Dhaka 9:03 pm, Friday, 14 March 2025

সার, সেচ ও ফসল সংরক্ষণ নিয়ে সংকট

দুশ্চিন্তায় কৃষক

বোরো মৌসুমের শুরুতেই দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছেন কৃষক। তাঁরা চাহিদা অনুযায়ী সারা পাচ্ছেন না, যাও পাচ্ছেন, সেটা আবার সরকার-নির্ধারিত দামের চেয়ে প্রতি কেজি ৩ থেকে ৮ টাকা বেশি দরে কিনতে হচ্ছে। বীজ, কীটনাশক, ডিজেলসহ কৃষি উপকরণের উচ্চমূল্যে এমনিতেই কৃষক সংকটে রয়েছেন। সরকার-নির্ধারিত সারের মূল্যও বেশি। কারণ, আগের সরকারের আমলে ২০২২ সালের আগস্টে ইউরিয়ার দাম কেজিতে ৬ টাকা বাড়ানো হয়েছিল। এরপর ২০২৩ সালে সব ধরনের সারের দাম প্রতি কেজি ৫ টাকা করে বাড়ানো হয়।

অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত ছিল সারের দাম কমানোর ব্যবস্থা করা। সেটা তো তারা করছেই না, উল্টো সরকার-নির্ধারিত দামেও সার বিক্রি নিশ্চিত করতে পারছে না। বোরো থেকে দেশের চালের জোগানের একটা বড় অংশ আসে।এ সময় সারের সংকট হলে এবং নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি নিশ্চিত করতে না পারলে শুধু যে কৃষকই সংকটে পড়বেন, তা নয়, দেশের খাদ্যনিরাপত্তাও ঝুঁকির মধ্যে পড়বে, এমনিতেই বাড়তি খাদ্যের মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে।

সরকারের উচিত ছিল সারসংকটের বিষয়টি অস্বীকার না করে সংকট সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া। বিগত সরকার যতই খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার দাবি করুক, বাস্তবতা হলো বাংলাদেশকে বছরে এক কোটি টনের বেশি খাদ্যশস্য আমদানি করতে হয়। কাজেই খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য দেশে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। এ রকম অবস্থায় সারের মতো গুরুত্বপূর্ণ কৃষি উপকরণের বাড়তি মূল্য কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

সার, সেচ ও ফসল সংরক্ষণ নিয়ে সংকট

Update Time : 07:43:30 pm, Saturday, 8 February 2025

বোরো মৌসুমের শুরুতেই দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছেন কৃষক। তাঁরা চাহিদা অনুযায়ী সারা পাচ্ছেন না, যাও পাচ্ছেন, সেটা আবার সরকার-নির্ধারিত দামের চেয়ে প্রতি কেজি ৩ থেকে ৮ টাকা বেশি দরে কিনতে হচ্ছে। বীজ, কীটনাশক, ডিজেলসহ কৃষি উপকরণের উচ্চমূল্যে এমনিতেই কৃষক সংকটে রয়েছেন। সরকার-নির্ধারিত সারের মূল্যও বেশি। কারণ, আগের সরকারের আমলে ২০২২ সালের আগস্টে ইউরিয়ার দাম কেজিতে ৬ টাকা বাড়ানো হয়েছিল। এরপর ২০২৩ সালে সব ধরনের সারের দাম প্রতি কেজি ৫ টাকা করে বাড়ানো হয়।

অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত ছিল সারের দাম কমানোর ব্যবস্থা করা। সেটা তো তারা করছেই না, উল্টো সরকার-নির্ধারিত দামেও সার বিক্রি নিশ্চিত করতে পারছে না। বোরো থেকে দেশের চালের জোগানের একটা বড় অংশ আসে।এ সময় সারের সংকট হলে এবং নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি নিশ্চিত করতে না পারলে শুধু যে কৃষকই সংকটে পড়বেন, তা নয়, দেশের খাদ্যনিরাপত্তাও ঝুঁকির মধ্যে পড়বে, এমনিতেই বাড়তি খাদ্যের মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে।

সরকারের উচিত ছিল সারসংকটের বিষয়টি অস্বীকার না করে সংকট সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া। বিগত সরকার যতই খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার দাবি করুক, বাস্তবতা হলো বাংলাদেশকে বছরে এক কোটি টনের বেশি খাদ্যশস্য আমদানি করতে হয়। কাজেই খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য দেশে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। এ রকম অবস্থায় সারের মতো গুরুত্বপূর্ণ কৃষি উপকরণের বাড়তি মূল্য কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।