
স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণ (এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন) পরবর্তী সময়ে শুল্ক সুবিধা না থাকায় বাংলাদেশের রফতানি খাতে বছরে ৮০০ কোটি ডলার ক্ষতি হতে পারে। ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে গতকাল এক ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন আশঙ্কার কথা জানান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। রাজধানীর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। চলতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘এলডিসি তালিকা থেকে গ্র্যাজুয়েশনের পর বৈদেশিক ঋণ নেয়ার খরচ বেড়ে যাবে। অনেক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণের ক্ষেত্রে আমরা গ্রেস পিরিয়ড পাই বা কম সুদ ধরা হয়। গ্র্যাজুয়েট হয়ে গেলে গ্রেস পিরিয়ড কমে যাবে। একই সঙ্গে কম্পিটিটিভ ইন্টারেস্ট রেট পেমেন্ট করতে হবে। ফলে আমাদের খরচ বেড়ে যাবে। বিষয়টি নিয়ে আমাদের আগে থেকেই চিন্তাভাবনা করা উচিত।’বৈদেশিক ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে রিটার্ন নিয়ে পরিকল্পনা থাকা উচিত মন্তব্য করে এ অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘বিগত ১৬ বছরের মতো যদি এখনো ঋণ দিয়ে দুর্নীতি এবং অপচয় করতে থাকি, তাহলে বৈদেশিক ঋণ রিপেমেন্ট নিয়ে আমাদের সমস্যায় পড়তে হতে পারে। আমরা বড় জিডিপি দেখতাম, কিন্তু সেটা কোথা থেকে আসছে আমরা জানতাম না। কারণ উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ ছিল না। যদিও বিবিএস পরবর্তী সময়ে ডাটা ম্যানিপুলেশনের কথা স্বীকার করেছে।’