ে কিছুই থাকেনা। এখন প্রশ্ন হচ্ছে তারা কেন সবাইকে মাসোহাড়া দিয়ে থাকেন বা কেন দেন, তাদের আবাসিক হোটেলে কিধরনের ব্যবসা সেটা ক্ষতিয়ে দেখা উচিত বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট মহল।

আরো পড়ুন: উত্তরায় অভিনব কায়দায় চলছে হোটেল আকবরে নারী বাণিজ্য
এই সিন্ডিকেট মেয়েদের কে জোর পূর্বক মাদক সেবন করিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে খদ্দেরদের রুমে পাঠিয়ে অবৈধ দেহব্যবসার কাজে সুযোগ করে দিচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে ওই হোটেলের কয়েকটি রুমে রয়েছে একাধিক নারী। বিভিন্নভাবে কাস্টমারকে আকৃষ্ট করতে তারা থাকে ব্যস্ত। পছন্দ হলে চলে আর্থিক লেনদেনের দরকষাকষি। পছন্দ না হলে কেউ ফিরেও আসেন। বাস্তবে এমন চিত্র মেলে সেখানে। তাও প্রমান রয়েছে গণমাধ্যম কর্মীদের হাতে। খোঁজ নিয়ে আরো জানা গেছে, দেহ ব্যবসায় জড়িতরা বেশিরভাগ ভ্রাম্যমাণ পতিতা। এদের বড় ধরনের নেটওয়ার্ক রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন এলাকায় পরিবেশ—পরিস্থিতি বুুঝে এই অবৈধ ব্যবসা করেন মজিদ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে উক্ত আবাসিক হোটেলে কর্মরত এক ব্যক্তি জানান, আমি এখানে চাকরি করি। হোটেলের মালিকপক্ষ বিভিন্ন বয়সের নারীদের নিয়ে এসে পতিতাবৃত্তি চালিয়ে আসছেন। এই হোটেলে যে কোনো সময়ে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন ধরনের নারীর দেখা মিলবে। আরো বিস্তারিত আসছে আগামীকাল….

আরো পড়ুন: আব্দুল্লাহপুরে আবাসিক হোটেল আকবরে নারী বাণিজ্যের হোতা এরা কারা?

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

কুড়িল বিশ্বরোডে ওসির নাম ভাঙ্গিয়ে হোটেল লেগ ভিউতে মজিদের নারী বাণিজ্য!

Update Time : 04:44:18 pm, Monday, 3 June 2024

রাজধানীর ভাটাড়া ধানাধীন কুড়িল বিশ্বরোডে অবস্থিত হোটেল লেগ ভিউ। হোটেলটি আবাসিকের নামে পরিচিতি থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে অনৈতিক কাজ। আর এই অবৈধ পতিতালয়ে উঠতি বয়সী ছেলেদের আনাগোনাই বেশি। বিশেষ করে কলেজ—বিশ্ববিদ্যালয়ের­ ছাত্ররা। এতে ধ্বংস হচ্ছে যুব সমাজ। হোটেলটির বিভিণ্ণ কর্মকান্ড নিয়ে “সংবাদ দিগন্ত” পত্রিকায় এর আগেও একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। কিন্তু কোন এক রহস্য বেড়াজালে ভাটাড়া থানা পুলিশ কোন পদক্ষেপ নেয়নি বলে জানা গেছে। তবে হোটেল পরিচালনাকারী মামুন বলেন, ভাই মালিকের নির্দেশে এসব করে থাকি। তাছাড়া থানা পুলিশের সাথে হোটেল মালিক মজিদ নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। তাই তারা ভাল করে জানেন আমাদের এখানে কিধরনের ব্যবসা চলছে। তাই আপনরা যা খুুশি করতে পারেন। তবে আমাদের প্রতিষ্ঠান নিয়ে আর যদি কোন প্রতিবেদন প্রকাশ করেন তাহলে মিথ্যা মামলাসহ বিভিন্নভাবে আপনার হয়রানীর শিকার হবেন। কারন থানার ওসির সাথে আমার খুব ভালো সম্পর্ক এবং তিনি খুব ভাল করেই জানেন আমি কেমন লোক। অপরাধীরা কখনো নিজেকে সাংবাদিক আবার কখনো নিজেকে বড় মাপের ক্যাডার পরিচয় দিয়ে থাকেন। হোটেল মালিক মজিদের পিতাও ছিলেন একজন আন্ডারওয়াল্ডের হোটেল ব্যবসায়ী। তাই তার ছেলেও হয়েছেন অবৈধ হোটেল ব্যবসা ঘিরে নারী সিন্ডিকেটের একজন বড় ব্যবসায়ী। উক্ত লেগ ভিউ হোটেলটি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে একাধিক সিসি ক্যামেরা। যাতে আইন—শৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালানোর আগেই নারী ব্যবসায়ীরা নিরাপদ স্থানে ছিটকে পরতে পারে। শুধু তাই নয় অভিযোগ রয়েছে ব্লা্যক—মেইলেরও।
এবিষয়ে হোটেল পরিচালনাকারী মামুন আরো বলেন, ভাই এসব ব্যবসায় সবাইকে দিয়ে কিছুই থাকেনা। এখন প্রশ্ন হচ্ছে তারা কেন সবাইকে মাসোহাড়া দিয়ে থাকেন বা কেন দেন, তাদের আবাসিক হোটেলে কিধরনের ব্যবসা সেটা ক্ষতিয়ে দেখা উচিত বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট মহল।

আরো পড়ুন: উত্তরায় অভিনব কায়দায় চলছে হোটেল আকবরে নারী বাণিজ্য
এই সিন্ডিকেট মেয়েদের কে জোর পূর্বক মাদক সেবন করিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে খদ্দেরদের রুমে পাঠিয়ে অবৈধ দেহব্যবসার কাজে সুযোগ করে দিচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে ওই হোটেলের কয়েকটি রুমে রয়েছে একাধিক নারী। বিভিন্নভাবে কাস্টমারকে আকৃষ্ট করতে তারা থাকে ব্যস্ত। পছন্দ হলে চলে আর্থিক লেনদেনের দরকষাকষি। পছন্দ না হলে কেউ ফিরেও আসেন। বাস্তবে এমন চিত্র মেলে সেখানে। তাও প্রমান রয়েছে গণমাধ্যম কর্মীদের হাতে। খোঁজ নিয়ে আরো জানা গেছে, দেহ ব্যবসায় জড়িতরা বেশিরভাগ ভ্রাম্যমাণ পতিতা। এদের বড় ধরনের নেটওয়ার্ক রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন এলাকায় পরিবেশ—পরিস্থিতি বুুঝে এই অবৈধ ব্যবসা করেন মজিদ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে উক্ত আবাসিক হোটেলে কর্মরত এক ব্যক্তি জানান, আমি এখানে চাকরি করি। হোটেলের মালিকপক্ষ বিভিন্ন বয়সের নারীদের নিয়ে এসে পতিতাবৃত্তি চালিয়ে আসছেন। এই হোটেলে যে কোনো সময়ে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন ধরনের নারীর দেখা মিলবে। আরো বিস্তারিত আসছে আগামীকাল….

আরো পড়ুন: আব্দুল্লাহপুরে আবাসিক হোটেল আকবরে নারী বাণিজ্যের হোতা এরা কারা?