Dhaka 1:35 pm, Saturday, 15 March 2025

গাইবান্ধায় পদত্যাগ না করলে প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয়ে ঢুকতে দেয়া হবে না’

গাইবান্ধা সদর উপজেলার বালাআটা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন মন্ডলের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী বলেছেন, ‘প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন মন্ডল অতিসত্বর পদত্যাগ না করলে তাকে আর বিদ্যালয়ে ঢুকতে দেয়া হবে না’।
সোমবার সকালে বালাআটা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে এলাকাবাসী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন। মানববন্ধনে উল্লেখ করা হয়, প্রধান শিক্ষক আওয়ামীলীগ দলীয় সমর্থক হওয়ায় গত সরকারের আমলে স্থানীয় এমপি ও হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনির ঘনিষ্ঠ সহচর মৃদুল মোস্তাফিজ ঝন্টুকে সভাপতি করে নিয়োগ বাণিজ্য করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য করতে এলাকার সাজু মিয়ার কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা নিয়ে তাকে দাতা সদস্য না করে পুরো টাকা আত্মসাৎ করেন প্রধান শিক্ষক। মো. মাহাবুর রহমানের কাছ থেকে ১৬ লাখ ঘুষ নিয়ে তাকে অফিস সহকারী পদে নিয়োগ দেয়া হয়। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অনুমোদন ছাড়াই সভাপতির যোগসাজসে প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের জমিতে ৫টি ঘর নির্মাণ করে সেসব ঘর বরাদ্দ দিয়ে ৪ লাখ ৬৫ হাজার আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়া অফিস সহায়ক মো. আল আমিন, আয়া মোছা. রাবেয়া বেগম ও ঝাড়-দার বুলবুলিকে নিয়োগ দিয়ে সাড়ে ১৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী মানববন্ধনে আরও বলেন, বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার মান অত্যান্ত নিম্নগামী হওয়ায় এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণের হার সন্তেষজনক নয়। গত এসএসসি পরীক্ষায় এই বিদ্যালয় থেকে মাত্র ৪০ শতাংশ ছাত্রছাত্রী পাশ করেছে।
মানববন্ধনে প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম-দুর্নীতির ফিরিস্তি তুলে ধরে এলাকাবাসীর পক্ষে বক্তব্য দেন তাজুল ইসলাম, একেএম ফজলুল হক, মো. সাজু মিয়া, জাকিরুল ইসলাম এবং ওই বিদ্যালয়ের অভিভাবক সাদা মিয়া, জিয়াউর রহমান, নয়া মিয়া প্রমুখ। বক্তারা প্রধান শিক্ষকের উদ্দেশ্যে বলেন, অতিসত্বর পদত্যাগ করুন, অন্যথায় আর আপনাকে বিদ্যালয়ে ঢুকতে দেয়া হবে না।
এসব অভিযোগের বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন মন্ডলের সাথে সাক্ষাত করে বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি সব অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

গাইবান্ধায় পদত্যাগ না করলে প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয়ে ঢুকতে দেয়া হবে না’

Update Time : 03:46:00 pm, Monday, 4 November 2024
গাইবান্ধা সদর উপজেলার বালাআটা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন মন্ডলের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী বলেছেন, ‘প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন মন্ডল অতিসত্বর পদত্যাগ না করলে তাকে আর বিদ্যালয়ে ঢুকতে দেয়া হবে না’।
সোমবার সকালে বালাআটা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে এলাকাবাসী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন। মানববন্ধনে উল্লেখ করা হয়, প্রধান শিক্ষক আওয়ামীলীগ দলীয় সমর্থক হওয়ায় গত সরকারের আমলে স্থানীয় এমপি ও হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনির ঘনিষ্ঠ সহচর মৃদুল মোস্তাফিজ ঝন্টুকে সভাপতি করে নিয়োগ বাণিজ্য করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য করতে এলাকার সাজু মিয়ার কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা নিয়ে তাকে দাতা সদস্য না করে পুরো টাকা আত্মসাৎ করেন প্রধান শিক্ষক। মো. মাহাবুর রহমানের কাছ থেকে ১৬ লাখ ঘুষ নিয়ে তাকে অফিস সহকারী পদে নিয়োগ দেয়া হয়। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অনুমোদন ছাড়াই সভাপতির যোগসাজসে প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের জমিতে ৫টি ঘর নির্মাণ করে সেসব ঘর বরাদ্দ দিয়ে ৪ লাখ ৬৫ হাজার আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়া অফিস সহায়ক মো. আল আমিন, আয়া মোছা. রাবেয়া বেগম ও ঝাড়-দার বুলবুলিকে নিয়োগ দিয়ে সাড়ে ১৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী মানববন্ধনে আরও বলেন, বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার মান অত্যান্ত নিম্নগামী হওয়ায় এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণের হার সন্তেষজনক নয়। গত এসএসসি পরীক্ষায় এই বিদ্যালয় থেকে মাত্র ৪০ শতাংশ ছাত্রছাত্রী পাশ করেছে।
মানববন্ধনে প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম-দুর্নীতির ফিরিস্তি তুলে ধরে এলাকাবাসীর পক্ষে বক্তব্য দেন তাজুল ইসলাম, একেএম ফজলুল হক, মো. সাজু মিয়া, জাকিরুল ইসলাম এবং ওই বিদ্যালয়ের অভিভাবক সাদা মিয়া, জিয়াউর রহমান, নয়া মিয়া প্রমুখ। বক্তারা প্রধান শিক্ষকের উদ্দেশ্যে বলেন, অতিসত্বর পদত্যাগ করুন, অন্যথায় আর আপনাকে বিদ্যালয়ে ঢুকতে দেয়া হবে না।
এসব অভিযোগের বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন মন্ডলের সাথে সাক্ষাত করে বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি সব অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন।