Dhaka 9:09 pm, Thursday, 8 May 2025

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের মুনাফা ৩৩০০ কোটি টাকা

প্রকৃত মুনাফা করেছে বহুজাতিক ব্যাংক

বিদায়ী বছরে ৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকা নিট বা প্রকৃত মুনাফা করেছে বহুজাতিক ব্যাংক স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড, যা বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের ইতিহাসে সর্বোচ্চ মুনাফা।সবচেয়ে বেশি মুনাফা অর্জনকারী দেশি তিনটি ব্যাংক হলো ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক ও পূবালী ব্যাংক। এই তিন ব্যাংকের মোট মুনাফার চেয়ে কিছুটা বেশি মুনাফা করেছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড।

ওই ৩ ব্যাংক মিলে মুনাফা করেছে ৩ হাজার ২২৬ কোটি টাকা।ব্যাংকটির আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০২১ সালে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ৭৫৮ কোটি টাকার নিট মুনাফা করে। ২০২২ সালে ব্যাংকটির নিট মুনাফার পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৬৫৫ কোটি টাকা, যা ২০২৩ সালে বেড়ে হয় ২ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা। ২০২৪ সালে ব্যাংকটি ঋণ দিয়ে সুদ আয় করেছে ৩ হাজার ১ কোটি টাকা, আমানতের বিপরীতে সুদ দিয়েছে ২ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা।

সব মিলিয়ে পরিচালন আয় হয় ৫ হাজার ৫০১ কোটি টাকা। অফিস খরচ, বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য পরিচালন খরচ হয় ৯০৬ কোটি টাকা। দেশে ১২০ বছর ধরে সেবা দিয়ে যাচ্ছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড। সারা দেশে ব্যাংকটির ১৮টি শাখা, ১টি ইসলামিক উইন্ডো ও ৩টি গ্রাহকসেবা কেন্দ্র রয়েছে। গত বছর শেষে ব্যাংকটির ঋণের পরিমাণ ছিল ৩০ হাজার ৬ কোটি টাকা। খেলাপি ঋণের হার ২ দশমিক ৭৯ শতাংশ। মূলধনসহ অন্য আর্থিক সূচকেও ব্যাংকটি ঈর্ষণীয় পর্যায়ে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের মুনাফা ৩৩০০ কোটি টাকা

Update Time : 03:25:30 pm, Wednesday, 7 May 2025

বিদায়ী বছরে ৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকা নিট বা প্রকৃত মুনাফা করেছে বহুজাতিক ব্যাংক স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড, যা বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের ইতিহাসে সর্বোচ্চ মুনাফা।সবচেয়ে বেশি মুনাফা অর্জনকারী দেশি তিনটি ব্যাংক হলো ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক ও পূবালী ব্যাংক। এই তিন ব্যাংকের মোট মুনাফার চেয়ে কিছুটা বেশি মুনাফা করেছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড।

ওই ৩ ব্যাংক মিলে মুনাফা করেছে ৩ হাজার ২২৬ কোটি টাকা।ব্যাংকটির আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০২১ সালে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ৭৫৮ কোটি টাকার নিট মুনাফা করে। ২০২২ সালে ব্যাংকটির নিট মুনাফার পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৬৫৫ কোটি টাকা, যা ২০২৩ সালে বেড়ে হয় ২ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা। ২০২৪ সালে ব্যাংকটি ঋণ দিয়ে সুদ আয় করেছে ৩ হাজার ১ কোটি টাকা, আমানতের বিপরীতে সুদ দিয়েছে ২ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা।

সব মিলিয়ে পরিচালন আয় হয় ৫ হাজার ৫০১ কোটি টাকা। অফিস খরচ, বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য পরিচালন খরচ হয় ৯০৬ কোটি টাকা। দেশে ১২০ বছর ধরে সেবা দিয়ে যাচ্ছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড। সারা দেশে ব্যাংকটির ১৮টি শাখা, ১টি ইসলামিক উইন্ডো ও ৩টি গ্রাহকসেবা কেন্দ্র রয়েছে। গত বছর শেষে ব্যাংকটির ঋণের পরিমাণ ছিল ৩০ হাজার ৬ কোটি টাকা। খেলাপি ঋণের হার ২ দশমিক ৭৯ শতাংশ। মূলধনসহ অন্য আর্থিক সূচকেও ব্যাংকটি ঈর্ষণীয় পর্যায়ে।