একসময় মেহেদি পাতা বেটে হাতে লাগানোর চল ছিল, যা ছিল সময়সাপেক্ষ এবং কিছুটা কষ্টসাধ্য। টিউব মেহেদির কল্যাণে এখন খুব সহজেই দৃষ্টিনন্দন নকশা আঁকা যায়।নকশায় বৈচিত্র্য:সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে মেহেদির নকশায় এসেছে বৈচিত্র্য। ফুলেল, চরকা, পানপাতা, ময়ূর, জ্যামিতিক মোটিফের নকশাই বেশি জনপ্রিয়।ফিউশন ডিজাইনে কালো মেহেদি দিয়ে আউটলাইন করে লাল মেহেদি দিয়ে ভেতরের অংশ পূরণ করাও বেশ জনপ্রিয় এখন। হাতে লম্বালম্বি ডিজাইন ভালো দেখায়।
পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে মেহেদি ডিজাইন:পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে মেহেদির ডিজাইন করলে সাজ পায় পূর্ণতা। শাড়ির সঙ্গে দুই হাত ভরে নকশা করলে ভালো লাগবে। সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে হাতের তালুতে বেশি নকশা রেখে ওপরটা হালকা রাখুন।
মেহেদির রং গাঢ় করার উপায়:মেহেদি লাগানোর আগে হাত ভালো করে ধুয়ে, শুকিয়ে নিন। মেহেদি শুকিয়ে গেলে ঝেড়ে ফেলুন, পানি দেবেন না। চায়ের লিকার ও লেবুর রস ব্যবহার করলে রং আরো গাঢ় হয়।সরিষার তেল মাখলে রং দীর্ঘস্থায়ী হয়। যারা তাত্ক্ষণিক মেহেদি পরার কথা ভাবছেন তাঁরা মেহেদি দেওয়ার পর অবশ্যই ভালোভাবে ঘষে হাত পরিষ্কার করে নেবেনমেহেদি লাগানোর সহজ কৌশল:ডিজাইনের জন্য আগে থেকে কিছু মোটিফ দেখে নিন। টিস্যু পেপার, টুথপিক বা আলপিন সঙ্গে রাখুন। মেহেদি দেওয়ার সময় নড়াচড়া কম করুন। এতে নকশা নষ্ট হবে না। জামা-কাপড়েও লাগবে না।খরচ:পার্লারভেদে মেহেদি লাগানোর খরচ ভিন্ন হয়ে থাকে। দুই হাত ভরে ঘন নকশার খরচ ২০০০ থেকে ৪০০০ টাকা। হালকা নকশার খরচ ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। হাতের মাঝখানে ডিজাইনে খরচ পড়বে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা।