
দখলদার ইসরাইলের সামরিক ঘাঁটিতে ভয়াবহ ড্রোন হামলা চালিয়েছে লেবাননের বিদ্রোহী যোদ্ধারা। এই ড্রোন ইরান তাদেরকে সরবরাহ করেছে বলে অভিযোগ ইসরাইলের। উল্লব্যি ইরানি প্রেসিডেন্ট রাইসি নিহত হবার পর এই প্রথম বড় ধরণের হামলা চালালো হিজবুল্লাহ। এই হামলার পর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এই আগুন নেভাতে ইসরাইলকে বেগ পেতে হয়।জানা যায়, লেবাননের হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর গ্যালিলি ফরমেশেনের সদরদফতরে ভয়াবহ ড্রোন হামলা চালিয়েছে। গ্রুপটি অধিকৃত গোলান মালভূমিতে ইসরাইলি টার্গেটগুলোতে কাতিয়ুশা রকেট দিয়ে হামলার দাবিও করেছে। এতে উত্তর ইসরাইলের বিভিন্ন স্থানে আগুন লাগতে দেখা গেছে।
আরো পড়ুন:গাজায় ইসরাইলের হামলায় নিহত ২০
দখলদার ইসলাইল গত অক্টোবর থেকে অবরুদ্ধ গাজায় ভয়াবহ হামলার পর থেকে ইসরাইলে হিজবুল্লাহ ড্রোন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এই প্রথমবারের মতো ইরান-সমর্থিত গ্রুপটি এক স্কয়াড্রোন ড্রোন হামলার কথা ঘোষণা করল। হামলার সময় বেশ কয়েকবার উত্তর ইসরাইলে বিমান হামলার সাইরেন বেজে ওঠে, অধিবাসীদের দ্রুত শেল্টারে আশ্রয় নিতে বলা হয়। ইসরাইলি সামরিক বাহিনী জানায়, তারা লেবানন থেকে বিস্ফোরক বোঝাই একটি ড্রোনকে ভূপাতিত করেছে। এছাড়া উত্তর ইসরাইলে আরো অন্তত দুটি ড্রোন ভূপাতিত হয়েছে।
আরো পড়ুন:স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে ইসলামী আন্দোলন
এই হামলার পর উত্তর ইসরাইলের বিভিন্ন স্থানে আগুন লেগে যায়। অন্তত ৩০ ইসরাইলি দমকল ইউনিট এসব আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়। ইসরাইলি দমকল বিভাগের এক বিবৃতিতে বলা হয়, আগুনে কোনো জীবন বা বাড়িঘরের প্রতি হুমকি সৃষ্টি হয়নি। তবে তারা সম্প্রদায় ও সম্পত্তি রক্ষার জন্য কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। গাজায় ইসরাইলি হামলা শুরুর পর থেকেই হিজবুল্লাহ ও ইসরাইলের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলা চলছে। এর ফলে ইসরাইল-লেবানন সীমান্তে বড় ধরনের সঙ্ঘাত সৃষ্টির শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে লেবাননে ইসরাইলি হামলা তীব্র হয়েছে। সূত্র : আল জাজিরা, টাইমস অব ইসরাইল ও রয়টার্স
One thought on “হিজবুল্লাহর ইসরাইলে ভয়াবহ ড্রোন হামলা”