Dhaka 2:08 am, Saturday, 15 March 2025

সুতা ডাম্পিং ভারত হুমকিতে দেশীয় শিল্প

বাংলাদেশে সুতা ডাম্পিং ।

বাংলাদেশে সুতা ডাম্পিং (উৎপাদন মূল্যের চেয়ে কম মূল্যে রপ্তানি) করছে ভারত। আর গ্যাসের অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধি, বর্ডার খুলে দিয়ে এবং দেশীয় সুতায় প্রণোদনা হ্রাস করে সেই সুযোগ করে দিচ্ছে বাংলাদেশের নীতিনির্ধারকরা। স্থলবন্দরগুলো দিয়ে অবাধে মিথ্যা ঘোষণায় সুতা ঢুকলেও নীতিনির্ধারকরা নীরব ভূমিকা পালন করছে। এ কারণে দেশের টেক্সটাইল মিলগুলোকে প্রায় ৮-১০ হাজার কোটি টাকার সুতা অবিক্রীত অবস্থায় পড়ে আছে।

অবস্থা চলতে থাকলে দেশের টেক্সটাইলশিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে এবং এক সময় তৈরি পোশাকশিল্প ভারতের মুখাপেক্ষী হয়ে পড়বে। রপ্তানির বাজারে বাংলাদেশ তার অবস্থান হারাবে। ভারত ইতোমধ্যে পাটশিল্প নিয়ে গেছে। এখন তৈরি পোশাক নিয়ে টানাটানি করছে। সোমবার রাজধানীর গুলশান ক্লাবে আয়োজিত এক বিশেষ সংবাদ সম্মেলনে এই আশঙ্কার কথা জানান টেক্সটাইলশিল্প মালিকরা। বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।  আর অন্যদিকে বাংলাদেশের কারখানাগুলো প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে বন্ধ হতে চলেছে। দেশীয় টেক্সটাইল মিল বাঁচাতে হলে অতিশিগগিরই স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানি বন্ধ করে দিতে হবে।রাসেল বলেন, বিএনপি সরকারের আমলে স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানি বন্ধ ছিল। এ কারণে দেশে একের পর এক টেক্সটাইল মিল গড়ে উঠেছে। আওয়ামী লীগ শাসনামলে এটা খুলে দেওয়া হয়। স্থলবন্দরগুলো দিয়ে সুতা আমদানি বন্ধ থাকলে বৈধ-অবৈধ বা মিথ্যা ঘোষণায় সুতা আমদানির সুযোগ থাকবে না।বর্তমানে মিলগুলোতে ৮-১০ হাজার কোটি টাকার সুতা পড়ে আছে। এই সুতা বিক্রি করতে না পারলে মিলগুলো রুগ্ন হয়ে পড়বে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

সুতা ডাম্পিং ভারত হুমকিতে দেশীয় শিল্প

Update Time : 03:44:22 pm, Tuesday, 25 February 2025

বাংলাদেশে সুতা ডাম্পিং (উৎপাদন মূল্যের চেয়ে কম মূল্যে রপ্তানি) করছে ভারত। আর গ্যাসের অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধি, বর্ডার খুলে দিয়ে এবং দেশীয় সুতায় প্রণোদনা হ্রাস করে সেই সুযোগ করে দিচ্ছে বাংলাদেশের নীতিনির্ধারকরা। স্থলবন্দরগুলো দিয়ে অবাধে মিথ্যা ঘোষণায় সুতা ঢুকলেও নীতিনির্ধারকরা নীরব ভূমিকা পালন করছে। এ কারণে দেশের টেক্সটাইল মিলগুলোকে প্রায় ৮-১০ হাজার কোটি টাকার সুতা অবিক্রীত অবস্থায় পড়ে আছে।

অবস্থা চলতে থাকলে দেশের টেক্সটাইলশিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে এবং এক সময় তৈরি পোশাকশিল্প ভারতের মুখাপেক্ষী হয়ে পড়বে। রপ্তানির বাজারে বাংলাদেশ তার অবস্থান হারাবে। ভারত ইতোমধ্যে পাটশিল্প নিয়ে গেছে। এখন তৈরি পোশাক নিয়ে টানাটানি করছে। সোমবার রাজধানীর গুলশান ক্লাবে আয়োজিত এক বিশেষ সংবাদ সম্মেলনে এই আশঙ্কার কথা জানান টেক্সটাইলশিল্প মালিকরা। বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।  আর অন্যদিকে বাংলাদেশের কারখানাগুলো প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে বন্ধ হতে চলেছে। দেশীয় টেক্সটাইল মিল বাঁচাতে হলে অতিশিগগিরই স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানি বন্ধ করে দিতে হবে।রাসেল বলেন, বিএনপি সরকারের আমলে স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানি বন্ধ ছিল। এ কারণে দেশে একের পর এক টেক্সটাইল মিল গড়ে উঠেছে। আওয়ামী লীগ শাসনামলে এটা খুলে দেওয়া হয়। স্থলবন্দরগুলো দিয়ে সুতা আমদানি বন্ধ থাকলে বৈধ-অবৈধ বা মিথ্যা ঘোষণায় সুতা আমদানির সুযোগ থাকবে না।বর্তমানে মিলগুলোতে ৮-১০ হাজার কোটি টাকার সুতা পড়ে আছে। এই সুতা বিক্রি করতে না পারলে মিলগুলো রুগ্ন হয়ে পড়বে।