
ভারতের উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী জেলার গঙ্গনানি এলাকায় হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ৬ যাত্রী নিহত হয়েছেন। এসময় পাইলট গুরুতর আহত হন।জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা শারদুল সিং জানান, পাইলটকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা এসডিআরএফের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (৮ মে) সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে দেরাদুনের সাহস্রধারা হেলিপ্যাড থেকে ছয়জন যাত্রী নিয়ে উড্ডয়ন করে অ্যারোট্রান্স সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড পরিচালিত হেলিকপ্টার (ভিটি-ওএক্সএফ)। এটি চালাচ্ছিলেন পাইলট ক্যাপ্টেন রবিন সিং।
হেলিকপ্টারটির খারসালি হেলিপ্যাডে অবতরণের কথা ছিল, যা গঙ্গোত্রী ধামের প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। তবে, রিষিকেশ-গঙ্গোত্রী জাতীয় সড়কের কাছের এলাকায় হঠাৎ করেই দুর্ঘটনাটি ঘটে।নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে—কালা সোনি (৬১),জয়া রেড্ডি (৫৭), রুচি আগরওয়াল (৫৬), — তিনজনই মুম্বাইয়ের বাসিন্দা।রাধা আগরওয়াল (৭৯) উত্তরপ্রদেশের, বেদাবতী কুমারী (৪৮), অন্ধ্রপ্রদেশের পাইলট রবিন সিং যিনি অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। তারা একটি তীর্থস্থানে যাচ্ছিলেন।
এসডিআরএফ কমান্ড্যান্ট অর্পণ যাদুবংশী বলেন, ‘উত্তরকাশী পুলিশ ও এসডিআরএফ-এর দল ঘটনাস্থলে ত্রাণ ও উদ্ধারকাজে নিয়োজিত রয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চলেছে।’ ভাটওয়াড়ি থেকে পাঠানো এসডিআরএফ দলের সদস্যরা জানান, হেলিকপ্টারটি একটি গভীর খাদে পড়ে যায়, যার গভীরতা প্রায় ২০০ থেকে ২৫০ মিটার। ঘটনাস্থলে একটি বেস ক্যাম্প স্থাপন করে নিচে নামার উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়েছে।গাড়োয়াল বিভাগের কমিশনার বিনয় শঙ্কর পাণ্ডে নিশ্চিত করেছেন, প্রশাসন ও উদ্ধারকারী দলগুলো ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে এবং উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে।হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী। তিনি এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এসডিআরএফ ও জেলা প্রশাসনের দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, এই দুর্ঘটনার আগে ৫ মে তারিখে বদ্রীনাথ থেকে দেরাদুনে যাত্রী নিয়ে আসা একটি হেলিকপ্টারকে খারাপ আবহাওয়ার কারণে গোপেশ্বর ক্রীড়াঙ্গনে জরুরি অবতরণ করতে হয়েছিল।
বৃহস্পতিবারের দুর্ঘটনাটি এমন এক দিনে ঘটল, যেদিন আবহাওয়া অধিদপ্তর উত্তরাখণ্ডের জন্য আবহাওয়া সতর্কতা জারি করেছিল। পূর্বাভাস অনুযায়ী, দেরাদুন, উত্তরকাশী, চামোলি, রুদ্রপ্রয়াগ, টেহরি, পাউরি, নৈনিতাল ও চম্পাওয়াতসহ বেশ কয়েকটি জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত, বজ্রপাত ও ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার শঙ্কার কথা বলা হয়েছিল।