
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বাস-মাইক্রোবাসের যাত্রীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় একটি বাস ও দুইটি মাইক্রোবাস ভাঙচুর করেন যাত্রীরা।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সীতাকুণ্ডের সুলতানা মন্দির নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে একটি বাস ও একটি মাইক্রোবাস জব্দ করে। অপর মাইক্রোবাসটি পালিয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মহাসড়কে একটি বাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছিল একটি মাইক্রোবাস। অন্য একটি গাড়িকে পাশ দিয়ে যাওয়ার জায়গা দিতে গিয়ে হঠাৎ বাসটি সামনে চলে আসায় সড়ক বিভাজকের সঙ্গে ধাক্কা লাগে মাইক্রোবাসটির। এ ঘটনার জেরে ওই মাইক্রোবাসে থাকা যাত্রীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে বাসটিতে ভাঙচুর চালান। সঙ্গে যোগ দেন আরও একটি মাইক্রোবাসের যাত্রীরা। এর প্রতিবাদে বাসের যাত্রীরাও গাড়ি থেকে নেমে ভাঙচুর করেছেন মাইক্রোবাস দুটি।
বাসের এক যাত্রী জানান, তিনি মেয়েকে নিয়ে রংপুর থেকে কক্সবাজার যাচ্ছিলেন। মেয়েটি তখন কোলে ঘুমাচ্ছিল। এ সময় দুটি মাইক্রোবাস থেকে কিছু তরুণ নেমে বাসের জানালায় লাঠি দিয়ে আঘাত করতে থাকে। ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন তারা। ক্ষোভ জানিয়ে তিনি বলেন, বাসের চালক কোনো অন্যায় করলে পুলিশের হাতে তুলে দিত। যাত্রীদের কেন বিপদে ফেললেন তারা?
কালো মাইক্রোবাসে থাকা এক তরুণ বলেন, আমরা বাস ভাঙচুর করিনি। সাদা রঙের যে মাইক্রোবাস পালিয়ে গেছে, মূলত গন্ডগোল তাদের সঙ্গে। সেখানে থাকা যাত্রীরা বাসটি ভাঙচুর করেছেন।
বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আবদুল বাতেন বলেন, ওভারটেক করা নিয়ে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। দুটি গাড়ির যাত্রীরা পাল্টাপাল্টি ভাঙচুর চালিয়েছেন। তারা যদি বিষয়টি নিজেদের মধ্যে মীমাংসা করতে না পারেন, তাহলে গাড়ি দুটিকে হাইওয়ে থানায় নিয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।