Dhaka 11:07 pm, Monday, 28 April 2025
গণমাধ্যমকর্মীকে হয়রানি ও মিথ্যা অপপ্রচার

লক্ষ্মীপুরে পোস্ট অফিস পরিদর্শক আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

পোস্ট অফিস পরিদর্শক আব্দুর রহমান

নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর অঞ্চলের পোস্ট অফিস পরিদর্শক আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে দীর্ঘ কর্মজীবনে দুর্নীতি, দায়িত্বে অবহেলা ও সরকারি সম্পদ চুরির একের পর এক অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে (সারক নং: ০০.০১.০০০০.৬০৪.১২.০০১২৪.২)।

দুদকের অনুসন্ধান অনুযায়ী, রামগঞ্জ উপবিভাগের অধীন খিলপাড়া ও কড়িহাটি উপডাকঘরের কার্যক্রমে চরম অবহেলার কারণে প্রায় ৪০ লাখ টাকার আত্মসাৎ ঘটেছে। একইসঙ্গে, সাব-পোস্ট মাস্টার নুর করিমের নেতৃত্বে ৯ কোটি টাকারও বেশি আত্মসাৎ হয়েছে, যার নেপথ্যে আব্দুর রহমানের অদক্ষতা ও দুর্নীতিপ্রবণ ভূমিকা রয়েছে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ রয়েছে।

শুধু আর্থিক দুর্নীতি নয়, ২০২১ সালের ২৬ নভেম্বর লক্ষ্মীপুর পোস্ট অফিস থেকে রড চুরির ঘটনাতেও তার নাম উঠে আসে। পোস্ট অফিসের নৈশ প্রহরী, পরিচ্ছন্নকর্মী এবং পোস্ট মাস্টারের লিখিত জবানবন্দিতে চুরির অভিযোগ নিশ্চিত করা হয়।

দীর্ঘদিন ধরে এক এলাকায় টিকে থাকার পেছনে “উপহার” আর “সাহেবদের তুষ্টি”র কৌশলই আব্দুর রহমানের প্রধান হাতিয়ার ছিল বলে জানিয়েছেন ডাক বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা।

সাম্প্রতিক অনুসন্ধানে জাতীয় দৈনিক সংবাদ দিগন্ত পত্রিকার নিজস্ব প্রতিনিধি মেহেদী হাসান রাসেল আব্দুর রহমানের দুর্নীতি নিয়ে অনুসন্ধান চালাতে গেলে বাধার মুখে পড়েন। অভিযোগ উঠেছে, আব্দুর রহমান স্থানীয় কিছু কথিত সাংবাদিকের মাধ্যমে মেহেদী হাসান রাসেলের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ তোলে এবং ভয়ভীতি দেখায় ও একটি আন্ডারগ্রাউন্ড পত্রিকায় একটি মিথ্যা সংবাদ অপ-প্রচার চালায়।

রাসেল তথ্য চাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে, কথিত সাংবাদিকদের দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অন্যান্য মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও কুরুচিপূর্ণ প্রচারণা চালানো হয়। তদন্তে জানা গেছে, এসব কথিত সাংবাদিকরা আব্দুর রহমানের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের উৎকোচ গ্রহণ করে দুর্নীতির অপকর্ম ঢাকতে সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন।

স্থানীয়ভাবে অভিযোগ করা হচ্ছে, মেহেদী হাসান রাসেল কোনো প্রেসক্লাব বা সাংবাদিক সংগঠনের সদস্য নন এমন প্রচার চালানো হয়। তবে বাংলাদেশ গণমাধ্যম ফোরামের সভাপতি জানিয়েছেন,“স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য সংগঠনের সদস্যপদ আবশ্যক নয়। বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী, সকল নাগরিক সাংবাদিকতা করতে পারেন।”

চট্টগ্রাম অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন, আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে চলমান তদন্তের অগ্রগতি রয়েছে এবং কীভাবে দীর্ঘদিন ধরে একই এলাকায় থেকে দুর্নীতি চালিয়ে গেছেন তা গভীরভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট সংবাদ
বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

