
বৈদেশিক ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে দাতা সংস্থা আইএমএফ-এর প্রাধান্য কমলেও অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রাধিকারে উঠে আসছে চীনের নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এনডিবি)। সংস্থাটি বছরে একশ কোটি মার্কিন (১ বিলিয়ন) ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।ইতোমধ্যে তিন প্রকল্পের জন্য ৯৫ কোটি ডলার ঋণ চেয়েছে বাংলাদেশ, যা অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। যদিও এনডিবির ঋণ হচ্ছে বাজারভিত্তিক, অর্থাৎ উচ্চ সুদহার ও অনমনীয় (কঠিন শর্ত)।
এ মন্তব্যের একদিন আগে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ-এর বসন্তকালীন বৈঠকে অংশগ্রহণ শেষে দেশে ফিরেন। সেখানে সাইডলাইনে আইএমএফ-এর প্রতিনিধির সঙ্গেও বৈঠক করা হলেও ঋণের কিস্তির বিষয়ে কোনো ইতিবাচক সাড়া মেলেনি।অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেছেন, সংস্থাটির (আইএমএফ) ঋণ কর্মসূচি বজায় রাখা নিয়ে একটি কঠিন সিদ্ধান্ত নেবে অন্তর্বর্তী সরকার।
এতে আইএমএফ চলমান ঋণের কিস্তি দিলে দেবে, না দিলে নিজেদের মতো করে বাজেট করব।বিশেষজ্ঞদের মতে, অর্থ উপদেষ্টার এ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রাধান্য কমে যাচ্ছে আইএমএফ-এর। যদিও বাংলাদেশকে ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ অনুমোদন করে তিনটি কিস্তি ছাড় করেছে সংস্থাটি। এরপর আইএমএফ-এর ঋণের শর্ত পূরণ না হওয়ায় সংস্থাটি চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি ছাড় করেনি।