
নারকেল তেল নানা ধরনের পুষ্টি ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ, যা চুলকে গোড়া থেকে শক্তিশালী করে। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, হাইড্রেটেড থাকা এবং স্ট্রেস লেভেল নিয়ন্ত্রণ করাও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুলের জন্য জরুরি। জেনে নিন নারকেল তেলের সঙ্গে যেসব উপাদান মেশাবেন-
পেঁয়াজের রস: এটি সালফারের শক্তিশালী উৎস। ২ টেবিল চামচ পেঁয়াজের রস ২ টেবিল চামচ নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। চুলের গোড়ায় ঘষে ঘষে লাগান মিশ্রণটি। ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন শ্যাম্পু দিয়ে। সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করুন এটি।
ক্যাস্টর অয়েল: যা চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে। সমপরিমাণ নারকেল তেল ও ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগান। এক ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করুন।
মেথি: খুশকি প্রতিরোধ করতে এবং চুলকে গোড়া থেকে মজবুত করতে সাহায্য করে মেথি। ২ টেবিল চামচ মেথি বীজ পানিতে ভিজিয়ে রেখে পেস্ট বানিয়ে নিন। পেস্টটি ২ টেবিল চামচ নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। চুলের গোড়ায় এক ঘণ্টা লাগিয়ে রেখে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
অ্যালোভেরা: প্রশান্তিদায়ক এবং নিরাময়কারী বৈশিষ্ট্যের জন্য সুপরিচিত। ২ টেবিল চামচ তাজা অ্যালোভেরা জেল ২ টেবিল চামচ নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি চুলের গোড়ায় লাগান। ৪৫ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা রেখে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত দুইবার এ মাস্কটি ব্যবহার করুন।
কারি পাতা: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, প্রোটিন এবং বিটা-ক্যারোটিনে ভরপুর, যা চুল পাতলা হওয়া রোধ এবং নতুন চুলের বৃদ্ধি করে। এগুলো চুলের প্রাকৃতিক রঞ্জকতা ধরে রাখতে সাহায্য করে ও অকালে পাকা রোধ করে। এক মুঠো তাজা কারি পাতা পিষে পেস্ট বানিয়ে নিন। ২ টেবিল চামচ নারকেল তেল গরম করে পেস্টটি এতে যোগ করুন। কয়েক মিনিট ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে তেলটি ছেঁকে নিন। চুলের গোড়ায় ১ ঘণ্টা লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন শ্যাম্পু দিয়ে। সপ্তাহে দুইবার এটি ব্যবহার করুন চুলে।