
রাজধানীতে প্রতিনিয়ত গড়ে উঠছে অবৈধ আবাসিক হোটেল। এসব ঘিরে ক্রমেই বাড়ছে অপরাধের সংখ্যা। রাজধানীতে সাধারন মানুষ বসবাস করা খুবই কঠিন হয়ে দ্বাড়িয়েছে।
কারন অসাধু ব্যবসায়ীদের দালাল চক্ররা রাজধানীর প্রায় সড়কে বা রাস্তা ঘাটে খদ্দের যোগানের আশায় পরে থাকতে দেখা যায়। এতে বিব্রত হয়ে পড়ে স্কুল-কলেজ কিংবা ভার্সিটি পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রীরা। এমনকি ছাত্র-ছাত্রীদের অভিবাবকরা লজ্জায় চলাফেরা করতে দিধাদন্ধে তোপের মূখে পরে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ডিএমপির শাহআলী থানাধীন মিরপুর-১ এ অবস্থিত অনুমোদনহীন হোটেল বাগদাদ। এটি বহু পুরানো আবাসিক হোটেল কিন্তু হোটেলে বিভিন্ন অপকর্ম নিয়ে কোন গনমাধ্যমকর্মী কিংবা জণসাধারন মুখ খুলতে সাহস পায় নাই। কারন হোটেলটির মালিক শরিফুল স্থানীয়র প্রভাব খাটিয়ে দিনের পর দিন তিনি হোটেল ম্যানেজার ইব্রাহিমকে দিয়ে প্রকাশ্যে চালিয়ে আসছে হোটেলটিতে সমাজ বিরোধী অনৈতিক কর্মকান্ডসহ বিভিন্ন অপরাধ। হোটেলটিতে সাইনবোর্ড থাকলেও ভিতরে এর চিত্র যেন অন্যরকম।
এদিকে উক্ত হোটেল আমাদের প্রতিবেদক প্রবেশ করলে তাদের হুমকির মূখে পরতে হয়েছে। তারা বলেন, পুলিশ সাংবাদিক গোনার সময় নেই। আমরা অনেক পুরোনো ব্যবসায়ী। এসব কাজ বহুদিন ধরেই চলছে। পারলে আপনার কিছু কইরেন। আরো জানা গেছে, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আবাসিক হোটেলের আড়ালে গড়ে তুলেছেন ভয়াবহ নারী ও মাদক সিন্ডিকেট। এসব বিষয়ে তদন্ত গনমাধ্যম কর্মীদের নিকট প্রমানিত রয়েছে। তারা আরো বলেন, পুলিশ কয়দিন আমাদের রেড করবে, সময় হলে সবাই ম্যানেজ হবে। এসব অসাধু ব্যবসায়ীরা এমনকি ফ্ল্যাট বাসায় সুন্দরী নারীদের সংরক্ষন রেখে সুযোগ সুবিধা বুঝে তাদেরকে দিয়ে আবাসিক হোটেলগুলোতে ব্যবসা করিয়ে থাকেন।
আর এসব ব্যবসার মূল হচ্ছে অর্থ ও সুন্দরী। তাই আপনাদের মত সাংবাদিকরা কোন বিষয় না। এখানে পুলিশ সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেনীর লোকজন আসে এবং আমাদের নিকট হতে কেউ মাসোহারা নিতে সাহস পায়না। আমরা এই এলাকার অনেক কিছু। কিন্তু এসব বিল্ডিং ভাড়া কিংবা নিজস্ব মালিকানায় নিয়ে অতি লোভের আশায় অভিনব কৌশলে চলে তার এসব কারবার। তবে তাদের বিরুদ্ধে পূর্বেও নারী বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু এসব বিষয়ে বর্তমান পুলিশ কিছুই জানেন না।
অণ্যদিতে এলাকার সাধারন জণগন অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ এসবের বিরদ্ধে কঠোর থাকলেও হয়ত সমাজের সামাজিক ভারসম্য ফিরিয়ে আনতে পারে। পুলিশ চাইলে এসব অপরাধীদের দমন কারা কোন বিষয় না। এতে করে প্রশাসনের মান ক্ষুন্ন হচ্ছে। এসব সিন্ডকেট আইনের আওতায় এনে সমাজের শৃঙ্খলা বজায় রাখবে পুলিশ বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। এসব হোটেল বেশির ভাগ স্বামী-স্ত্রী সাজিয়ে বা সুন্দরী যুবতীদের রেখেই চলছে নারী সিন্ডিকেটের ভয়াবহ কর্মকান্ড। রয়েছে স্কর্ট সর্ভিসেরও ব্যবস্থা।
এবিষয়ে শাহ আলী থানাকে অবগত করলে তারা বলেন, এসবের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছে। কিন্তু বিষয় হলো এসব হোটেলগুলো পুলিশ যখন অভিযান চালায় তখন হোটেলের নিয়ন্ত্রনে থানা সিসি ক্যামারায় দেখতে পেরে অপরাধীরা নিরাপদ স্থানে সরে পরে। তাছাড়া আমরা যতটুকু জানি আবাসিক হোটেল পরিচালনার ক্ষেত্রে ডিএমপির কিছু নির্দেশনা রয়েছে।
সেই নির্দেশনার হুদিশ মিলছেনা এসব অবৈধ হোটেলে। আবাসিক হোটেল গড়ে তুলতে জেলা প্রশাসক, ফায়ার সার্ভিসসহ একাধিক অনুমোদনের একটি বিষয় রয়েছে এবং সেটি তাদের রয়েছে কিনা সেটি ক্ষতিয়ে দেখা হবে।