
ব্যাংকের টাকা সাধারণ গ্রাহকের। আর তা ‘রক্ষক হয়ে ভক্ষক’-এর মতো নির্বিচারে লুটপাট করেছেন মালিকরা। পরিচালকের তকমা লাগিয়ে এক ব্যাংকের পরিচালক অন্য ব্যাংকের টাকা মেরে দিয়েছেন যোগসাজশ করে। নামে-বেনামে, ভুয়া নথিপত্র আর জাল দলিলে রীতিমতো ‘হাওয়া’ করে দিয়েছেন শতকোটি নয়, সবাইকে ‘ম্যানেজ’ করার দাওয়াই দিয়ে ওরাই আবার এখনো নিজ নিজ অবস্থানে বহাল তবিয়তে।বিশ্লেষকরা বলছেন, তাঁরা ব্যাংক খাতকে অর্থ আত্মসাতের একটা জায়গা হিসেবে ব্যবহার করেছেন।
তাঁদের এখন শাস্তি হওয়া দরকার।বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা ও বিশ্লেষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেশে বর্তমানে নতুন-পুরনো মিলিয়ে সরকারি-বেসরকারি ৫২টি এবং ৯টি বিদেশি ব্যাংক রয়েছে। এসব ব্যাংকের মোট পরিচালকের সংখ্যা ৭৬০।তাঁদের মধ্যে এক শরও বেশি পরিচালক ব্যাংকিং খাতে মূলত লুটপাট চালিয়েছেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত বছরের ২০ আগস্ট পর্যন্ত ব্যাংক খাতে পরিচালকদের ঋণের পরিমাণ ছিল দুই লাখ ৩৩ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। ২০১৬ সালে এই ঋণের পরিমাণ ছিল প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা। এটা চূড়ান্ত হলে পরিচালকদের ঋণের হালনাগাদ তথ্য পাওয়া যাবে।