
আজকের সমাজে আমরা দেখছি, ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ক্ষমতার হাত ধরে নৈতিকতার সংজ্ঞাও পাল্টে যায়। অন্যের হাতে থাকা অবস্থায় যা ছিল দোষ, নিজের হাতে আসার পর সেটি কৌশল, এমনকি অধিকারও হয়ে দাঁড়ায়। এ এক বিভ্রান্তিকর বাস্তবতা, যেখানে সত্য-মিথ্যার সীমারেখা ক্ষমতার সঙ্গে পরিবর্তিত হয়।
ক্ষমতার অপব্যবহারের এই প্রবণতা সমাজকে অবনতি ও বিভ্রান্তির পথে নিয়ে যাচ্ছে। পরিবর্তনের এই প্রহসন থামাতে হবে।
ব্যক্তিগত স্বার্থ ও সুবিধার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠা এই নীতির ফলে সমাজে বিভাজন ও অবিচারের শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ , অথচ এদিকে এর কোন খেয়াল নেই সবকিছু তার নিজের মতন করে আছাড় ব্যবহার প্ররোচনা করতেছেন।তারা হারিয়ে ফেলছেন সঠিক ন্যায়বোধ এবং নিজের ন্যায্য অধিকারটুকু অর্জনের সাহস। যারা ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন, তারা নিয়ম ও নীতির ধারা নিজেদের মতো করে তৈরি করে যাচ্ছেন।
প্রশ্ন হলো, সমাজে কি সত্যি এমন এক মানদণ্ড প্রয়োজন, যেখানে ক্ষমতার উপর নির্ভরশীল নৈতিকতা হয়? যেখানে ক্ষমতাশীলদের নীতি পরিবর্তনের অধিকার আছে, কিন্তু সাধারণ মানুষের জন্য সেই নীতিগুলো চিরন্তন বাধাধরা নিয়ম হয়ে থেকে যায়?
সমাজকে সঠিক পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসা উচিত, যাতে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নিজের সুবিধার জন্য নৈতিকতার সংজ্ঞা পরিবর্তন করতে না পারে। ন্যায়ের মানদণ্ড সকলের জন্য সমান হওয়া উচিত—এটাই একটি সুশৃঙ্খল সমাজের মূল ভিত্তি।