Dhaka 8:37 pm, Friday, 14 March 2025

আলোচিত সেই হারুন-সানজিদা-মামুন

আলোচিত সেই

২০২৩ সালের ৯ সেপ্টেম্বর রাতে বারডেম হাসপাতাল থেকে তুলে নিয়ে শাহবাগ থানায় আটকে ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নেতাকে ব্যাপক মারধর করা হয়।পুলিশের রমনা বিভাগের তৎকালীন এডিসি হারুন অর রশিদ এই মারধরে নেতৃত্ব দেন। পরে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

ঘটনার সূত্রপাতের বিষয়ে রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হকের স্ত্রী ডিএমপির তৎকালীন এডিসি (অতিরিক্ত উপকমিশনার) সানজিদা আফরিন বলেছিলেন, তিনি চিকিৎসা নিতে ওই দিন সন্ধ্যায় বারডেম হাসপাতালে গিয়েছিলেন। চিকিৎসকের সাক্ষাৎ পেতে তিনি সহকর্মী হিসেবে এডিসি হারুন অর রশিদের সহায়তা নেন। এ সময় কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালে এসে এডিসি হারুনকে মারধর করেন তার স্বামী আজিজুল।

এ ঘটনা সে সময়ে দেশজুড়ে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। এ কাণ্ডের পর প্রথমে হারুনকে বদলি করা হয় রংপুর রেঞ্জ পুলিশে। এর পর সেখান থেকে প্রত্যাহার করে ঢাকায় আনা হয়। ৫ আগস্টের পর তাকে ওএসডি করা হয়।একই ঘটনায় ডিএমপির এডিসি সানজিদাকে প্রথমে রংপুর রেঞ্জে বদলি করা হলেও তিনি সেখান যোগদান না করায় ডিএমপিতেই রেখে দেওয়া হয়েছিল। ৫ আগস্টের পর তাকেও ওএসডি করা হয়।একই কারণে রাষ্ট্রপতির সাবেক এপিএস মামুনকে (সানজিদার স্বামী) কোনো প্রকার শাস্তি দেওয়া না হলেও ৫ আগস্টের পর তাকেও ওএসডি করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওএসডি হওয়ায় তিনজনই ঢাকাতেই রয়েছেন। এডিসি সানজিদা ও হারুন নিয়মিত পুলিশ কমান্ড সেন্টারে গিয়ে হাজিরা দিয়ে আসেন। অন্যদিকে, এপিএস মামুন ওএসডি হয়ে ঢাকাতেই রয়েছেন বলে জানা গেছে। আর পুলিশ বলছে, মামুন আর সানজিদা এখন একসঙ্গেই রয়েছেন। এডিসি সানজিদার বিষয়ে ডিএমপির মিডিয়া বিভাগের উপ কমিশনার (ডিসি মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, এডিসি সানজিদা বর্তমানে ওএসডি অবস্থায় আছেন। তিনি ডিএমপির কোনো বিভাগেই দায়িত্বে নেই।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

আলোচিত সেই হারুন-সানজিদা-মামুন

Update Time : 05:35:27 pm, Thursday, 13 March 2025

২০২৩ সালের ৯ সেপ্টেম্বর রাতে বারডেম হাসপাতাল থেকে তুলে নিয়ে শাহবাগ থানায় আটকে ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নেতাকে ব্যাপক মারধর করা হয়।পুলিশের রমনা বিভাগের তৎকালীন এডিসি হারুন অর রশিদ এই মারধরে নেতৃত্ব দেন। পরে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

ঘটনার সূত্রপাতের বিষয়ে রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হকের স্ত্রী ডিএমপির তৎকালীন এডিসি (অতিরিক্ত উপকমিশনার) সানজিদা আফরিন বলেছিলেন, তিনি চিকিৎসা নিতে ওই দিন সন্ধ্যায় বারডেম হাসপাতালে গিয়েছিলেন। চিকিৎসকের সাক্ষাৎ পেতে তিনি সহকর্মী হিসেবে এডিসি হারুন অর রশিদের সহায়তা নেন। এ সময় কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালে এসে এডিসি হারুনকে মারধর করেন তার স্বামী আজিজুল।

এ ঘটনা সে সময়ে দেশজুড়ে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। এ কাণ্ডের পর প্রথমে হারুনকে বদলি করা হয় রংপুর রেঞ্জ পুলিশে। এর পর সেখান থেকে প্রত্যাহার করে ঢাকায় আনা হয়। ৫ আগস্টের পর তাকে ওএসডি করা হয়।একই ঘটনায় ডিএমপির এডিসি সানজিদাকে প্রথমে রংপুর রেঞ্জে বদলি করা হলেও তিনি সেখান যোগদান না করায় ডিএমপিতেই রেখে দেওয়া হয়েছিল। ৫ আগস্টের পর তাকেও ওএসডি করা হয়।একই কারণে রাষ্ট্রপতির সাবেক এপিএস মামুনকে (সানজিদার স্বামী) কোনো প্রকার শাস্তি দেওয়া না হলেও ৫ আগস্টের পর তাকেও ওএসডি করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওএসডি হওয়ায় তিনজনই ঢাকাতেই রয়েছেন। এডিসি সানজিদা ও হারুন নিয়মিত পুলিশ কমান্ড সেন্টারে গিয়ে হাজিরা দিয়ে আসেন। অন্যদিকে, এপিএস মামুন ওএসডি হয়ে ঢাকাতেই রয়েছেন বলে জানা গেছে। আর পুলিশ বলছে, মামুন আর সানজিদা এখন একসঙ্গেই রয়েছেন। এডিসি সানজিদার বিষয়ে ডিএমপির মিডিয়া বিভাগের উপ কমিশনার (ডিসি মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, এডিসি সানজিদা বর্তমানে ওএসডি অবস্থায় আছেন। তিনি ডিএমপির কোনো বিভাগেই দায়িত্বে নেই।