Dhaka 7:07 pm, Tuesday, 25 March 2025

টঙ্গীতে বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ

শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

গাজীপুরের টঙ্গী হোসেন মার্কেট এলাকায় একটি পোশাক তৈরির কারখানার শ্রমিকরা বেতন এবং ঈদ বোনাসের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন।রোববার (২৩ মার্চ) সকাল ৭টা থেকে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভের কারণে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, যার ফলে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়।

শ্রমিকরা অভিযোগ করেন, তাদের ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন পরিশোধ করা হয়নি এবং কর্তৃপক্ষ একাধিকবার বেতন পরিশোধের তারিখ দিলেও তা পালন করেনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১১ মার্চ কারখানা বন্ধের নোটিশ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়, যা শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করে। গতবারের মতো এবারও তারা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে শান্ত করেন এবং তাদের কারখানার সামনে নিয়ে আসেন। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
 
শিল্প পুলিশের পরিদর্শক মো. ইসমাইল হোসেন জানান, কারখানার শ্রমিকরা আগে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছিলেন, তখন মালিক পক্ষ ২০ মার্চের মধ্যে বেতন দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল। এর মধ্যে ১২৫০ জন শ্রমিকের বেতন দেওয়া হয়েছে, কিন্তু বাকি ২৫০ জনের বেতন এখনও পরিশোধ হয়নি। গতকাল শ্রমিকরা কাজ না করার ঘোষণা দিলে ‘নো ওয়ার্ক, নো পে’ নীতির আওতায় কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়।এখন শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে মালিক পক্ষের সাথে আলোচনা চলছে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট সংবাদ
বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

টঙ্গীতে বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ

Update Time : 11:45:29 am, Sunday, 23 March 2025

গাজীপুরের টঙ্গী হোসেন মার্কেট এলাকায় একটি পোশাক তৈরির কারখানার শ্রমিকরা বেতন এবং ঈদ বোনাসের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন।রোববার (২৩ মার্চ) সকাল ৭টা থেকে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভের কারণে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, যার ফলে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়।

শ্রমিকরা অভিযোগ করেন, তাদের ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন পরিশোধ করা হয়নি এবং কর্তৃপক্ষ একাধিকবার বেতন পরিশোধের তারিখ দিলেও তা পালন করেনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১১ মার্চ কারখানা বন্ধের নোটিশ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়, যা শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করে। গতবারের মতো এবারও তারা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে শান্ত করেন এবং তাদের কারখানার সামনে নিয়ে আসেন। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
 
শিল্প পুলিশের পরিদর্শক মো. ইসমাইল হোসেন জানান, কারখানার শ্রমিকরা আগে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছিলেন, তখন মালিক পক্ষ ২০ মার্চের মধ্যে বেতন দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল। এর মধ্যে ১২৫০ জন শ্রমিকের বেতন দেওয়া হয়েছে, কিন্তু বাকি ২৫০ জনের বেতন এখনও পরিশোধ হয়নি। গতকাল শ্রমিকরা কাজ না করার ঘোষণা দিলে ‘নো ওয়ার্ক, নো পে’ নীতির আওতায় কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়।এখন শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে মালিক পক্ষের সাথে আলোচনা চলছে।