
বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেলের বাজারে ফের নেমে এসেছে বড়সড় ধস। ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ৫৬ সেন্ট (০.৯ শতাংশ) কমেছে দাঁড়িয়েছে ৬১.৫৭ ডলারে। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) তেলের দর কমে ৬১ সেন্ট (১ শতাংশ) দাঁড়ায় ৫৮.৬৩ ডলারে। সপ্তাহজুড়ে দুই সূচকেই দাম কমেছে প্রায় ৭ শতাংশ যা এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ পতন।বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই দরপতনের পেছনে কাজ করছে একাধিক অনিশ্চয়তা। তার আগেই বাজারে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে সতর্কতা ও উদ্বেগ।চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় শুক্রবার জানায়, তারা যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে পাওয়া বাণিজ্য আলোচনার প্রস্তাব ‘মূল্যায়ন করছে’। এতে কিছুটা আশার আলো দেখা দিলেও, বিশেষজ্ঞদের মতে আলোচনার সম্ভাবনা এখনো বেশ অনিশ্চিত।
অনিক্স ক্যাপিটাল গ্রুপের গবেষণা প্রধান হ্যারি চিলিংগুইরিয়ান বলেছেন, ‘আশাবাদের কিছু চিহ্ন মিলেছে বটে, তবে পুরো প্রক্রিয়াটাই এখনও খুব অস্থির। তার ভাষায়, এ যেন এক ধাপ এগোলে, দু’ধাপ পিছিয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা।’বাজার সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা করছেন, যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্যযুদ্ধ যদি দীর্ঘায়িত হয়, তাহলে তা বৈশ্বিক অর্থনীতিকে ধসিয়ে দিতে পারে। আর অর্থনীতি দুর্বল হলে তেলের চাহিদাও কমে যাবে-এটাই সবচেয়ে বড় আশঙ্কা।তেলের বাজারে নতুন করে অস্থিরতা তৈরি করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকি।আর বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইরানি তেল ক্রেতা কে? চীন।পর্যবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান ফিচ-এর অধীনস্থ বিএমআই এক বিবৃতিতে জানায়, ‘ওপেক প্লাসের বাইরে তেল উৎপাদন বাড়ছে। কিন্তু বৈশ্বিক চাহিদা কাঠামোগতভাবে কমছে।