
আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের কিস্তি নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সংস্থাটির দরকষাকষি তুঙ্গে। দীর্ঘ আলোচনার পর প্রধান তিনটি শর্ত থেকে এখন একটিতে নেমে এসেছে। ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময় হার পুরোপুরি বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার শর্তটি নিয়েই চলছে আলোচনা। বাংলাদেশ পরিষ্কারভাবেই জানিয়ে দিয়েছে, এটি এখন বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। আইএমএফ বলেছে, এটি বাস্তবায়ন না হলে কিস্তি ছাড় নয়।
ফলে এই শর্তের বেড়াজালে ঋণের কিস্তি ছাড় আটকে রয়েছে। এতে কোনো পক্ষই ছাড় দিচ্ছে না।সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, ডলারের প্রবাহ যেভাবে বেড়েছে, তাতে আইএমএফের ঋণের প্রয়োজন তেমন নেই। তবে তাদের ঋণ পেলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের অর্থনীতি যে স্থিতিশীল এমন একটা বার্তা যায়। এ কারণেই সরকার এখনো আইএমএফের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে আইএমএফ ঋণের চুক্তি থেকে বেরোতে চাচ্ছে না।
কারণ তাদের ঋণ কর্মসূচি থেকে বেরিয়ে গেলে বৈশ্বিকভাবে আইএমএফ সম্পর্কে নেতিবাচক বার্তা যায়। এর আগে ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ছাড়ার সময়ে রিজার্ভ ১০০ কোটি ডলারের নিচে নেমে এসেছিল। পরে বিএনপি ক্ষমতায় এসে আইএমএফ থেকে ঋণ নেওয়ার জন্য আলোচনা শুরু করে। ওই সময়েও তাদের সঙ্গে ব্যাপক দরকষাকষি হয়। এটিকে রাষ্ট্রের সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয় হিসাবেই দেখছেন অর্থনীতিবিদরা। যা দেশের জন্য ইতিবাচক।