
এপ্রিল মাসে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি কমেছে বলে জানিয়েছে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি)।প্রকাশিত ‘ইকোনমিক আপডেট অ্যান্ড আউটলুক: মে ২০২৫’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।তে বলা হয়েছে, অর্থের সরবরাহ ও চাহিদা উভয় দিক থেকেই গৃহীত পদক্ষেপ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রেখেছে।
চাহিদা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংকের কড়াকড়ি মুদ্রানীতি—যা অর্থবছর ২০২৪-২৫ এর দ্বিতীয়ার্ধে কার্যকর হয়।একইসঙ্গে, চাল ও ভোজ্যতেলের মতো জরুরি খাদ্যপণ্যের আমদানিতে শুল্ক হ্রাসসহ রাজস্ব পদক্ষেপ ভোক্তাদের ওপর চাপ কমাতে সাহায্য করেছে।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘এই সম্মিলিত প্রচেষ্টাগুলো ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৭–৮ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ।’২০২৪ সালের নভেম্বর থেকে খাদ্য ও সামগ্রিক মুদ্রাস্ফীতি ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে। এপ্রিল মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৮.৯৩ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়ায় ৮.৬৩ শতাংশে।
একই সময়ে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯.৩৫ শতাংশ থেকে নেমে দাঁড়ায় ৯.১৭ শতাংশে।এপ্রিল মাসেও খাদ্য খাতই ছিল মূল্যস্ফীতির সবচেয়ে বড় উৎস, যদিও এর প্রভাব কিছুটা কমেছে। পোশাক ও জুতা (৯.৮ শতাংশ), এবং পরিবহন (৭ শতাংশ) মূল্যস্ফীতিতে বড় ভূমিকা রেখেছে।প্রতিবেদনে খাদ্যপণ্যের ভেতরেও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে। যেমন মূল্যস্ফীতিতে চালের অবদান মার্চে ৩৪ শতাংশ থেকে বেড়ে এপ্রিল মাসে ৪০ শতাংশে পৌঁছেছে, যা সরবরাহ ঘাটতির ইঙ্গিত দিচ্ছে। এরমধ্যে মূল্যস্ফীতিতে মাঝারি চালেরই অবদান ১৯.৪ শতাংশ।