
সেই নব্বই দশক থেকেই শেকড়ের সন্ধানে ‘ইত্যাদি’ স্টুডিও’র চার দেয়াল থেকে বের হয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। তুলে ধরছে আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, প্রত্ননিদর্শন, আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্রসহ জনগুরুত্বপূর্ণ স্থান। তারই ধারাবাহিকতায় এবারের পর্ব ধারণ করা হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত সমৃদ্ধ জেলা ঝিনাইদহে। এশিয়ার বৃহত্তম কৃষি খামার মহেশপুরের দত্তনগরের দিগন্ত বিস্তৃত ফসলের মাঠের মাঝখানে বটবৃক্ষ চত্বরে মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে।
এবারের অনুষ্ঠানে ঝিনাইদহের কিংবদন্তি লোককবি পাগলা কানাইয়ের কথা ও সুরে একটি লোকগানে কণ্ঠ দিয়েছেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী সেলিম চৌধুরী ও তসিবা।নাচটির কোরিওগ্রাফি করেছেন মোহাম্মদ শাহিন ইসলাম, কণ্ঠ দিয়েছেন রাজিব ও তানজিনা রুমা। গানটির সুর করেছেন হানিফ সংকেত এবং সংগীতায়োজনে ছিলেন মেহেদী। দর্শক পর্বের নিয়ম অনুযায়ী, ধারণস্থান ঝিনাইদহকে ঘিরে করা প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে উপস্থিত দর্শকের মাঝখান থেকে চারজন দর্শক নির্বাচন করা হয়। দ্বিতীয় পর্বে নির্বাচিত দর্শকরা ঝিনাইদহের ব্র্যান্ডিং পণ্য কলা ও পান নিয়ে রচিত একটি নাট্যাংশে স্থানীয় ভাষায় অভিনয় করেন।
এবারের পর্বেও রয়েছে কয়েকটি হৃদয়ছোঁয়া প্রতিবেদন। রয়েছে ঝিনাইদহের ওপর তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন।আমাদের দেশের কিছু কিছু পাহাড়ি অঞ্চল রয়েছে যেখানে পানির অস্তিত্বই নেই। চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের দুর্গম পাহাড়ি এলাকার একটি পাড়ায় পানির কষ্টে থাকা তেমনি কিছু মানুষের ওপর রয়েছে মানবিক প্রতিবেদন। চিঠিপত্র পর্বে ঝিনাইদহের মহেশপুরে বন্যপ্রাণীর বন্ধু হয়ে ওঠা প্রাণীপ্রেমী নাজমুল হোসেনের কর্মকাণ্ডের ওপর রয়েছে প্রতিবেদন।