
হোটেলটির নেই কোন বৈধতা। শুধুমাত্র লোভের আশায় আবাসিকের নামে গড়েতোলা হচ্ছে পতিতালয় ও মাদক বাণিজ্যের আখড়া।
মিরপুর শাহআলী থানাধীন গত ফ্যাসিবাদ আ.লীগের সময় মিরপুর-১এ গড়ে ওঠে আবাসিক হোটেল কর্ণফুলী। তৎকালীন সময়ে নরী ও মাদক বাণিজ্যে বেপারোয়া হয়ে উঠছিল হোটেল কর্ণফুলী। জানা গেছে ফ্যাসিবাদ আ.লীগ সরকারের আমলে বিল্ডিং ভাড়া নিয়ে হোটেলটি গড়ে ওঠা। এসব ঘিরে চলছে সমাজের নানা অপরাধ এবং নারী সিন্ডিকেটের বর্তমানে পায়তারা চলছে। এতে করে মিরপুর এলাকার সাধারন মানুষ বসবাসে কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে। হোটেল মালিক সাগর, মিলন, নিরুসহ আরো অনেকে। তবে হোটেলটি পরিচালনা করে থাকেন নারী সিন্ডিকেটের দালাল চক্ররা। এরা আন্ডার গ্রাউন্ডের নারী পাচার চক্রের সদস্য ও মাদক ব্যবসায়ী। অসাধু ব্যবসায়ীদের দালাল চক্ররা রাজধানীর মিরপুরে প্রায় সড়কে বা রাস্তা ঘাটে খদ্দের যোগানের আশায় পরে থাকে। এতে বিব্রত হয়ে পড়ে স্কুল-কলেজ কিংবা ভার্সিটি পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রীরা। এমনকি ছাত্র-ছাত্রীদের অভিবাবকরা লজ্জায় চলাফেরা করতে দিধাদন্ধে তোপের মূখে পরে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, অবস্থিত হোটেল কর্ণফুলী আবাসিক নামে প্রতিষ্ঠানটিতে যৌথ বাহিনী কিছুদিন আগে অভিযান চালিয়ে একাধিক অপরাধীদের গ্রেফতার করে কোর্টে প্রেরন করেন প্রশাসন। সেই রেশ কাটতে না কাটতে আবারো শুরু করে উক্ত হোটেল মালিকরা তাদের অনৈতিক কর্মকান্ডসহ নানা অপরাধ। তবে হোটেল মালিকরা বলেন, এসব ব্যবসা করতে গেলে প্রশাসনের রেড হবেই। তাছাড়া আমরা পুরানো ব্যবসায়ী। এগুলো কোন বিষয়না। কিন্তু উক্ত হোটেলটি ম্যানেজমেন্ট করেন চাঁদ নামের এক ব্যক্তি। যিনি নারী সিন্ডিকেট ও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। এমনকি রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ফ্ল্যাট বাসা ভাড়া নিয়েও এসব কর্মকান্ড করেন তারা। তাদের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে একাধিক যৌনকর্মী এবং যখন হোটেলে কোন সমস্যা হয় তখন তাদের নিয়ন্ত্রিত ফ্ল্যাটে নিয়ে যান যৌনকর্মীদের। এদের এমন একটি সিন্ডিকেট যারা পুরো ঢাকার শহর নিয়ন্ত্রন করে থাকেন।
সম্প্রত্তি, বাইরের পরিবেশ দেখে বোঝার উপায় নেই ভিতরে এত ভয়ংকর কারবার চলছে। তবে প্রতিষ্ঠান দেখলে মনে হবে সিমসাম। প্রতিষ্ঠানটিতে রযেছে তাদের নিরাপত্তার জণ্য একাধিক সিসি ক্যামেরা। এতে করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালানোর আগেই অপরাধীরা দুরে ছিটকে পরে। উক্ত অপরাধীরা সহজ-সরল মেয়েদের উচ্চ বেতনে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে হোটেলটিতে নিয়ে এসে নিয়ে এসে তাদেরকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করতে বাধ্য করে এবং দেশ ও দেশের বাইরে রয়েছে একটি বড় নারী সিন্ডিকেট। এসব অপরাধ দমনে আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। এসব অপরাধ সমাজের শত্রæ। এধরনের হোটেলগুলোর নেই কোন বৈধতা। শুধুমাত্র লোভের আশায় আবাসিকের নামে গড়ে তোলা হচ্ছে পতিতালয় ও মাদক বাণিজ্যের আখড়া।
এবিষয়ে শাহ আলী থানার ওসিকে জানালে তিনি বলেন, ভাই আমি নতুন এসেছি, আমি বিষয়টি দেখছি। আমার সিনিয়র অফিসারদের সাথে আলাপ করে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবো। তাছাড়া এসব ব্যবসা সমাজের শত্রæ। এদের নির্মূল করতে আপনাদের সহযোগীতা কাম্য করছি।