
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একই চত্বর থেকে ওঠানামা করছে হেলিকপ্টার ও উড়োজাহাজ। এতে নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়েই ফ্লাইট পরিচালনা করছে কর্তৃপক্ষ। ফ্লাইট পরিচালনায় নানা সংকটের কথা জানায় কপ্টার প্রতিষ্ঠানগুলোও। আকাশ পথ নিরাপদ রাখতে দ্রুত অন্যত্র হেলিপোর্ট নির্মাণের পরামর্শ বিশেষজ্ঞের। যদিও বেবিচক বলছে, ফ্লাইট পরিচালনায় সর্বোচ্চ সতর্কতার নির্দেশ দেয়া হয়েছে এয়ার ট্রাফিককে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির ন্যাশনাল এয়ারপোর্টের কাছে যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ ও সামরিক হেলিকপ্টারের মধ্যে সংঘর্ষে ৬৭ জন হতাহত হয়। দেশটির সর্বাধুনিক ব্যবস্থাপনার মধ্যেও এমন দুর্ঘটনা তৈরি করেছে বিস্ময়।সেখানে বাংলাদেশের শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একই চত্বর থেকে আকাশে উড়ছে বিমান ও হেলিকপ্টার। কতটা নিরাপদ এই ব্যবস্থাপনা?
আকাশ পথের উঠানামায় উড়োজাহাজ দ্রুতগতির হলেও, সে তুলনা স্বল্পগতির যান হেলিকপ্টার। এতে বিশেষ করে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা জাগায় যে সব ফ্লাইট যেতে হয় রানওয়ে ডিঙ্গিয়ে। ফলে অবতরণ করা বিমান ও রানওয়ে ডিঙ্গিয়ে উড়াল দেয়া হেলিকপ্টারের মধ্যে সিগন্যাল ক্র্যাশে ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা।প্রবাসী হেলিকপ্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বায়েজিদ আল হাসান বলেন,রানওয়ে থেকে মিরপুর কিংবা যশোরের দিকে যেতে চাইলে রানওয়ে অতিক্রম করতে হয়। সে সময় টেক অফের জন্য দীর্ঘসময় অপেক্ষা করতে হয়। আবার বাইরে থেকে ঢাকায় আসার সময় ল্যান্ড করতে বিড়াম্বনায় পড়তে হয়।
উল্লেখ্য, বর্তমান শাহজালাল বিমানবন্দরের উত্তর পাশ থেকে অস্থায়ীভাবে দিনে ১৫-২০ ফ্লাইট পরিচালনা করছে কয়েকটি হেলিকপ্টার সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান।