Dhaka 5:03 am, Saturday, 3 May 2025

ইংলিশ নারী ফুটবলে ট্রান্সজেন্ডার খেলোয়াড় নিষিদ্ধ

ট্রান্সজেন্ডার খেলোয়াড় নিষিদ্ধ

আগামী মৌসুম থেকে ইংলিশ নারী ফুটবলে আর দেখা যাবে না ট্রান্সজেন্ডার খেলোয়াড়দের। ইংল্যান্ড ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ) এক ঘোষণায় জানিয়েছে, ১ জুন ২০২৫ থেকে এই নতুন নীতি কার্যকর হবে।

এই সিদ্ধান্তের পেছনে কারণ হিসেবে ব্রিটেনের সুপ্রিম কোর্টে পাশ হওয়া একটি নতুন আইনকে উল্লেখ করেছে এফএ, যেখানে কেবল জৈবিক নারীদের নারী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

এক বিবৃতিতে এফএ জানিয়েছে, “আইন, বিজ্ঞান বা ফুটবলের প্রেক্ষাপট পরিবর্তিত হলে আমরা আবারও এই সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা করব। তবে আপাতত নারী ফুটবলে ট্রান্স নারীদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা হলো।”

বর্তমানে ইংল্যান্ডের স্থানীয় লিগে প্রায় ২০ জন ট্রান্স নারী খেলোয়াড় রয়েছেন, যারা এই সিদ্ধান্তে সরাসরি প্রভাবিত হবেন।

প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের মুখপাত্র জানিয়েছেন, “নারীদের খেলায় জৈবিক পার্থক্য এবং আইনের প্রতি সম্মান অপরিহার্য।”
অন্যদিকে ট্রান্স অধিকার সংগঠন ও ব্যক্তিরা সিদ্ধান্তটিকে বৈষম্যমূলক ও উদ্বেগজনক বলে অভিহিত করেছেন। ফুটবল বনাম ট্রান্সফোবিয়া গ্রুপের নাটালি ওয়াশিংটন বলেন, “অনেক ট্রান্স খেলোয়াড় নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্যের অভাবে পুরুষদের দলে খেলতে পারবেন না।”

তবে নারী অধিকার সংগঠন ‘সেক্স ম্যাটার্স’-এর মতে, এই সিদ্ধান্ত দেরিতে হলেও প্রয়োজনীয়। সংগঠনের প্রতিনিধি ফিওনা ম্যাকানেনা বলেন, “টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমানো হলেও ট্রান্স নারীরা জৈবিক নারী নন, এটা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত।”

স্কটল্যান্ড ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এসএফএ) ইতোমধ্যেই একই ধরনের নীতি বাস্তবায়ন করেছে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

ইংলিশ নারী ফুটবলে ট্রান্সজেন্ডার খেলোয়াড় নিষিদ্ধ

Update Time : 03:39:54 pm, Friday, 2 May 2025

আগামী মৌসুম থেকে ইংলিশ নারী ফুটবলে আর দেখা যাবে না ট্রান্সজেন্ডার খেলোয়াড়দের। ইংল্যান্ড ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ) এক ঘোষণায় জানিয়েছে, ১ জুন ২০২৫ থেকে এই নতুন নীতি কার্যকর হবে।

এই সিদ্ধান্তের পেছনে কারণ হিসেবে ব্রিটেনের সুপ্রিম কোর্টে পাশ হওয়া একটি নতুন আইনকে উল্লেখ করেছে এফএ, যেখানে কেবল জৈবিক নারীদের নারী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

এক বিবৃতিতে এফএ জানিয়েছে, “আইন, বিজ্ঞান বা ফুটবলের প্রেক্ষাপট পরিবর্তিত হলে আমরা আবারও এই সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা করব। তবে আপাতত নারী ফুটবলে ট্রান্স নারীদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা হলো।”

বর্তমানে ইংল্যান্ডের স্থানীয় লিগে প্রায় ২০ জন ট্রান্স নারী খেলোয়াড় রয়েছেন, যারা এই সিদ্ধান্তে সরাসরি প্রভাবিত হবেন।

প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের মুখপাত্র জানিয়েছেন, “নারীদের খেলায় জৈবিক পার্থক্য এবং আইনের প্রতি সম্মান অপরিহার্য।”
অন্যদিকে ট্রান্স অধিকার সংগঠন ও ব্যক্তিরা সিদ্ধান্তটিকে বৈষম্যমূলক ও উদ্বেগজনক বলে অভিহিত করেছেন। ফুটবল বনাম ট্রান্সফোবিয়া গ্রুপের নাটালি ওয়াশিংটন বলেন, “অনেক ট্রান্স খেলোয়াড় নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্যের অভাবে পুরুষদের দলে খেলতে পারবেন না।”

তবে নারী অধিকার সংগঠন ‘সেক্স ম্যাটার্স’-এর মতে, এই সিদ্ধান্ত দেরিতে হলেও প্রয়োজনীয়। সংগঠনের প্রতিনিধি ফিওনা ম্যাকানেনা বলেন, “টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমানো হলেও ট্রান্স নারীরা জৈবিক নারী নন, এটা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত।”

স্কটল্যান্ড ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এসএফএ) ইতোমধ্যেই একই ধরনের নীতি বাস্তবায়ন করেছে।