
নদীপথেও শুরু হতে যাচ্ছে ঈদযাত্রা৷ রাজধানীর সদরঘাট থেকে ৫০টি রুটে যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যাবে ১৭৫টি লঞ্চ। ভোগান্তিহীন ও নিরাপদ ঈদযাত্রা নিশ্চিত করতে প্রস্তুত বন্দর কর্তৃপক্ষ। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কিছুটা যাত্রী সমাগম শুরু হলেও আগের মতো জৌলুস নেই রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে। নেই চিরচেনা রূপ, তবুও ঈদ উপলক্ষে রয়েছে বাড়তি প্রস্তুতি। অপেক্ষমাণ ১৭৫টি লঞ্চ, যা ছেড়ে যাবে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন রুটে।
বুধবার (২৬ মার্চ) থেকে যাত্রী নিয়ে আনুষ্ঠানিক ঈদযাত্রা শুরু করবে লঞ্চগুলো। তবুও কিছুটা স্বস্তি আর পরিবারকে বাড়তি সময় দিতে আগেভাগেই শেকড়ের টানে নদীপথে যাত্রা করছেন অনেকে। মুন্নী আক্তার নামে এক নারী বলেন, ‘ঈদের সময় যত এগিয়ে আসবে, ভিড় ততই বাড়বে। তখন বাচ্চা নিয়ে যাওয়া তখন কঠিন হয়ে যায়। তাই আগেভাগেই চলে যাচ্ছি। বাচ্চার বাবা পরে যাবেন।’
নদীপথের শ্রমিকদের অলস সময় শেষ হয়ে বেড়েছে ব্যস্ততা। হাকডাকে ঘাটে ফিরেছে প্রাণচাঞ্চল্য। আশা করছেন বছরের ধাক্কা পুষিয়ে নেয়ার। লঞ্চের কর্মচারীরা বলেন, ‘পদ্মা সেতু হওয়ার পর লঞ্চের যাত্রী কমে গেছে। ঈদের সময়টাতে কিছু যাত্রী পাওয়ার আশায় থাকি।’ ঈদযাত্রা নিয়ে সতর্ক বন্দর কর্তৃপক্ষও। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) স্পষ্ট নির্দেশনা, কোনো অনিয়মে ছাড় নয়। অতিরিক্ত ভাড়া কিংবা বাড়তি যাত্রী নিলেই কেড়ে নেয়া হবে লঞ্চের লাইসেন্স। এছাড়া ঈদযাত্রা ভোগান্তিমুক্ত ও নিরাপদ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর এবং ঘাট এলাকায় যানজট নিরসনেও নেয়া হয়েছে প্রস্তুতি।