Dhaka 12:01 pm, Friday, 30 May 2025

নতুন শিল্প আনতে বাড়তি গ্যাস বিল

নতুন শিল্পের গ্যাসের দাম বাড়ল।

বিদ্যমান শিল্পে অপরিবর্তিত রেখে নতুন শিল্পের গ্যাসের দাম বাড়ল। শিল্পে ব্যবহৃত প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ৩০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০ টাকা এবং ক্যাপটিভে ৩১ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৪২ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এছাড়া বর্তমানে যারা অনুমোদিত লোডের বেশি গ্যাস ব্যবহার করছেন সেসব শিল্পপ্রতিষ্ঠানকেও ৩০ টাকার পরিবর্তে ৪০ টাকা দরে বিল দিতে হবে। নতুন মূল্যহার চলতি এপ্রিল মাস থেকেই কার্যকর হবে। রাজধানীতে বিইআরসির সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ নতুন মূল্যহার ঘোষণা করেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য মিজানুর রহমান, সদস্য সৈয়দা সুলতানা রাজিয়া, মো. আব্দুর রাজ্জাক ও শাহীদ পেট্রোবাংলার মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাবের ওপর গত ২৬ ফেব্রুয়ারি শুনানি গ্রহণ করে বিইআরসি। পেট্রোবাংলা তাদের প্রস্তাবে বলেছে, দাম না বাড়ালে বছরে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি হবে। পেট্রোবাংলার সেই প্রস্তাবে আপত্তি জানিয়েছিলেন ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিরাসহ অংশীজনরা। শিল্পে দুই ধরনের দর করার বিরোধিতা করেন প্রায় সবাই। তারা বলেন, বিদ্যমান শিল্পে অপরিবর্তিত দরে আর নতুন শিল্পের জন্য বাড়তি দাম নির্ধারণ করা হলে অসম প্রতিযোগিতা তৈরি হবে। নতুন বৈষম্য তৈরি হবে। একই দেশে একই শ্রেণির গ্রাহকদের জন্য পৃথক দুটি মূল্যহার আইনিভাবেও সিদ্ধ নয়।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট সংবাদ
বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

নতুন শিল্প আনতে বাড়তি গ্যাস বিল

Update Time : 11:15:54 am, Monday, 14 April 2025

বিদ্যমান শিল্পে অপরিবর্তিত রেখে নতুন শিল্পের গ্যাসের দাম বাড়ল। শিল্পে ব্যবহৃত প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ৩০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০ টাকা এবং ক্যাপটিভে ৩১ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৪২ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এছাড়া বর্তমানে যারা অনুমোদিত লোডের বেশি গ্যাস ব্যবহার করছেন সেসব শিল্পপ্রতিষ্ঠানকেও ৩০ টাকার পরিবর্তে ৪০ টাকা দরে বিল দিতে হবে। নতুন মূল্যহার চলতি এপ্রিল মাস থেকেই কার্যকর হবে। রাজধানীতে বিইআরসির সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ নতুন মূল্যহার ঘোষণা করেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য মিজানুর রহমান, সদস্য সৈয়দা সুলতানা রাজিয়া, মো. আব্দুর রাজ্জাক ও শাহীদ পেট্রোবাংলার মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাবের ওপর গত ২৬ ফেব্রুয়ারি শুনানি গ্রহণ করে বিইআরসি। পেট্রোবাংলা তাদের প্রস্তাবে বলেছে, দাম না বাড়ালে বছরে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি হবে। পেট্রোবাংলার সেই প্রস্তাবে আপত্তি জানিয়েছিলেন ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিরাসহ অংশীজনরা। শিল্পে দুই ধরনের দর করার বিরোধিতা করেন প্রায় সবাই। তারা বলেন, বিদ্যমান শিল্পে অপরিবর্তিত দরে আর নতুন শিল্পের জন্য বাড়তি দাম নির্ধারণ করা হলে অসম প্রতিযোগিতা তৈরি হবে। নতুন বৈষম্য তৈরি হবে। একই দেশে একই শ্রেণির গ্রাহকদের জন্য পৃথক দুটি মূল্যহার আইনিভাবেও সিদ্ধ নয়।