Dhaka 12:13 am, Friday, 30 May 2025

এমএফএসের ২০২২ সালে ৭৫,০০০ কোটি টাকা পাচার

মোবাইল ফোনে আর্থিক সেবার ।

মোবাইল ফোনে আর্থিক সেবার (এমএফএস) মাধ্যমে দেশ থেকে অর্থ পাচার হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ বা টিআইবি। অর্থাৎ এই সেবার অপব্যবহার হচ্ছে।টিআইবি জানিয়েছে, ২০২২ সালে কেবল এমএফএসের মাধ্যমে আনুমানিক ৭৮০ কোটি ডলার অর্থাৎ প্রায় ৭৫ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়। টিআইবির গবেষণায় দেখা গেছে, ব্যক্তিগত এমএফএস হিসাবধারীদের ৬ দশমিক ৩ শতাংশ, এজেন্ট হিসাবধারীদের ১৭ শতাংশ ও মার্চেন্ট হিসাবধারীদের ১ দশমিক ৬ শতাংশ জালিয়াতি ও প্রতারণার শিকার হয়েছে।

সেই সঙ্গে আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছেন যথাক্রমে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ, ৮৭ শতাংশ ও ১ দশমিক ৪ শতাংশ হিসাবধারী।জালিয়াতি বা প্রতারণার শিকার হয়ে ব্যক্তিগত হিসাবধারীদের সর্বনিম্ন ৩০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৮৩ হাজার টাকা; এজেন্টদের সর্বনিম্ন ২০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকা ও মার্চেন্ট হিসাবধারীদের সর্বনিম্ন ৫৩ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।সংশ্লিষ্ট এমএফএস বিধিমালার ‘ই-মানি’ ও ‘ট্রাস্ট-কাম-সেটেলমেন্ট’সংক্রান্ত ধারা উপেক্ষা করে ট্রাস্ট ফান্ডে জমা করা অর্থের সীমা অতিক্রম করে অতিরিক্ত প্রায় ৬৪৫ কোটি টাকার ই-মানি তৈরি করেছে। এই বিধি লঙ্ঘন গ্রাহকদের অর্থের ঝুঁকির মুখে ফেলেছে বলে মনে করে টিআইবি।ভাতা ও উপবৃত্তি বিতরণে আর্থিক জালিয়াতি, নিয়মবহির্ভূতভাবে অতিরিক্ত ই-মানি সৃষ্টির মাধ্যমে  ।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

এমএফএসের ২০২২ সালে ৭৫,০০০ কোটি টাকা পাচার

Update Time : 03:42:53 pm, Wednesday, 28 May 2025

মোবাইল ফোনে আর্থিক সেবার (এমএফএস) মাধ্যমে দেশ থেকে অর্থ পাচার হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ বা টিআইবি। অর্থাৎ এই সেবার অপব্যবহার হচ্ছে।টিআইবি জানিয়েছে, ২০২২ সালে কেবল এমএফএসের মাধ্যমে আনুমানিক ৭৮০ কোটি ডলার অর্থাৎ প্রায় ৭৫ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়। টিআইবির গবেষণায় দেখা গেছে, ব্যক্তিগত এমএফএস হিসাবধারীদের ৬ দশমিক ৩ শতাংশ, এজেন্ট হিসাবধারীদের ১৭ শতাংশ ও মার্চেন্ট হিসাবধারীদের ১ দশমিক ৬ শতাংশ জালিয়াতি ও প্রতারণার শিকার হয়েছে।

সেই সঙ্গে আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছেন যথাক্রমে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ, ৮৭ শতাংশ ও ১ দশমিক ৪ শতাংশ হিসাবধারী।জালিয়াতি বা প্রতারণার শিকার হয়ে ব্যক্তিগত হিসাবধারীদের সর্বনিম্ন ৩০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৮৩ হাজার টাকা; এজেন্টদের সর্বনিম্ন ২০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকা ও মার্চেন্ট হিসাবধারীদের সর্বনিম্ন ৫৩ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।সংশ্লিষ্ট এমএফএস বিধিমালার ‘ই-মানি’ ও ‘ট্রাস্ট-কাম-সেটেলমেন্ট’সংক্রান্ত ধারা উপেক্ষা করে ট্রাস্ট ফান্ডে জমা করা অর্থের সীমা অতিক্রম করে অতিরিক্ত প্রায় ৬৪৫ কোটি টাকার ই-মানি তৈরি করেছে। এই বিধি লঙ্ঘন গ্রাহকদের অর্থের ঝুঁকির মুখে ফেলেছে বলে মনে করে টিআইবি।ভাতা ও উপবৃত্তি বিতরণে আর্থিক জালিয়াতি, নিয়মবহির্ভূতভাবে অতিরিক্ত ই-মানি সৃষ্টির মাধ্যমে  ।