
চাঁপাইনবাবগঞ্জে যাত্রীবেশে উঠে চালককে বেঁধে রেখে অটোরিকশা ছিনতাই করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। সদর উপজেলার জামতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা সাহাবুল ইসলাম সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। এনজিও থেকে কিস্তির টাকায় কেনা অটোরিকশা ও ছিনতাইয়ে জড়িতরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পরিবারটি। ভুক্তভোগী অটোচালকের নাম মোরশালিন হক (১৭)। সে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নের তাহেরপুর গ্রামের বাসিন্দা।
ভুক্তভোগীর বাবা থানায় অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, গত ৪ মে রাত সাড়ে ১১টার দিকে মোরশালিন অটোরিকশা নিয়ে শহরের বিশ্বরোড মোড়ে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছিল। এ সময় অজ্ঞাত পরিচয়ে তিনজন যাত্রী বিশ্বরোড থেকে সদর উপজেলার জামতলা যাওয়ার কথা বলেন। তাদের কথায় রাজি হয়ে মুরশালিন ওই যাত্রীদের জামতলায় নিয়ে যায়। সেখানে পৌঁছালে ওই চালককে টেনেহিঁচড়ে একটি বাগানে নিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। এলোপাথাড়ি মারধরের পর গলায় ছুরি ধরে এই ঘটনা কাউকে না জানাতে সতর্ক করে দেয়া হয়। এরপরেই মুরশালিনের কাছে থাকা মোবাইল-নগদ টাকা এবং অটোরিকশাটি ছিনতাই করে নিয়ে যাত্রীবেশি তিন দুর্বৃত্ত। প্রায় বছরখানেক আগে একটি এনজিও থেকে দেড় লাখ টাকা লোন নিয়ে গাড়িটি কিনেছিলাম। অটোরিকশাটিতে ভাড়া মেরে যে টাকা আয় হতো, সে টাকা দিয়েই কিস্তি পরিশোধ করে সংসার চালাতাম। ঘটনার পর পুলিশের শরণাপন্ন হয়েছি। এখন পর্যন্ত অটোরিকশাটি উদ্ধার করা যায়নি। এমনকি যাত্রীবেশে থাকা দুবৃর্ত্তরা এখনও অধরা রয়ে গেছে।
এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. মতিউর রহমান বলেন, ঘটনাটি পুলিশের নজরদারিতে আছে। এটি নিয়ে পুলিশ নিয়ে কাজ করছে। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করা গেলে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করবে।
এর আগে চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি নিখোঁজের তিনদিন পর সদর উপজেলার আতাহার এলাকার একটি সরিষাক্ষেত থেকে পলাশ হালদার নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বিশ্বরোডে যাত্রীবেশে উঠে ওই চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করে। বিভিন্ন স্থান থেকে ছিনতাইকৃত অটোরিকশার যন্ত্রাংসও উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।