মামলার অন্য আসামিরা হলেন—বাঙ্গরা উপজেলার আকুবপুর গ্রামের ওবায়দুল্লাহ হক সিদ্দিকী (৪০), ত্রিশ গ্রামের আল মামুন (৩০), মুরাদনগর গ্রামের সাজিদ (২৫), বাহারামের কান্দা গ্রামের আরাফাত (২৫), নবীপুর গ্রামের মিজান (২৮), একই গ্রামের ফয়সাল (৩০), বাখর নগর গ্রামের এনামুল হক আসিফ (৩২), মুরাদনগরের মাহি (২৫), জিসান (২৫), নোয়াকান্দি গ্রামের ইকরাম (২২), একই এলাকার সাইম (২০), নিমাইকান্দের নাঈম (২৫), বাখর নগরের মহিউদ্দিন (২৮), একই এলাকার সাইফুল ইসলাম (২৭), একই এলাকার তৌহিদ রাসেল (২৮), একই এলাকার রাসেল (২৮), ত্রিশ এলাকার হাবিব (২৮), মুরাদনগর উত্তর পাড়ার ইমন (২৪), আলীর চরের ইব্রাহিম (৩২) প্রমুখ।
আদালত সূত্র জানায়, ২৪ মার্চ ইলেকট্রিশিয়ান মেহেদী হাসানের ভাই সিএনজি চালক আবু কালামকে উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ নগরপাড় সিএনজি স্টেশন থেকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে তাঁর ভাইকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য পুলিশকে অনুরোধ করলে ওসি জাহিদুর রহমান এক লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। এর আগে উল্লেখিত অন্য আসামিরাও তাঁর কাছে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি কুমিল্লা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১১ নম্বর আমলি আদালতে হাজির হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। আদালতের বিচারক মো. মোমিনুল হক মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ১৯ মের মধ্যে পিবিআই কুমিল্লাকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
মামলার বাদী মেহেদী হাসান জানান, বিনা কারণে আমার ভাইকে পুলিশ ধরে এনে চাঁদা দাবি করে। আমি আদালতের শরণাপন্ন হয়ে আদালতে উপস্থিত হয়ে মামলাটি দায়ের করি। ওসির বিরুদ্ধে আরও অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে ঘুষ ও চাঁদাবাজির। আমি আদালতের কাছে সঠিক বিচার দাবি করছি।