
রাজধানীর দারুস ছালাম থানাধীন শাহ-আলী মাজারের অপরদিকে অবস্থিত আবাসিক হোটেল অবকাশ। অসাধু ব্যবসায়ী মালিক হিরু হোটেল ব্যবসার নামে চালাচ্ছে রমরমা দেহ ও মাদক ব্যবসা।
জানা গেছে স্বৈরাচারী সরকার পতন হওয়ার পর পরই থানা পুলিশের সহযোগীতায় মাদক ও নারী দিয়ে দেহ ব্যবসায়ী শীর্ষে রয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, স্বৈরাচারী সকারের আমলে এসব হোটেল গড়ে ওঠে। বর্তমানের অসাধু ব্যবসায়ী নিজেদের ভোল পল্টিয়ে বিএনপি বা অণ্যান্য দলের নাম ভাঙ্গিয়ে চালিয়ে আসছে তাদের অবৈধ হোটেল বাণিজ্য।
তিনি একজন নতুন-পুরাতন মোটর সাইকেল ক্রেতা ও বিক্রেতা বলে জানা গেছে। এবং চুরির দ্বায়ে তার বিরুদ্ধে একটি মামলাও রয়েছে। এতে করে পুলিশ এবং সমাজের মান ক্ষুন্ন হচ্ছে বলেন এলাকার জনসাধারন। তবে উক্ত হোেেটল রয়েছে একটি বিশাল নারী চক্র! এই চক্রের সদস্যগন বিভিন্ন সময় মানুষকে বø্যাকমেইল করে লক্ষ লক্ষ টাকাও হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
এই বিষয়ে এক ভুক্তভোগী রংপুরের আফজাল হোসেন নামের এক যুবক দৈনিক সংবাদ দিগন্তকে বলেন, আমি ঢাকায় একটি চাকরির ইন্টারভিউ দিতে এসেছিলাম আমার কোন পরিচিত লোকের বাসা নেই বলে আমি হোটেল দুটোতে রুম ভাড়ার জণ্য যাই এবং একটি রুম ভাড়া নেই, তবে রুমে ঢুকার সাথে সাথে একজন এসে বললেন, আপনার কি মেয়ে ও কোন মাদক লাগবে লাগলে বলেন লোক দিয়ে পাঠিয়ে দিব, আমি তাকে বললাম আমার কোন কিছুর দরকার নেই। তবে হোটেল দুটির পরিবেশ দেখে মনে হলো এখানে মাদক আর নারী ছাড়া তেমন কোন সার্ভিস নেই বললে চলে।
এভাবে রাতভর প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে পূর্বে আ.লীগের পরিচয় দিয়ে হোটেল অবকাশের মালিক হিরু মাদকহসহ দেহ ব্যবসা বাণিজ্যে কামিয়েছেন কারি কারি টাকা। এসব ব্যবসা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কঠোর নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও। গোটা কয়েক পতিতা ব্যবসায়ীরা মিলে চালিয়ে যাচ্ছেন পতিতা বাণিজ্য। এদিকে নষ্ট হচ্ছে তরুণ যুব সমাজ অল্প বয়সের তরুণীদের কে দিয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষ চালাচ্ছে দেহব্যবসা।
উক্ত হোটেল ব্যবসায়ীদেরকে অনেকে ধারনা করছে তারা জঙ্গিবাদের সদস্য হতে পারে। তার কারন এসব হোটেলগুলোতে জঙ্গিবাদরা তাদের সাথে সমন্নয় করে যথারিতি হোটেলেগুলো তাদের অর্থে পরিচালনা করছে। অভিযোগ রয়েছে-প্রভাবশালী মহল ও কতিপয় অসাধু পুলিশকে ‘ম্যানেজ’ করে আবাসিক হোটেলগুলোতে চলে এসব কর্মকান্ড ।
স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অনেক দিন ধরে উক্ত হোটেল ও গেষ্ট হাউজে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কিশোরীদের এনে অনৈতিক কর্মকান্ড চালাচ্ছে একটি অপরাধী চক্র । প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে হোটেল ম্যানেজার ও মালিকরা এসব অনৈতিক কাজ চালিয়ে আসছে। (১ম পর্বের ধারাবাহিক রিপোর্ট)