গণমাধ্যমকর্মীকে হয়রানি ও মিথ্যা অপপ্রচার

লক্ষ্মীপুরে পোস্ট অফিস পরিদর্শক আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

Update Time : 07:28:04 pm, Monday, 28 April 2025

নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর অঞ্চলের পোস্ট অফিস পরিদর্শক আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে দীর্ঘ কর্মজীবনে দুর্নীতি, দায়িত্বে অবহেলা ও সরকারি সম্পদ চুরির একের পর এক অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে (সারক নং: ০০.০১.০০০০.৬০৪.১২.০০১২৪.২)।

দুদকের অনুসন্ধান অনুযায়ী, রামগঞ্জ উপবিভাগের অধীন খিলপাড়া ও কড়িহাটি উপডাকঘরের কার্যক্রমে চরম অবহেলার কারণে প্রায় ৪০ লাখ টাকার আত্মসাৎ ঘটেছে। একইসঙ্গে, সাব-পোস্ট মাস্টার নুর করিমের নেতৃত্বে ৯ কোটি টাকারও বেশি আত্মসাৎ হয়েছে, যার নেপথ্যে আব্দুর রহমানের অদক্ষতা ও দুর্নীতিপ্রবণ ভূমিকা রয়েছে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ রয়েছে।

শুধু আর্থিক দুর্নীতি নয়, ২০২১ সালের ২৬ নভেম্বর লক্ষ্মীপুর পোস্ট অফিস থেকে রড চুরির ঘটনাতেও তার নাম উঠে আসে। পোস্ট অফিসের নৈশ প্রহরী, পরিচ্ছন্নকর্মী এবং পোস্ট মাস্টারের লিখিত জবানবন্দিতে চুরির অভিযোগ নিশ্চিত করা হয়।

দীর্ঘদিন ধরে এক এলাকায় টিকে থাকার পেছনে “উপহার” আর “সাহেবদের তুষ্টি”র কৌশলই আব্দুর রহমানের প্রধান হাতিয়ার ছিল বলে জানিয়েছেন ডাক বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা।

সাম্প্রতিক অনুসন্ধানে জাতীয় দৈনিক সংবাদ দিগন্ত পত্রিকার নিজস্ব প্রতিনিধি মেহেদী হাসান রাসেল আব্দুর রহমানের দুর্নীতি নিয়ে অনুসন্ধান চালাতে গেলে বাধার মুখে পড়েন। অভিযোগ উঠেছে, আব্দুর রহমান স্থানীয় কিছু কথিত সাংবাদিকের মাধ্যমে মেহেদী হাসান রাসেলের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ তোলে এবং ভয়ভীতি দেখায় ও একটি আন্ডারগ্রাউন্ড পত্রিকায় একটি মিথ্যা সংবাদ অপ-প্রচার চালায়।

রাসেল তথ্য চাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে, কথিত সাংবাদিকদের দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অন্যান্য মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও কুরুচিপূর্ণ প্রচারণা চালানো হয়। তদন্তে জানা গেছে, এসব কথিত সাংবাদিকরা আব্দুর রহমানের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের উৎকোচ গ্রহণ করে দুর্নীতির অপকর্ম ঢাকতে সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন।

স্থানীয়ভাবে অভিযোগ করা হচ্ছে, মেহেদী হাসান রাসেল কোনো প্রেসক্লাব বা সাংবাদিক সংগঠনের সদস্য নন এমন প্রচার চালানো হয়। তবে বাংলাদেশ গণমাধ্যম ফোরামের সভাপতি জানিয়েছেন,“স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য সংগঠনের সদস্যপদ আবশ্যক নয়। বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী, সকল নাগরিক সাংবাদিকতা করতে পারেন।”

চট্টগ্রাম অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন, আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে চলমান তদন্তের অগ্রগতি রয়েছে এবং কীভাবে দীর্ঘদিন ধরে একই এলাকায় থেকে দুর্নীতি চালিয়ে গেছেন তা গভীরভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।