
শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর ব্যাংক খাতে ফিরতে শুরু করেছে স্বস্তি। ফের ব্যাংকে টাকা রাখছে মানুষ। তথ্যমতে, হাতে গোনা কয়েকটি ব্যাংক ছাড়া বেশির ভাগ ব্যাংকেই বেড়েছে আমানত। ব্যাংকারদের মতে, এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে স্থানান্তর এবং পূর্বের সঞ্চয়ের সঙ্গে সুদ যুক্ত হয়ে মোট আমানতের পরিমাণ বেশি দেখাচ্ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, গত জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান-পরবর্তী পরিস্থিতিতে ব্যাংক থেকে মানুষের টাকা তুলে নেওয়ার প্রবণতা বেড়ে গিয়েছিল। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বেশ কিছু ব্যাংকের প্রকৃত অবস্থার চিত্রও প্রকাশ পায়। তাতে অনেক গ্রাহক আতঙ্কিত হয়ে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নেন। ধীরে ধীরে এই পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হচ্ছে।পাশাপাশি ব্যাংকে আমানতের সুদহারও বেড়েছে। এ কারণে গ্রাহকরা আবার তাঁদের হাতে থাকা টাকা ব্যাংকে ফিরিয়ে আনছেন।বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ব্যাংক খাতে পরিবর্তনের হাওয়া বইছে। এরই মধ্যে অনেক ব্যাংকের উচ্চ পর্যায়ে পরিবর্তন এসেছে। বর্তমানে দুর্বল ব্যাংক থেকে টাকা তুলে ভালো ব্যাংকে জমা রাখছে মানুষ। ব্যাংকগুলো এখন আর বিশেষ ধার না পাওয়ায় অনেক আমানতকারীকে ফিরিয়ে দিচ্ছে। অবশ্য দিনে সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকা উত্তোলনের সীমা করার কারণে এসব ব্যাংকের খারাপ অবস্থা বোঝা যাচ্ছে না। এ রকম অবস্থায় কোনো কোনো ব্যাংকের ভল্ট খালি হলেও অনেক ব্যাংকে টাকা রাখার জায়গা নেই। সীমান্ত ব্যাংকে বেশি টাকা জমা পড়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা দিচ্ছে অনেক শাখা।