Dhaka 8:54 pm, Friday, 14 March 2025

অনলাইন ব্যবসায়ীদের জন্য হাইকোর্টের ৯ নির্দেশনা

অনলাইন ব্যবসায়ীদের জন্য

অনলাইন ব্যবসায় প্রতারণা বন্ধ ও গ্রাহক সচেতনতায় নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট। এখন থেকে অনলাইন ব্যবসার ক্ষেত্রে ৯ নির্দেশনা মানতে হবে বলেও জানিয়েছেন আদালত। সোমবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত নারী উদ্যোক্তা রোবাইয়াত ফাতেমা তনির মালিকাধীন শোরুম ‘সানভিস বাই তনি’র ব্যবসা পরিচালনা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।আইন অনুসারে যথাযথ পর্যবেক্ষণের জন্য প্রতি মাসে অন্তত একবার তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রকাশিত রায় থেকে অনলাইন ব্যবসার জন্য ৯টি নির্দেশনা পাওয়া গেছে।

নির্দেশনাগুলো হলো-

১. সবাইকে বাংলাদেশের প্রচলিত আইন মেনে চলতে হবে। অনলাইন মালিক এবং ভোক্তাদের মধ্যে সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে।

২. অনলাইন ব্যবসা পরিচালনায় আইন লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে, ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষ আইনের সমান সুরক্ষা লাভের অধিকারী হবে।

৩. প্রতিটি নাগরিকের যেকোনো বৈধ ব্যবসা পরিচালনার অধিকার থাকবে এবং আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়া তার ব্যবসা বন্ধ করা যাবে না।

৪. ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ বিভাগের উচিত সব অনলাইন ব্যবসায়ী/মালিক/সদস্যের নিবন্ধনের আওতায় আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং তাদের অনলাইন ব্যবসা পরিচালনার জন্য অনুমোদন দেওয়া।

৫. এটি নিশ্চিত করতে হবে যে, কেউ কোনো অনলাইন প্ল্যাটফর্মে তাদের অননুমোদিত অনলাইন ব্যবসা চালাতে, এমনকি শুরু করতেও পারবে না।

৬. এই আইনি পরিকল্পনায় নিশ্চিত করতে হবে যে, সব ধরনের অনলাইন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান তাদের প্রশাসক, মালিক এবং ভোক্তাদের ব্যক্তিগত জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে যাচাই করা উচিত।

৭. বিটিআরসির মতো সংশ্লিষ্ট সরকারি নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষকে অনলাইন ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলির সঙ্গে সহযোগিতা করে অনলাইন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলির তথ্য সংরক্ষণ করতে হবে।

৮. সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে যে, তারা অনলাইন গ্রাহকদের সচেতন করে তুলবে যেন অনলাইন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতারণা শিকার না হয়।

৯. ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ বিভাগের উচিত প্রতারণা করা অনলাইন ব্যবসায়ীদের তাদের অপরাধের জন্য বিচার করা।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

অনলাইন ব্যবসায়ীদের জন্য হাইকোর্টের ৯ নির্দেশনা

Update Time : 04:18:41 pm, Monday, 10 March 2025

অনলাইন ব্যবসায় প্রতারণা বন্ধ ও গ্রাহক সচেতনতায় নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট। এখন থেকে অনলাইন ব্যবসার ক্ষেত্রে ৯ নির্দেশনা মানতে হবে বলেও জানিয়েছেন আদালত। সোমবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত নারী উদ্যোক্তা রোবাইয়াত ফাতেমা তনির মালিকাধীন শোরুম ‘সানভিস বাই তনি’র ব্যবসা পরিচালনা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।আইন অনুসারে যথাযথ পর্যবেক্ষণের জন্য প্রতি মাসে অন্তত একবার তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রকাশিত রায় থেকে অনলাইন ব্যবসার জন্য ৯টি নির্দেশনা পাওয়া গেছে।

নির্দেশনাগুলো হলো-

১. সবাইকে বাংলাদেশের প্রচলিত আইন মেনে চলতে হবে। অনলাইন মালিক এবং ভোক্তাদের মধ্যে সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে।

২. অনলাইন ব্যবসা পরিচালনায় আইন লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে, ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষ আইনের সমান সুরক্ষা লাভের অধিকারী হবে।

৩. প্রতিটি নাগরিকের যেকোনো বৈধ ব্যবসা পরিচালনার অধিকার থাকবে এবং আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়া তার ব্যবসা বন্ধ করা যাবে না।

৪. ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ বিভাগের উচিত সব অনলাইন ব্যবসায়ী/মালিক/সদস্যের নিবন্ধনের আওতায় আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং তাদের অনলাইন ব্যবসা পরিচালনার জন্য অনুমোদন দেওয়া।

৫. এটি নিশ্চিত করতে হবে যে, কেউ কোনো অনলাইন প্ল্যাটফর্মে তাদের অননুমোদিত অনলাইন ব্যবসা চালাতে, এমনকি শুরু করতেও পারবে না।

৬. এই আইনি পরিকল্পনায় নিশ্চিত করতে হবে যে, সব ধরনের অনলাইন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান তাদের প্রশাসক, মালিক এবং ভোক্তাদের ব্যক্তিগত জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে যাচাই করা উচিত।

৭. বিটিআরসির মতো সংশ্লিষ্ট সরকারি নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষকে অনলাইন ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলির সঙ্গে সহযোগিতা করে অনলাইন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলির তথ্য সংরক্ষণ করতে হবে।

৮. সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে যে, তারা অনলাইন গ্রাহকদের সচেতন করে তুলবে যেন অনলাইন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতারণা শিকার না হয়।

৯. ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ বিভাগের উচিত প্রতারণা করা অনলাইন ব্যবসায়ীদের তাদের অপরাধের জন্য বিচার করা।