
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের ব্যাংকিং খাতে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। অনেক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান, পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদে পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু বড় ধরনের অনিয়মের পরও বেসরকারি খাতের যমুনা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমডি মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমেদ টিকে গেছেন। ব্যাংকের কেনাকাটায় অনিয়ম, নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতার কমতি সত্ত্বেও ৫ আগস্টের পর তিনি বহাল তবিয়তে আছেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ইতিমধ্যে ব্যাংকের কেনাকাটায় অনিয়মের বিষয়ে যমুনা ব্যাংক ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে। আর এসব অনিয়ম ঘটেছে গত সরকারের আমলের স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলামের পুত্র ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. সাইদুল ইসলামের যোগসাজশে। এই সময়ে ব্যাংকের খেলাপি ঋণও বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, তাজুল ইসলামের ছেলে ও যমুনা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. সাইদুল ইসলাম ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে এক বোর্ড সভায় প্রভাব খাটিয়ে ১৫ কোটি টাকার আইটির হার্ডওয়্যার ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি প্রায় ৯০ কোটি টাকায় ক্রয় দেখিয়ে সেই টাকা আত্মসাৎ করেন। এছাড়া ব্যাংকের বিভিন্ন খাতে শতকোটি টাকার বেশি আত্মসাৎ করেছে তৎকালীন বোর্ড। বর্তমানে সাবেক চেয়ারম্যান মো. সাইদুল ইসলাম বিদেশে পলাতক রয়েছেন বলে জানা গেছে। তিনি বাবার রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতি করে দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন বলে জানা গেছে।