Dhaka 4:37 am, Tuesday, 25 March 2025

হয়রানি বন্ধ হলো না ন্যান্‌সির

শিল্পীদের মধ্যে অন্যতম কণ্ঠশিল্পী ।

গত সরকার আমলে কালো তালিকাভুক্ত শিল্পীদের মধ্যে অন্যতম কণ্ঠশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্‌সি। সম্প্রতি তিনি এত দিনের বঞ্চনার কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেন, ২০১১ সালে আমি সেরা নারী কণ্ঠশিল্পী হিসেবে মনোনীত হই। পুরস্কার প্রদান হয় ২০১৩ সালের মার্চে। আমার বড় কন্যার অসুস্থতার কারণে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারিনি।

পরবর্তীতে তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে পুরস্কারটি সংগ্রহ করি। ২০১৩ সালের শেষে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আমি ফেসবুকে ছোট্ট একটি লেখা লিখি। যার সারমর্ম ছিল- শুধুমাত্র শেখ মুজিবুর রহমানের জন্য যারা আওয়ামী লীগ সমর্থন করেন, তাদের সময় এখন ফিরে আসার। কিন্তু রাতারাতি বারুদের মতো আমার লেখনী সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। ফলাফল- ফেসবুক পোস্টের একদিন পরেই মধ্যরাতে আমার নেত্রকোনার বাড়ি ঘেরাও হয়। তিনি আরও বলেন, আমার মা আমৃত্যু নেত্রকোনা জেলা জাসাসের সহ-সভাপতি ছিলেন। অথচ পুলিশ ফোর্স জানালো তাদের কাছে গোপন সূত্রে খবর আছে, আমার বাসা নাকি জামায়াত-শিবির জঙ্গির আস্তানা! তারা বাড়ি তল্লাশি করবে। আমি অসম্মতি জানালে আমার ছোট ভাইকে তুলে নিয়ে যেতে চাইলো। আমার সঙ্গে অনেক বাকবিতণ্ডার পর তারা চলে গেলেন। বাধ্য হয়ে আমি প্রেস কনফারেন্স করলাম। আমি মিথ্যা মামলা থেকে বাঁচলেও হয়রানি বন্ধ হলো না। ২০১৪ সাল থেকে একের পর এক স্টেজ শো বাতিল হতে থাকলো

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট সংবাদ
বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

হয়রানি বন্ধ হলো না ন্যান্‌সির

Update Time : 12:06:40 pm, Sunday, 23 March 2025

গত সরকার আমলে কালো তালিকাভুক্ত শিল্পীদের মধ্যে অন্যতম কণ্ঠশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্‌সি। সম্প্রতি তিনি এত দিনের বঞ্চনার কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেন, ২০১১ সালে আমি সেরা নারী কণ্ঠশিল্পী হিসেবে মনোনীত হই। পুরস্কার প্রদান হয় ২০১৩ সালের মার্চে। আমার বড় কন্যার অসুস্থতার কারণে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারিনি।

পরবর্তীতে তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে পুরস্কারটি সংগ্রহ করি। ২০১৩ সালের শেষে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আমি ফেসবুকে ছোট্ট একটি লেখা লিখি। যার সারমর্ম ছিল- শুধুমাত্র শেখ মুজিবুর রহমানের জন্য যারা আওয়ামী লীগ সমর্থন করেন, তাদের সময় এখন ফিরে আসার। কিন্তু রাতারাতি বারুদের মতো আমার লেখনী সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। ফলাফল- ফেসবুক পোস্টের একদিন পরেই মধ্যরাতে আমার নেত্রকোনার বাড়ি ঘেরাও হয়। তিনি আরও বলেন, আমার মা আমৃত্যু নেত্রকোনা জেলা জাসাসের সহ-সভাপতি ছিলেন। অথচ পুলিশ ফোর্স জানালো তাদের কাছে গোপন সূত্রে খবর আছে, আমার বাসা নাকি জামায়াত-শিবির জঙ্গির আস্তানা! তারা বাড়ি তল্লাশি করবে। আমি অসম্মতি জানালে আমার ছোট ভাইকে তুলে নিয়ে যেতে চাইলো। আমার সঙ্গে অনেক বাকবিতণ্ডার পর তারা চলে গেলেন। বাধ্য হয়ে আমি প্রেস কনফারেন্স করলাম। আমি মিথ্যা মামলা থেকে বাঁচলেও হয়রানি বন্ধ হলো না। ২০১৪ সাল থেকে একের পর এক স্টেজ শো বাতিল হতে থাকলো