সার্কের সদর দপ্তর কাঠমাণ্ডু। ছোটবেলায় সাধারণ জ্ঞানে এটা মুখস্থ করতে করতে এবং হিমালয়ের গল্প শুনতে শুনতে নেপালের প্রতি প্রবল আগ্রহ জন্মেছিল। বড় হয়ে কোথায় ঘুরতে যেতে চাই—কেউ এমন প্রশ্ন করলেই বলতাম, নেপাল। সেই স্বপ্ন পূরণেরই গল্প এটা।বাংলাদেশ থেকে ভারতের পর তৃতীয় কোনো দেশে সস্তায় এবং নির্ঝঞ্ঝাটে ঘুরতে চাইলে সবার আগে আসবে নেপালের নাম। রিটার্নসহ টিকিট পাওয়া যায় ২৫ হাজার টাকার মধ্যে। ভিসাও একেবারে ঝামেলাহীন।
যাওয়ার আগে অনলাইন বা অন অ্যারাইভালও করা যায়।রিটার্ন টিকিট সব সময় জরুরি না। আমার সঙ্গেও ছিল না। জানতেও চায়নি। তবে রিটার্ন টিকিট করলে বিমানভাড়া অনেক কমে আসে। আপনি যদি আগে অন্য কোনো ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট পাড়ি দিয়ে থাকেন, তাহলে নেপাল এয়ারপোর্ট আপনাকে অবাক করবে।প্রচণ্ড ব্যস্ত এবং বহু ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইট রান করা এই এয়ারপোর্ট আয়তনে বেশ ছোট। লাগেজ সংগ্রহ করার পর মানি এক্সচেঞ্জ করে নিতে হবে।
যেকোনো এয়ারপোর্টেই মানি এক্সচেঞ্জের দাম থাকে বেশি।মানি এক্সচেঞ্জ করলাম, সিম কেনাও হলো। এবার যেতে হবে হোটেলে। এয়ারপোর্টের ঠিক বাইরেই ক্যাব। ভাড়া চাইল অনেক বেশি। একটু হেঁটে সামনে গেলেই আরেকটু সস্তায় পেয়ে গেলাম। একা নেপাল ভ্রমণে এলে বাইক সবচেয়ে ভালো। নেপালের লোকজন খুবই অমায়িক এবং হেল্পফুল। মেয়েদের জন্যও যথেষ্ট নিরাপদ। নেপালের ট্যুরিস্ট স্পটগুলোতে নানা দেশের সলো ফিমেল ট্রাভেলার দেখেই এর সত্যতা উপলব্ধি করেছি। কারণ আমিও তাদেরই একজন।